আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্টে নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের মধ্যেই ডিম ছোড়াছুড়ি
বিক্ষোভ, হাতাহাতি, বিশৃঙ্খলা, হট্টগোল ও ডিম ছোড়াছুড়ির মধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (এসসিবিএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি।
আজ রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে নবনির্বাচিত সভাপতি মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সেক্রেটারি মো. আব্দুন নূর দুলালের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তারা বিদায়ী কমিটির কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিক্ষোভ করে এবং এতে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে ডিম ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এতে সে সময় সেখানে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা তৈরি হয় হবে প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান।
গেলো ১৫ ও ১৬ মার্চ দুই দিনব্যাপী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি, বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিন আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ওই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ বলে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানান এবং ভোটদানে বিরত থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের একটি অংশ আগামী ১৪ ও ১৫ জুন নতুন করে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন করারও ঘোষণা দেয়।
১৫ ও ১৬ মার্চের নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা ১৪টি পদের সবগুলোতে জয়ী হয়।
আজ তাদের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন না। তবে তারা মিছিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সর্বশেষ নির্বাচনে আরেক সভাপতি প্রার্থী বিএনপিপন্থী আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সেক্রেটারি প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল মিছিলের নেতৃত্ব দেন।
তারা সুপ্রিম কোর্টের নিচতলা ও দোতলায় আরেকটি মিছিল বের করলে সেখানে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জগলুল কবির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন।
অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আইন-বিচার
এমপি আজীম হত্যার দায় স্বীকার করলেন বাবু
ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় জবানবন্দি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু।
শুক্রবার (১৪ জুন) আসামি বাবু স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৯ জুন আদালত কামাল আহমেদ বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই মামলায় এর আগে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গেলো (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
এএম/
আইন-বিচার
দেশত্যাগ করতে পারবেন না এনবিআরের সাবেক কমিশনার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তাকে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন ওই আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানিতে অংশ নেন। আদালতের নির্দেশনায় ওই কমিশনারকে বিদেশ ভ্রমণে ৬০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
এর আগে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গেলো ১১ জুন মামলা দায়ের করে দুদক। তিনি গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেডকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় দুদকের সহকারি পরিচালক মো. শাহ আলম শেখ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন।
সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।
এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।
টিআর/
আইন-বিচার
৮ দিনের রিমান্ডে আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ধানমন্ডি থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এর আগে গত ২৩ মে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, ফয়সাল আলী সাজী ওরফে তানভীর ভূঁইয়া ও সিলিস্তি রহমানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। দুই দফায় তাদের ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা তিনজনই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন আনোয়ারুল আজীম। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের। ২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে এক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে ঘরে মেলেনি মরদেহ।
এ ঘটনায় ২২ মে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।
এএম/
-
ঢালিউড7 days ago
‘এ তো দেখি স্বপ্নে খাবার খাওয়ার মতো ঘটনা’ মিমের উদ্দেশ্যে পরীমণি!
-
বলিউড6 days ago
বয়সে ছোট পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে সোনাক্ষী সিনহা!
-
টুকিটাকি6 days ago
৩ দিন নিখোঁজের পর অজগরের পেট থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার
-
অপরাধ7 days ago
সহকর্মীকে হত্যার পর যা বললেন কনস্টেবল কাউসার
-
বাংলাদেশ4 days ago
উত্তরের পথে ১৩ কিলোমিটার সড়কে যানবাহনে ধীরগতি
-
টুকিটাকি4 days ago
৩শ’ টাকার গয়না ৬ কোটিতে কিনলেন তরুণী, অতপর…
-
ঢালিউড6 days ago
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন অভিনেতা টুটুল চৌধুরী
-
টুকিটাকি6 days ago
৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, না পেয়ে পুলিশের ছেলেকে খুন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন