জাতীয়
আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না : প্রধানমন্ত্রী
Published
1 year agoon
By
বায়ান্ন প্রতিবেদনআমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যথিত করে। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শান্তির নীতি অনুসরণ করি। সকল প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আগামীকাল (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আগামীকাল ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তিনি স্মরণ করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ প্রথম গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ‘৫৪-এর একুশ দফা, ‘৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ‘৬৬-এর ছয় দফা, ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।
তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধু মাত্র বাংলাদেশ। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ‘৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক- সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে তারা নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২ মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সকল প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড তার আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারা দেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেপ্তার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- “ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন-চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস এর মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-এর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ জুন সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তব চিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
শেখ হাসিনা বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে ‘শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক’ ঘোষণা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৪ বছরের বেশি সময় একটানা তাদের ভাগ্যোন্ননের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে “স্মার্ট বাংলাদেশ”। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি: ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
অন্যরা যা পড়ছেন
-
যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়
-
ধেয়ে আসছে ৮০ কিমি বেগে ঝড়
-
ঢাকাসহ সারাদেশের গাছ কাটা বন্ধে রিট
-
মালয়েশিয়ায় প্রতারিত বাংলাদেশি শ্রমিকদের সহায়তা দিবে জাতিসংঘ
-
ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
-
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
দুই ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লো শ্রমিকরা
-
রাজধানীতে বাসের চাপায় পথচারী নিহত
-
যে কারণে বাংলাদেশে বিমান ভাড়া বাড়াচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্স
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু আবারও দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস তাঁর সফরের তারিখ ঘোষণা না করলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বায়ান্ন টিভিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্রটি জানায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি কোনো এক সময় তিনি ঢাকা সফর করবেন।
ঢাকার কূটনীতিক পাড়ার একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি ঢাকা আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারি হিসেবে এটি হবে তার তৃতীয় ঢাকা সফর আর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর প্রথম সফর।
এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ডোনাল্ড লু’র সফরের বিষয়টি এখন ঢাকার কূটনৈতিক পাড়ার আলোচনায় অন্যতম ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিষয়টি দেখভাল করে থাকেন ডোনাল্ড লু।
ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের উদ্দেশ্য কী হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বায়ান্ন টিভিকে বলেন, ‘তার সফরের উদ্দেশ্যটি এখনও ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট বা ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস জানায়নি। কবে আসছেন তাও বলেনি। ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বলে জানায়। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকেও একই বার্তা দিয়েছেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। যেহেতু তিনি এই অঞ্চলের দেশগুলোতে মার্কিন স্বার্থ দেখভাল করেন তাই ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আলোচনার জন্য ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফরের উদ্দেশ্য হতে পারে।’
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের এই সাবেক হাইকমিশনার আরও বলেন, ‘এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে ওয়াশিংটন-ঢাকার একই সঙ্গে কাজ করার সম্ভাব্য উপায় নিয়েও তিনি আলোচনা করতে পারেন এই সফরে।’
কে এই ডোনাল্ড লু?
২০২২ সালের শুরু থেকেই বারবার সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় তার নামই বেশিবার উচ্চারিত হয়েছে। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া-সংক্রান্ত মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির প্রধান চালক হিসেবে মনে করা হয় তাকে। এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা ও ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে ডোনাল্ড লু রয়েছেন নেতৃত্বের আসনে।
ফরেন সার্ভিস অফিসার হিসেবে ৩০ বছরেরও বেশি সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অধীনে কাজ করছেন লু। এর মধ্যে ১২ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন পাকিস্তান ও ভারতে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ডোনাল্ড লু’র নানামুখী তৎপরতা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির ঝুড়িতে দুর্দান্ত সাফল্য থাকায় দুই কূটনীতিককে বলা হয়ে থাকে ‘বাজপাখি কূটনীতিক’। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি দুইদিনের সফরে ঢাকা আসেন ডোনাল্ড লু। ওই সফরে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
নির্বাচন নিয়ে ডোনাল্ড লু বলেন, ‘একটি গ্রহণযোগ্য, সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশও তাকে আশ্বস্ত করে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে।
২০২৩ সালের ১১ জুলাই দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকা সফরে আসেন ডোনাল্ড লু। পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্য হয়ে তার ওই সফর ছিলো একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিতে বাংলাদেশের জন্য স্বতন্ত্র মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণাসহ নানামুখী তৎপরতার অংশ।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দেড় মাস আগে আবারও তৎপরতা চালান ডোনাল্ড লু। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেনা বলে বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে গত নভেম্বরে দেশের বড় তিনটি দলকে চিঠি দিয়ে ‘পূর্বশর্ত ছাড়া’ সংলাপে বসার আহবান জানান ডোনাল্ড লু। এতে রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ওইসময় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র এক দলের চেয়ে অন্য দলকে প্রাধান্য দেয় না। কোনো ধরণের পূর্বশর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে সংলাপে বসার আহবান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের সবার বিরুদ্ধে সমানভাবে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ডোনাল্ড লু’র তৎপরতার কারণে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত!
