Connect with us

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে বিশ্বমানের শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণ করবে জাপান

Published

on

বিশ্বখ্যাত স্থপতি তাদাও আন্দো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তাদাও আন্দো আর্কিটেক্ট অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস ঢাকায় একটি শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণ করবে।

জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্রাসাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তাদাও-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ আগ্রহের কথা জানান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাতের আগে, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর (বিএনএম) এবং তাদাও আন্দো আর্কিটেক্ট অ্যাসোসিয়েটসের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেন বিএনএম মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান এবং তাদাও আন্দো।

এ সময় জাপানের অনুদানে বাংলাদেশে একটি শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণের জন্য এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।

সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বীরদের গৌরব সংরক্ষণের জন্য সারাদেশে জাদুঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন করার ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানকে সংরক্ষণ করতে সরকার তার বাসভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করেছে।

তাদাও আন্দো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

 

Advertisement

 

আন্তর্জাতিক

হার্ট সার্জন থেকে ইরানের প্রেসিডেন্ট, কে এই মাসুদ পেজেশকিয়ান?

Published

on

পেজেশকিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ইরানের সংস্কারপন্থীরা আশার আলো দেখছেন। সংগৃহীত ছবি

ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ছিলেন সম্মুখ যোদ্ধা। অস্ত্র চালানোর পাশাপাশি নিজেদের আহত সেনাদের চিকিৎসা সেবাও দিয়েছেন। পরবর্তীতে মেডিক্যাল কলেজে ফিজিওলজি বিষয়ে শিক্ষকতা, ইরান ইউনিভার্সিটি থেকে কার্ডিয়াক সার্জারির শিক্ষালাভ এবং পরে হার্ট সার্জারি স্পেশালিস্ট। ছিলেন তাবরিজ ইউনিভার্সিটি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস এর প্রেসিডেন্টও। সদ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘ভেল্কি’ দেখিয়ে কুপোকাত করেছেন ইরানের কট্টরপন্থীদের।  হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার ছেড়ে এখন বসছেন ইরানের মসনদে। তিনি আর কেউ নন, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি ও হাসান রুহানির উত্তরসূরি ‍হিসেবে পরিচিত ডা. মাসুদ পেজেশকিয়ান।

ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাহাবাদে ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম মাসুদের। তার বাবা একজন আজারবাইজানি বা আজেরি এবং মা কুর্দিশ। মাসুদ আজেরি ভাষায় কথা বলেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে ইরানের বিশাল সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর জন্য কাজ করেছেন। ১৯৯৪ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায়  ডাক্তার স্ত্রী ফাতেমা মাজেদি ও  এক কন্যাকে হারান মাসুদ পেজেশকিয়ান।  এরপর আর বিয়ের পিঁড়িতে বসা হয়নি। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে মানুষ করেছেন ইরানের এই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট।

১৯৯৭ সালে সংস্কারবাদী সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি সরকারের সময় উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চার বছর সামলিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। ২০০৬ সালে তাবরিজ থেকে আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত হন মাসুদ। পাঁচবার সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।ইরানের পার্লামেন্টে প্রথম ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও ছিলেন চারবছর। ২০১১ এবং ২০২১ সালেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নাম লিখিয়েছিলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান।

‘একগুঁয়ে’ স্বভাবের জন্য পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান। বছর কয়েক আগেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যান তার কড়া সমালোচক। ইরানের রাজনৈতিক পরিবেশ এবং দুর্নীতির প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন অনেকবার। সবশেষ ২০২২ সালে পুলিশের হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর বিষয়ে ইরান সরকারের ভূমিকাকে প্রকাশ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।

প্রথম দিকে পশ্চিমাদের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। ২০১৯ সালে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার জন্য ইরানি রক্ষীদের ব্যাপক প্রশংসা করেন। ওইসময় ডা. মাসুদ বলেছিলেন, ‘ড্রোন ভূপাতিত করার মাধ্যমে আমেরিকানদের মুখে জোরালো ঘুষি দেওয়া হলো। জানিয়ে দেওয়া হলো ইরান তাদের কাছে কখনও  আত্মসমর্পণ করবে না।’

Advertisement

তবে বর্তমানে তার মুখেই আমেরিকার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার কথা শোনা যায়। নির্বাচনের আগে কট্টরপন্থীদের ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণার মাঝে নারীর অধিকার, অধিক সামাজিক স্বাধীনতা, পশ্চিমের সঙ্গে বৈরিতায় সতর্কতা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেন মধ্যপন্থী এই নেতা।

গত ১৯ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। সেই থেকে এতদিন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন মহম্মদ মোখবর। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই দায়িত্ব পেতে চলেছেন মাসুদ।  তিনি এখন রক্ষণশীলতার বেড়াজাল কাটিয়ে মুক্ত সমাজের স্বপ্ন দেখা লাখো ইরানি নাগরিকের আশা-ভরসা। কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলিকে হারানোয় তাকে নিয়ে বাড়ছে প্রত্যাশাও।  মাসুদ সেই স্বপ্নপূরণ করতে পারেন কি না, সেদিকে চোখ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেরও।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানালেন পুতিন

Published

on

ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শনিবার (৬ জুলাই) মস্কো টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

পুতিন তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেন, ‘আমি আশা করি যে প্রেসিডেন্ট হিসাবে আপনার মেয়াদ আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের মধ্যে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবে।’

শুক্রবার (৫ জুলাই) ইরানে দ্বিতীয় দফায় (রানঅফ) প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশটির সংস্কারবাদী নেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৬৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০৩ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলি পান ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৭৯ ভোট।

ইরানে ২০২৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হলে  আগাম নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দেয়।

গেলো ২৮ জুন ইরানে প্রথম দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সেসময় কেউ ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায়, নির্বাচন রান অফে (দ্বিতীয় দফা) গড়ায়।

Advertisement

 

এনএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি হামলায় একদিনে পাঁচ সাংবাদিক নিহত

Published

on

গাজায় ইসরাইলের হামলায় গেলো ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ সাংবাদিকসহ ২৯ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (৬ জুলাই) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, একদিনে পাঁচ সাংবাদিকের মৃত্যুর মাধ্যমে গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১৫৮-তে দাঁড়িয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস শুরু থেকে বলে আসছে, সংঘটিত অপরাধ যেন প্রকাশ না পায় সেজন্য ইসরাইলিরা সেনারা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের উপর ইচ্ছাকৃত হামলা চালাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক এনজিও ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট’ জানিয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যত সংঘাত হয়েছে তার মধ্যে ‘গাজার যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ছিল’। ওই বছর থেকে তারা সাংবাদিকদের হত্যার তথ্য নথিভুক্ত করা শুরু করে।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version