Connect with us

জাতীয়

১২০০ টাকা মণ দরে কৃষকের পর্যাপ্ত ধান কিনবে সরকার : কৃষিমন্ত্রী

Published

on

সুনামগঞ্জে ধান হলে সারা দেশের মানুষ খেতে পারে, আর নাহয় সারা দেশে এর প্রভাব পড়ে। একসময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ, দুর্ভিক্ষের দেশ আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগামী মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) থেকে সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করবে। এ বছর ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পর্যাপ্ত ধান কেনা হবে। এবার ফলন ভালো হয়েছে। কৃষক যতো দিতে পারবে সরকার ততোই ধান কিনবে। বললেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জে ধান কর্তন উৎসব শেষে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আমলে মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। প্রত্যেক দিন মানুষ মারা যাওয়ার খবর পত্রিকায় ছাপা হত। আমার কাছে এখনও সেই খবরগুলো আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। যদি তারা (বিএনপি) দেখাতে পারে গেলো ১৪ বছরে কেউ না খেয়ে মারা গেছে তাহলে রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক রাখবো না।

সারের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে সারের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও সরকার বাধ্য হয়ে গেলো ১৪ বছরে মাত্র ৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে।

ব্লাস্ট রোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যে সকল কৃষক ২৮ জাতের ধান রোপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহায়তা করা হবে। সরকার একইসঙ্গে বন্যাসহ সব ধরনের প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দিয়ে আসছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ধান কাটা উৎসবে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী কে এম এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ ও সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্ প্রমুখ।

জাতীয়

আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪১ লাখ: আইনমন্ত্রী

Published

on

দেশের বিভিন্ন আদালতে ৪১ লাখের বেশি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আইন ও বিচার বিভাগ খাতে বরাদ্দের ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য যারা ছাঁটাই প্রস্তাব করেছেন, তারা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা বলেছেন, মামলা জটের কথা বলেছেন, মামলা জটের কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আজকের হিসাব হচ্ছে ৪১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৫টি মামলা আদালতে আছে।

বিচারক সংকটের কথা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, যতগুলো মামলা আছে তার নিষ্পত্তি করার জন্য বিচার বিভাগে যে বিচারক আছে তা অপ্রতুল। কিন্তু তুলনা করতে হবে কী ছিল, কী হয়েছে। ২০০৯ সালে জুডিশিয়ারির সক্ষমতা ছিল ৮০০ বিচারক। আজকে সেই জুডিশিয়ারির সক্ষমতা হচ্ছে প্রায় দুই হাজার বিচারক। আমরা আরও আদালত বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি। ১৫৮টি আদালত খুব শিগগিরই বেড়ে যাবে।

মামলার জট কমাতে সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নিয়ে ৬৪ জেলায় এ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেসি ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেসি আদালত স্থাপনের পরিকল্পনা নেন। তার মধ্যে ৪১টি হয়ে গেছে, ২৩টি হচ্ছে এবং খুব শিগগিরই হয়ে যাবে।

Advertisement

আইনমন্ত্রী বলেন, যদি আজ থেকে ১৭ বছর আগের কথা যদি বলা হয়, ২০০৭/০৮ সালে মামলা জট কিন্তু এর থেকে কিছুটা কম ছিল। ৩৫ লাখ বা ৩২ লাখের মতো ছিল।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হত্যার হুমকী নিয়ে যা যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন

Published

on

আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কারণ তাদের থেকে আমি হুমকির তথ্য পেয়েছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে। বললেন সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। এখন দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মৃত্যুর ভয় আমি করি না। কিন্তু আমার এলাকার মানুষকে নিয়ে চিন্তা করি।

তিনি বলেন, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি আমাকে জানান, সিরিয়াল কিলারের একটি গ্রুপ বর্তমানে সক্রিয়। তারা আমাকে হত্যা করতে চান। আমি যেন আগামী ২-৩ দিন বাসা থেকে বের না হই।

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদে থাকাকালীন আমার এলাকার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন তিনি আমকে কল করে জানান গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাই বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে যেনো আমি একটি বসি। পরে শুক্রবার বাড়ি যাবার পর শুরু দুপুরে আমার সঙ্গে বসেছিলেন ওসি। তখন ওসি আমাকে একটি ম্যাসেজ দেখালেন। সেখানে ওসিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২/৩ দিন কল করেছেন। কিন্তু কলটি আমলে না নেয়ায় ওই ব্যক্তি ওসিকে একটি ম্যাসেজ করে জানান যে, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেতে চান। এছাড়া ম্যাসেজে দেখা গেছে একটি কন্ট্রাক কিলার গ্রুপ হায়ার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে এক্টিভ।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, পরে ওসি তার ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে আমাকে কথা বলায় দিলেন। তখন আমি কথা বলেছি। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায় যে, তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চান না। এছাড়া তিনি নিজেও ওই কিলার গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন। যখন আমাকে হত্যার জন্য তার কাছে নাম আসে এবং এই হত্যা তাকে করতে হবে তখন তিনি এই কাজে অস্বীকৃতি জানান বা না করেন দেন। কারণ তার বাড়িও সিলেটে। তিনি আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সব জানেন তাই তিনি রাজি হননি।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক আরও বলেন, এর আগেও আমি মৌখিকভাবে এবং পিএসয়ের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমলে নেইনি। তবে এবার যখন ওসির মাধ্যমে এসেছে তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এবার সিরিয়াসলিভাবে আমলে নিতে হবে।

তিনি বলেন, এরপর আমি শনিবার ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। পরে আমি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।

সুমন আরও বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য। যখন আমার এলাকার ওসি কোন এক মাধ্যমে জেনেছেন যে আমার লাইফ রিস্ক আছে তখনই কিন্তু তার এসপি বা ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা কি সত্যই হুমকি নাকি ভোগাস সেটিতো আমার কাছে আসার আগেই তাদের তদন্ত করে ফেলা উচিত ছিল। আমাকে কেনো জিডি করতে হলো। আমার প্রশ্ন হলো আমার থ্রেট তো আমি জানি না। আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেবেন। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে এই থ্রেটটা রিয়েল অথবা ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো। এখন তো আমার জীবনের নিরাপত্তা তো নিজেরেই দিতে হচ্ছে। আমি বুঝি না এই রাষ্ট্রযন্ত্র আসলেই

তিনি বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধুসহ পুরো পরিবারকে মেরে ফেলা হয়েছে, হবিগঞ্জের শাহ এএমএস কিবরিয়া মারা গেছেন। আমরা তো তাদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। আর আমার ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে- পুলিশ একটি অপমৃত্যু রেকর্ড  করার জন্য বসে আছে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে: এমপি হাফিজ উদ্দিন

Published

on

প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারবো। না হলে, যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারাও অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে? কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুই-তিনটা বাড়ি আছে। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুই-তিনটা করে সোনার দোকান রয়েছে। বলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

নির্বাচনের সময় হলফনামা দিতে হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, একশ গুণ না পাঁচশ গুণ বাড়ল, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে।

হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা প্রথমে চাকরিতে ঢুকেন- তারা যদি হলফনামা দিতেন। তারপর পাঁচ-দশবছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হত। তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হত। না হলে বন্ধ হবে না।

তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা যদি সেবাবে তৈরি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

Advertisement

এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এ জন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়, সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version