সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার তিনটি অংশের মধ্যে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ৪৪ জনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৮ জন আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলায় অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার ও আডভোকেট আব্দুস সামাদ নামের দুই আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এছাড়া ৯ আসামি পলাতক রয়েছেন ও দুজন মারা গেছেন।
আদালতে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ (২), অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান পিন্টু এবং বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহানারা পারভীন বকুল প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ফাহিমুল হক কিসলু, অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে বেলা ১১টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা কলারোয়ার দলীয় অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ নেতাকর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার মূখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির।
গত বছরের ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়। এ মামলায় সাফাই সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য্য করে আদালত।