Connect with us

বিএনপি

ঠুনকো কারণে মুক্তি দেয়া হয়নি রিজভীকে: সৈয়দ এমরান সালেহ

Published

on

সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

সকল মামলায় জামিন থাকলেও অন্যায়ভাবে ঠুনকো কারণে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ঈদের আগে মুক্তি দেয়া হয়নি। এটা সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রতিহিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। বলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রিজভী আহমেদ অসুস্থ। কারাগারে তাকে সু-চিকিৎসা দেয়া হয়নি। পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বার বার তাকে বিশেষায়িত কোনো হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়ার আহ্বান করা হলেও সরকার তা করেনি। বারবার তাকে মুক্তি দেয়ার দাবি করা হলেও ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তি দেয়নি।

সরকার ঈদের আগের রাতেও গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রেখেছে দাবি করে প্রিন্স বলেন, ২০ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর ওয়ারী থেকে স্বেচ্ছাসেবক-দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিনকে পুলিশ বিনাকারণে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। গত ১০ এপ্রিল আছরের নামাজের পর বাড্ডা থেকে সাদা পোশাকধারীরা জিয়া মঞ্চের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়ালকে তুলে নেয়। এখন পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর আগেও সাদা পোশাকধারীরা একইভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম করেছে। পরবর্তীতে তাদের অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

প্রিন্স বলেন, ঈদের আগের রাতে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও তার ভাই যুবায়ের হোসেন তালুকদারসহ তারাকান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১ নেতাকর্মীর নামে ও ১০-১২ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়।

Advertisement

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক বলেন, জনগণের ভোট চুরি করে আজ যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে, তারা উন্নয়নের নামে দুর্নীতি, লুটপাট করে বিদেশে অর্থপাচার করে দেশ-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। বর্তমানে দুর্নীতিবাজরাই ক্ষমতায় আছে এবং সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। আন্দোলনে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে জনগণ তাদের পরাস্ত করবে এবং দুর্নীতি-লুটপাটের বিচার করবে। নির্বাচনের নামে অনুগত প্রশাসন দিয়ে আগের রাতে ভোট চুরি করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে গায়েবী ফলাফল ঘোষণা করাও মহা দুর্নীতির নামান্তর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক-শিরিন সুলতানা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক-ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) খোন্দকার মাশুকুর রহমান, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক-মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক-এড. জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান প্রমুখ।

বিএনপি

আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল

Published

on

ক্ষমতাসীনরা পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। আর এ জন্যই সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন মোড়কে দেশে পুনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১১ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপি নেতাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে যুবদল।

ফখরুল বলেন, প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভয় খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে অবৈধ ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে। বিচার ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করে সরকার নির্যাতনের হাতিয়ার বানিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, কিছু দিন পর পর বন্ড বের করে শেয়ারবাজার লুট করা হচ্ছে। আর সামিট গ্রুপ দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ধনী হয়েছে। ভারতের আদানি গোষ্ঠীও বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, সরকার জনগণের বিপক্ষে গিয়ে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি সব বিনষ্ট করে দিয়েছে। তাই জনগণ এদের কাছ থেকে মুক্তি চায়।

Advertisement

এর আগে, দুপুরের পর থেকে সমাবেশে অংশ নিতে ব্যানার, ফেস্টুনসহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জড়ো হন দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ সময় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা।

সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় মোতয়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে যুবদল

Published

on

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল।

শনিবার (১১ মে) বেলা ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

এর আগে গেলো ৭ মে পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে ঢাকায় ফেরেন মির্জা ফখরুল। এরপর আর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি।

অন্যদিকে শুক্রবার (১০ মে) একইস্থানে সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

বিএনপির কন্ট্রোল খালেদা জিয়ার হাতে, আওয়ামী লীগের কোথায় প্রশ্ন গয়েশ্বরের

Published

on

বিএনপির রিমোট কন্ট্রোল দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে রয়েছে। আওয়ামী লীগের রিমোট কন্ট্রোল কোথায় প্রশ্ন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ‘বিএনপি জোটের আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে অদৃশ্য নির্দেশে’ বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা-মুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন।

Advertisement

আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version