Connect with us

আইন-বিচার

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ২৭ এপ্রিল

Published

on

সগিরা মোর্শেদ

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলাম এদিন ধার্য করেন। এদিন তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তার জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন। মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামসুদ্দিন জুম্মন বিষয়টি জানিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান ও মারুফ রেজা।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Advertisement

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এ ছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনেরও মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল।

সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর গত বছরের ১১ জানুয়ারি মামলার বাদী ও সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যদিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

Advertisement

আইন-বিচার

বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Published

on

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আর্থিক লেনদেনকারী মোট ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দসহ গোপালগঞ্জে তার ৮৩টি দলিলের সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন

সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় পত্রিকায় দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে।

আলোচিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁর বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

পরে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকে চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

প্রতারণা মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমা খালাস

Published

on

প্রতারণার মামলায় বাদী পক্ষকে পাওনা টাকা ফেরত দিয়ে খালাস পেয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদি এ রায় ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু তাহের রনি বলেন, এ মামলায় দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গেলো ২৪ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। সাজার ভয়ে আসামিপক্ষ আপোসের প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি হন বাদী। তাকে রি-কল করা হয়। আজ আসামিপক্ষ বাদীকে আদালতের সামনে পাওনা টাকা ফেরত দেয়। পরে আদালত তাদের খালাস দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী আলী রেজা ফারুক ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর একটি বাইক কেনা বাবদ দুই লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৮ টাকা নগদ ও বিকাশে ইভ্যালিকে পরিশোধ করেন। নির্ধারিত সময় বাইক দিতে না পারায় আলী রেজা ফারুককে একটি চেক দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

পরে ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে চেক ডিজঅনার হয়। বাদী পরে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা টাকা ফেরত দেবেন বলে জানান। পরে আজ-কাল বলে গড়িমসি করে টাকা আর ফেরত দেননি। এরপর তাদের লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হলেও তারা টাকা ফেরত দেননি। এরপর বাদী সংশ্লিষ্ট আদালতে দণ্ডবিধির ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

এমপি আজিমকে হত্যা, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মামলার এজাহার আদালতে আসে। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহবুবুল হকের আদালত তা গ্রহণ করে আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (২২ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

মামলার অভিযোগে মুনতারিন ফেরদৌস ডরিন উল্লেখ করেছেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের বাসায় আমরা সপরিবারে বসবাস করি। ৯ মে রাত ৮টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারুল আজীম আনার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ যাওয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১১ মে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বললে বাবার কথাবার্তা কিছুটা অসংলগ্ন মনে হয়। এরপর বাবার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাই।

Advertisement

১৩ মে বাবার ভারতীয় নম্বর থেকে উজির মামার হোয়াটসঅ্যাপে একটি ক্ষুদে বার্তা আসে। এতে লেখা ছিল, ‘আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি রয়েছে। আমি অমিত সাহার কাজে নিউটাউন যাচ্ছি। আমাকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই। আমি পরে ফোন দেব।’ এছাড়া আরও কয়েকটি বার্তা আসে। ক্ষুদে বার্তাগুলো আমার বাবার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অপহরণকারীরা করে থাকতে পারে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন জায়গায় বাবার খোঁজ করতে থাকি। কোনও সন্ধান না পেয়ে তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস বাদী হয়ে ভারতীয় বারানগর পুলিশ স্টেশনে সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপরও আমরা খোঁজাখুজি অব্যাহত রাখি। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগসাজশে বাবাকে অপহরণ করেছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version