Connect with us

ইসলাম

রোজায় যেসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে

Published

on

পবিত্র রমজান বছরের শ্রেষ্ঠ মাস। এই মাস মুসলিম উম্মাহর প্রতি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত ও অনুকম্পা। তবে রমজান মাসের ফজিলত হাসিল করার জন্য এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা থেকে বিরত থাকা দরকার। এখানে সে ধরনের কিছু বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হলো। সাধারণ অবস্থায় পানাহার ও স্ত্রী গমন হালাল হওয়া সত্ত্বেও রমজানে দিনের বেলা এগুলো থেকে বিরত থেকে তাকওয়ার অনুশীলন করা হয়। তা এভাবে যে, আল্লাহর নির্দেশের কারণে পুরো বছর যা হালাল ছিল, তা-ই হারাম হয়ে গেছে। তাহলে যা আগে থেকেই ১২ মাস হারাম-অশ্লীল ও গোনাহ, তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। আর রমজানে তা থেকে বিরত থাকা তো আরও বেশি জরুরি।
বিলম্বে ইফতার করা- আল্লাহর রাসুল (সা.) দেরিতে ইফতার করতে নিষেধ করেছেন। সময়মতো দ্রুত ইফতার করলে উম্মাহ কল্যাণের ভেতর থাকবেন বলেছেন।
সাহরি না খাওয়া- সাহরি অনেক বরকতময় খাবার। রাসুল (সা.) সাহরি খেতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। সাহরি খেতে না পারলে অন্তত অল্প কিছু হলেও খেয়ে নেওয়া উত্তম।
অপচয় ও অপব্যয় করা- অপচয় কিংবা অপব্যয় করা খুবই বাজে ও গর্হিত অভ্যাস। পবিত্র কোরআনে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে। আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের পবিত্র কোরআন ও হাদিসের অসংখ্য স্থানে অপচয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে এর মানে এই নয় যে অপচয় রোধ করতে গিয়ে কৃপণতা অবলম্বন করবে। মহান আল্লাহ কৃপণদের পছন্দ করেন না। অপচয় ত্যাগ করার অর্থ হলো মধ্যপন্থা অবলম্বন করা।
হক আদায় না করে কোরআন খতম করা- কোরআন তেলাওয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছ। পবিত্র কোরআনে কারিম অর্থসহ বুঝে বুঝে খতম করা ও কিংবা তেলাওয়াত করা উত্তম। খেয়াল রাখতে হবে যে, কোরআন তেলাওয়াতের সময় যেন কোরআনের হক নষ্ট না হয়। তাড়াহুড়ো কিংবা অসুন্দরভাবে খতম করা অনুচিত।
দৃষ্টিকে গুনাহ থেকে বিরত রাখা- যেমন—বেগানা মেয়েদের দেখা থেকে হেফাজত করা। তা সরাসরি দেখা হোক বা টিভি-সিনেমায় দেখা হোক বা ম্যাগাজিন ও পত্রিকার ছবিতে হোক। অনেকে রোজা রেখে অবসর সময় নাটক-সিনেমা দেখে কাটায়। এতে তাদের রোজার সওয়াব কমে যায়।
মুখের হেফাজত করা- মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে বিরত থাকা চাই। হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি, তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি ১৯০৩)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, ‘রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়। যদি কেউ তার সঙ্গে গালিগালাজ বা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত হতে চায়, তবে সে (অনুরূপ আচরণ না করে) বলবে, আমি রোজাদার।’ (সহিহ বোখারি : ১৯০৪) বোঝা গেল, রোজা অবস্থায় মারামারি ও ঝগড়াঝাটি তো দূরের কথা, শোরগোল করাও রোজার আদব পরিপন্থী। অতএব, জবানকে এসব থেকে বিরত রেখে সর্বদা জিকির-আজকার ও কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে তরতাজা রাখতে হবে।
কানের হেফাজত করা- রোজা রেখে গান-বাজনা, গিবত, পরনিন্দা ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা।
খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা- অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা। যেমন—হাত-পা ইত্যাদিকেও গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।
সেহরি ও ইফতারে হারাম খাবার পরিহার করা- ইমাম গাজালি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে, সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে, আর একটি শহর ধ্বংস করে।
অন্তরকেও গুনাহ থেকে বিরত রাখা- রোজা রেখে গুনাহের কাজের কল্পনা করা, পেছনের গুনাহের কথা স্মরণ করে স্বাদ গ্রহণ করা, অহঙ্কার, হিংসা, কু-ধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