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট-এ এক চমকপ্রদ খবর বেরোয়। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গত বছর(২০২২) পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চেয়েছিল ওয়াশিংটন। ওই সাংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এমন একটি গোপন কূটনৈতিক তারবার্তা তাদের হাতে রয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইন্টারসেপ্ট তাদের ওয়েবসাইটে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তৎকালীন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর মধ্যকার কথিত কথোপকথনের বিস্তারিত প্রকাশ করে। ২০২২ সালের ৭ মার্চ তাঁদের মধ্যে সেই কথাবার্তা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মস্কো সফরে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর মাজিদ ও ডোনাল্ড লুর মধ্যে এই কথোপকথন হয়। একই দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল।
ওইসময় ডোনাল্ড লু পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত মাজিদকে বলেন, ‘ইমরান খানের মস্কো সফর এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পাকিস্তানের ‘নিরপেক্ষ অবস্থানে’ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।’
লু বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হলে ওয়াশিংটন সবাইকে ক্ষমা করে দেবে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর তাঁর সিদ্ধান্তেই হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কথিত কথোপকথনের বিস্তারিত ‘গোপন তারবার্তা’ ইসলামাবাদে পাঠিয়েছিলেন মাজিদ। ডোনাল্ড লু অবশ্য তার বিরুদ্ধে অনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইন্টারসেপ্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফাঁস হওয়া পাকিস্তান সরকারের নথিপত্র অনুযায়ী মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের এক মাস পর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট হয়। ওই ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন।’
২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান দাবি করেছিলেন, তিনি ওই গোপন বার্তা সম্পর্কে জানতেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল।
এমআর//
গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ মে) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে বিলটি পাস হয়।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সংশোধিতে বিলে বলা হয়েছে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ মনোনীত দুজন করে মোট পাঁচ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠন করা হবে। প্রত্যেক পক্ষের মনোনীত দুজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হতে হবে। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার সঙ্গে কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ, সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেবে। চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই ভোটে অমীমাংসিত হলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট দিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
এর আগে বিলটির উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ। তাদের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে কণ্ঠভোটে বিলটি পাস করা হয়।
আই/এ
জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Published
5 hours agoon
May 7, 2024By
Anik Mahmudরোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে সফররত আইওএমের মহাপরিচালক অ্যামি পোপে ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট-২০২৪ প্রকাশ কালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারে তাদের আশ্রয় এলাকা মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ব্রিডিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশেরই নয় আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।
আইওএম মহাপরিচালক প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধ-বিগ্রহ-সংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়। ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।
প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে, যা অনিশ্চিত বিশ্বে অবহিত সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।
প্রসঙ্গত, এসময় ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, মিশন প্রধান, কূটনীতিকসহ গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ
জাতীয়
যেকারণে ঢাকা সফরে আসছেন ‘বাজপাখি কূটনীতিক’ ডোনাল্ড লু
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু আবারও দু’দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা...
‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার নির্দেশে একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক কর্মী ও তার বন্ধুকে তুলে তার...
গ্রাম আদালত বিল পাস
গ্রাম আদালতের জরিমানার সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত করার বিধান রেখে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল-২০২৪...
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা প্রকাশ করছি। একই...
যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়
মার্কিন সংবাদমাধ্যম টাইম ম্যাগাজিনের ‘স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবদান রাখা ১০০ প্রভাবশালীর’ তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জ-৩...
সংসদে লোডশেডিং এর কারণ জানালেন বিদ্যুৎমন্ত্রী
চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতায় ঘাটতি না থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তীতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সক্ষমতায়...
‘৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হবে’
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল নির্মানে নিয়োজিত জাপানি প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে দেখা করেছে। ওরা কিছুদিন সময় চেয়েছে তো। আমরা মনে...
ফের বাড়লো হজ ভিসা আবেদনের সময়
কাঙ্ক্ষিত হজ ভিসা আবেদন না হওয়ায় দ্বিতীয় দফা বাড়ানো হয়েছে এর আবেদন করার সময়। বর্ধিত সময় অনুযায়ী আগামী ১১ মে...
গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনে হাইকোর্টের রুল
পরিবেশ রক্ষায় রাজধানীসহ সারা দেশের গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠনে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি...
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহে আইওএম’র প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
রোহিঙ্গা সহায়তায় আরও তহবিল সংগ্রহে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে...
তুফান’র প্রশংসার পাশাপাশি উঠেছে সমালোচনার ঝড়
যেকারণে ঢাকা সফরে আসছেন ‘বাজপাখি কূটনীতিক’ ডোনাল্ড লু
‘কোন পায়ে গুলি করবো’ ছাত্রদল কর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
গ্রাম আদালত বিল পাস
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আইওএম কার্যকর ভূমিকা রাখবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এবার বিয়ে করে থিতু হচ্ছেন সেলেনা গোমেজ
যে কারণে জাহিদ মালেক টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়
গাজার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তপথ দখল করলো ইসরাইল
আটকের ১২ ঘন্টা পর ছাড়া পেলেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী
জেলেনস্কিকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ, ইউক্রেনের দুই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
শাকিব খানের ‘মায়া’য় কেন ইধিকা! যা বললেন পূজা চেরী
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
যৌন সম্পর্কের বদলে দেয়া হবে বেশি নম্বর!
-
ঢালিউড5 days ago
‘আমার আচরণে শাকিবের পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নেবে, বিশ্বাস করি না’
-
তথ্য-প্রযুক্তি5 days ago
গ্রাহকদের দাবির মুখে সিদ্ধান্ত বদলালো জিপি
-
ঢালিউড5 days ago
শাকিবের বিয়ে: পরিবারের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
-
পরামর্শ5 days ago
পুনরায় গরম করলে যে ৭ খাবার হয় ‘বিষাক্ত’
-
অপরাধ6 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
-
দেশজুড়ে6 days ago
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
-
বাংলাদেশ3 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন