Connect with us

আন্তর্জাতিক

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে শিশুসহ ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার

Published

on

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে একটি জলাভূমিতে দুই শিশুসহ আটজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ছয়টি এবং শুক্রবারে (৩১ মার্চ) দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহ মধ্যে ৩ বছরের কম বয়সী এক শিশুও রয়েছে।

শনিবার (১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিস’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে সীমান্তবর্তী নদী সেন্ট লরেন্সের পাশে একটি উল্টে যাওয়া নৌকার পাশে মরদেহগুলোকে পাওয়া গেছে। পুলিশ প্রধান জানায়, মৃত্যুর কারণ জানতে তাদের অনুসন্ধান চলছে। সেই সাথে পলাতক নৌকার মাঝিকে খুঁজতে চলছে অভিযান।

আদিবাসী অধ্যুষিত মোহাক অঞ্চলটি কানাডার কুইবেক ও অন্টারিও প্রদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিস্তৃত।

স্থানীয় পুলিশের উপপ্রধান লি অ্যান ও’ব্রায়েন বলেছেন, ডুবে যাওয়া নৌকাটি খুব ছোট ছিল এবং এটি বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসসহ খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ ঘটনা সত্যি হৃদয়বিদারক।

অভিবাসীদের অ্যাকওয়েসনে সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের প্রবণতা বেড়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত এই সীমান্ত দিয়ে ৪৮টি পারাপারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন লি অ্যান ও’ব্রায়েন। তিনি বলেছেন, দুই দেশের এই সীমান্তে সেন্ট লরেন্স নদী রয়েছে। নদী পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাড়ে পৌঁছার পর তারা গাড়িতে করে নিউইয়র্কে যান।

আন্তর্জাতিক

যে ট্রেনে প্রাইভেট কার, ট্রাকসহ যানবাহন নিয়ে ভ্রমণ করা যায়

Published

on

সংগৃহীত ছবি

মনে করুন, আপনি দূরের কোনো এলাকায় কাজে বা বেড়াতে যাচ্ছেন। আর গন্তব্যস্থানে পৌঁছতে  আপনি ট্রেন ভ্রমনকে বেছে নেবেন।পরবর্তীতে আপনার মনে হলো-ট্রেনে যদি মাইক্রোবাস বা প্রাইভেট কার বা মোটরবাইক অথবা  অন্য কোনো যানবাহন আপনি নিতে পারতেন। তাহলে কী মজাই না হতো।

হ্যা, বর্তমান আধুনিক সভ্যতার যুগে এটাও সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমনই ট্রেন চালু হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ট্রেন যাতে ভ্রমণ করার পাশাপাশি আপনার প্রিয় গাড়ি বা অন্য কোনো যানবাহনকে সঙ্গে নিতে পারবেন। এই বিশেষ ট্রেনকে বলা হয় অটো ট্রেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রেলরোড প্যাসেঞ্জার করপোরেশন-আমট্রাক পরিচালিত এই ট্রেনে আপনার সঙ্গে থাকা যানবাহনটিকে নিয়ে আপনি নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারবেন।

এই ট্রেনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো- বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি বুঝতেই পারবেন না যে ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের গাড়ি আছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি টু  অরল্যান্ডো রুটে এই অটোট্রেন চলাচল করছে। বিরামহীন যাত্রায় এই অটোট্রেনটির ওয়াশিংটন থেকে অরল্যান্ডো পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় ১৭ ঘণ্টা।

কয়েক বছর ধরে অটো ট্রেনের চাহিদা বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে  এই ধরণের রুট মাত্র একটি। ১৯৭১ সালের আগে এই অটো ট্রেনের অস্তিত্ব ছিল না। ওই বছরই মার্কিন বিজ্ঞানী ও  গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর দ্য সায়েন্টিফিক ইনফরমেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইউজেন গারফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রে এই বিশেষ ট্রেন আবিষ্কার ও চালু করেন।

Advertisement

ওইসময় ওয়াশিংটন ডিসির লরটন থেকে অর‌ল্যান্ডো রাজ্যের সানফোর্ডে দৈনিক এই অটোট্রেন ব্যবস্থা চালু ছিলো। গারফিল্ডের অটো-ট্রেন এতটাই জনপ্রিয় ছিল লুইসভিল থেকে সানফোর্ড পর্যন্ত দ্বিতীয় লাইনের পরিষেবা শুরু করে। তবে  ১৯৮১ সালের মধ্যে ওই রুটে অটো-ট্রেন কর্পোরেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

স্লিপিং কোচ, ডাইনিংসহ অত্যাধুণিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরণের ট্রেনের একটি মাত্র রুট থাকায় যাত্রীদের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বছরে মাত্র ২ লাখ ২০ হাজার যাত্রী এই ট্রেন সেবা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হলেও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেশ পিছিয়ে রয়েছে দেশটি। চীন যেখানে  ২০০৮ সাল থেকে প্রায় ৪২ হাজার কিলোমিটার উচ্চগতির ট্রেন চলাচলের জন্য রেললাইন নির্মাণ করেছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অনেক পিছিয়ে। ১০০ মাইলের বেশি গতিতে চলাচলের মতো তাদের মাত্র ৩৭৫ মাইল দীর্ঘ রেল লাইন রয়েছে।