ইসলাম

হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু আজ

Published

on

ফাইল ছবি

হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন)। প্রথমদিনে দুটি ফ্লাইটে ৮৩৯ জন হাজির দেশে ফেরার কথা রয়েছে। হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হেল্প ডেস্কের তথ্যমতে, আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স‌ এবং ফ্লাইনাস এয়ারের দুটি পৃথক ফ্লাইটে ৮৩৯ জন হাজি দেশে ফিরবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম ফিরতি ফ্লাইটটি রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে।

তথ্যমতে, ফিরতি হজ ফ্লাইটের অর্ধেক যাত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকি অর্ধেক সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস এয়ার বহন করবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন সৌদি আরবে যান হজ পালন করতে। আগামী ২২ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এয়ারলাইন্সগুলো ফ্লাইট সূচি সাজিয়েছে। এদিকে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি মোট ২৭ জন হজযাত্রী মারা গেছেন।

গেলো ৯ মে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়ে ১২ জুন পর্যন্ত চলে। মোট ২১৮টি ফ্লাইটে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দেয়া হয়। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পরিচালিত হজ ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইনস ৭৫টি এবং ফ্লাইনাস ৩৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

ঈদুল আজহার নামাজ পড়ার নিয়ম

Published

on

ঈদের নামাজ খোলা জায়গা, মসজিদ কিংবা যেখানেই পড়া হোক না কেন, অবশ্যই তা জামাতের সঙ্গে পড়তে হবে। জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য যেসব শর্ত প্রয়োজন, ঈদের নামাজ আদায় করার জন্যও একই শর্ত প্রযোজ্য। সুতরাং জামাত ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করা যাবে না।

ঈদের নামাজের জন্য কোনো আজান ও ইকামত নেই। তবে জুমার নামাজের মতোই উচ্চ আওয়াজে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়। তবে ঈদের নামাজের পার্থক্য হলো অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির দিতে হবে।

নামাজ পড়ার নিয়ম-

প্রথম রাকাতে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে সুরা ফাতিহা পড়া।

দ্বিতীয় রাকাতে সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দিয়ে রুকতে যাওয়া।

Advertisement

ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত ছয় তাকবিরের সঙ্গে এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি…আল্লাহু আকবার।

প্রথম রাকাত

১. তাকবিরে তাহরিমা

ঈদের নামাজে নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধা।

২. সানা পড়া

Advertisement

সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

৩. অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া।

এক তাকবির থেকে আরেক তাকবিরের মধ্যে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় বিরত থাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে উভয় হাত উঠিয়ে তা ছেড়ে দেওয়া এবং তৃতীয় তাকবির দিয়ে উভয় হাত বেঁধে নেওয়া।

৪. আউজুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ পড়া

৫. সুরা ফাতিহা পড়া

Advertisement

৬. সুরা মেলানো। অতঃপর নিয়মিত নামাজের মতো রুকু ও সিজদার মাধ্যমে প্রথম রাকাত শেষ করা।

দ্বিতীয় রাকাত

১. বিসমিল্লাহ পড়া

২. সুরা ফাতিহা পড়া

৩. সুরা মেলানো।

Advertisement

৪. সুরা মেলানোর পর অতিরিক্ত তিন তাকবির দেওয়া। প্রথম রাকাতের মতো দুই তাকবিরে উভয় হাত কাঁধ বরাবর উঠিয়ে ছেড়ে দেওয়া; অতঃপর তৃতীয় তাকবির দিয়ে হাত বাঁধা।

৫. তারপর রুকুর তাকবির দিয়ে রুকুতে যাওয়া।

৬. সিজদা আদায় করে তাশাহহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন করা।

তারপর খুতবা

ঈদের নামাজ পড়ার পর ইমাম খুতবা দেবেন আর মুসল্লিরা খুতবা মনোযোগের সঙ্গে শুনবেন।

Advertisement

দুই রাকাত ঈদের ওয়াজিব নামাজ ছয়টি অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরসহ আদায় করতে হয়। ঈদের নামাজের অতিরিক্ত ওয়াজিব তাকবিরে ভুল হলে অর্থাৎ তাকবির কম বা বেশি হলে অথবা বাদ পড়লে সাহু সিজদা প্রয়োজন নেই।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ইসলাম

চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা

Published

on

দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ১৭ জুন দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে।

শুক্রবার (৭ জুন) বায়তুল মোকাররমের ইসলামি ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে রাতে এ কথা জানিয়েছেন কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পীরগাছায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ শুক্রবার আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১২তম এ মাসের প্রথম দিন। এই হিসেবে আগামী ১৫ জুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আর পরদিন ১৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version