১৯৭০–এর দশকে নিউইয়র্ক সেন্ট্রালের মতো বিখ্যাত রেল পরিবহন দেউলিয়া হয়ে যায়। ফলে ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা আমট্রাকের কাছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে হস্তান্তর করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রেলপথ উন্নয়নে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার বা এক লাখ ২০ হাজা্র কোটি ডলার বরাদ্দ দিয়েছেন।  এর মধ্যে বোস্টন, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সংযোগকারী অটো ট্রেনের রুট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাষ্ট্রের রেল খাতে যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটবে।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বাইডেনের হুমকি সত্ত্বেও অস্ত্র পাবে ইসরাইল

Published

on

ছবি- রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হুমকি সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বরাদ্দ পাচ্ছে ইসরাইল। একজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা এই সপ্তাহে জানায়, ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হবে এমন একটি অস্ত্রের চালান যা দিয়ে রাফায় হামলা চালানো হতে পারে- তা যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন গভীরভাবে খতিয়ে দেখেছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলি অভিমুখী অস্ত্রের একটি চালান আটকে দেয় বাইডেন প্রশাসন।  খবর- ডেইলি সাবাহ

ওয়াশিংটন অনেকদিন ধরে নেতানিয়াহু সরকারকে বলছে, ইসরাইল যেন সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া রাফায় হামলা না চালায়।

তবে মার্কিন এই অস্ত্রের চালান সরবরাহ স্থগিত হলেও কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির শীর্ষ রিপাবলিকান সদস্য সেন জিম রিশ বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের মার্কিন অস্ত্র ইসরাইলে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে যৌথ প্রত্যক্ষ আক্রমণ যুদ্ধাস্ত্র, ট্যাংক রাউন্ড, মর্টার ও সাঁজোয়া যান। এসব অস্ত্রের অর্থমূল্য শত শত কোটি মার্কিন ডলার।

রাফায় ভয়াবহ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। দখল করেছে সেখানে থাকা একটি সীমান্ত ক্রসিং। শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে অনেক ফিলিস্তিনি।

গেলো বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় হামাস। হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল গাজায় শুরু করে পালটা হামলা। হামলায় এখন পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি।

Advertisement

এনএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

প্রেমিকাকে খুন করেই দৌড়ে বাড়ি গেলেন প্রেমিক, অতঃপর…

Published

on

দুপুরের খাবার খেয়েই মোটরবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান মিঠু শেখ। কিন্তু ঘণ্টাখানেক বাদে হন্তদন্ত হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলেন। ছেলেকে যেনো চিনতেই পারছিলেন না মা মজিদা বিবি। মিঠু বারবার বলছিলো, ‘আমি ওকে শেষ করেছি।’’’

কী হয়েছে, কী কাণ্ড ঘটিয়ে এসেছেন পুত্র, তা তখনও বুঝতে পারেননি মজিদা। তবে ছেলের কান্না দেখে তিনিও কাঁদতে থাকেন। একটু পরে তার কাছে স্পষ্ট হল ব্যাপারটা, যখন ছেলে নিজেই পুলিশকে ফোন করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ এসে গ্রেপ্তার করে মিঠুকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদের হাজারিপাড়ায়।

শনিবার (১১ মে) ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। জানা গেছে এক সহপাঠিনীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে মিঠু শেখ।

শনিবার দুপুরে দৌলতাবাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খুন হয় সাবিনা খাতুন (১৭)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তাকে ফোন করে স্কুলের সামনে ডেকেছিলেন মিঠু। অল্প কিছুক্ষণের কথাবার্তা, তার পরেই কথা কাটাকাটি এবং খুন। পকেট থেকে ছুরি বার করে ‘দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা’ সাবিনাকে একের পর এক ছুরির কোপ দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান মিঠু। ছুরির আঘাতে গলার নলি কেটে যায় ওই নাবালিকার। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ তার দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত।

মিঠুর পরিবার জানায়, খুনের পর বাড়ি থেকে নিজেই পুলিশকে ফোন করেছিলেন তিনি। বাড়ি থেকেই মিঠুকে নিয়ে যায় পুলিশ। সাবিনার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল তার। কিন্তু কিছু দিন ধরে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। মিঠু সন্দেহ করেছিলেন, প্রেমিকার জীবনে অন্য কোনও পুরুষ এসেছেন। অন্য দিকে, সাবিনা চেয়েছিল মিঠুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে। এ নিয়ে দু’জনের কথা কাটাকাটি হয়। তারপরেই খুনের ঘটনা।

Advertisement

মিঠুর মা জানান, ওই নাবালিকার সঙ্গে একাধিক ‘ছেলে’র সম্পর্ক ছিল। তার ছেলে বার বার নাকি নিষেধ করেন। কিন্তু মেয়েটি শোনেনি। ও তো মরলই। আমার পরিবারটাকেও শেষ করে গেল।

সাবিনার পরিবার থেকে জানা গেছে, তিনি এ বছরই মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হয়েছিল লালবাগ কলেজে।

মৃতার বড় ভাই সেলিম রেজার অভিযোগ, তার বোনকে খুনের পরিকল্পনা করেই ডেকে নিয়ে গিয়েছিল মিঠু। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে পরিকল্পনা করে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমার বোনকে মিঠু খুন করেছে, তাতে ওর কঠিনতম শাস্তি হোক। রাজনৈতিক কিংবা আর্থিক প্রভাবে ও কোনও ভাবেই যেন ছাড় না পায়।’’

মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক থেকে খুন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা যাবে না।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২ মে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় খুন হন কলেজছাত্রী সুতপা চৌধুরী। খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ‘প্রেমিক’ সুশান্ত চৌধুরী। গেলো বছরই আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দেয়া হয়। শনিবার ১১ মে-র এই খুনের ঘটনার সঙ্গে বছর দুই বছর আগের ওই খুনের মামলার তুলনা টানছেন অনেকে।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version