দেশজুড়ে
সারাদেশে বজ্রপাতে একদিনে ১১ জনের মৃত্যু
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিভিন্ন সময় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগেই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাবনাতে কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন, সিরাজগঞ্জে দুইজন, বগুড়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া যশোরে একজন, পিরোজপুরে একজন, বরগুনায় একজন, শেরপুরে একজন এবং নেত্রকোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পাবনা: রাজশাহী বিভাগের এই জেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এনামুল হক, সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার চরগোবিন্দপুর গ্রামের কালা প্রামাণিকের ছেলে কৃষক মনিরুজ্জামান জলম এবং একই উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের টাকিগাড়া গ্রামের মৃত ছায়াত শেখের ছেলে কৃষক রফিকুল ইসলাম।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলীতে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের বাগডুমুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন-সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের বাগডুমুর গ্রামের নাছির শেখের ছেলে আব্দুল মালেক এবং একই গ্রামের আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে সোলাইমান শেখ। জমিতে ধান কাটার সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে তারা মারা যান।
বগুড়া: বিকেলে জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের সিংজানী গ্রামে বজ্রপাতে লোকমান আলী নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর: সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যশোরের চৌগাছার তেঘরী গ্রামের মাঠে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম বছির উদ্দিন।
পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম হোসনে আরা বেগম। বিকেলে উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম
চট্রগ্রামে এয়ার এরাবিয়ার জরুরী অবতরণ, অল্পের জন্য রক্ষা
যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট। ফ্লাইটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে চট্টগ্রামে আসছিলো।
শুক্রবার (১০ মে) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
বিমানবন্দরের পরিচালক জানান, বিমানটি অবতরণের সময় হাইড্রোলিক পড়ে যায়। পরে বিমানটির পাইলট সতর্কতার সঙ্গে রানওয়েতে অবতরণ করে। বিমানে ১৯১ জন যাত্রী ও সাত জন ক্রু ছিলেন। সবাই নিরাপদে আছেন। যাত্রীদের কেউ এ বিষয়ে টের পাননি। এ ঘটনায় বিমানবন্দরে কোনো শিডিউল বিপর্যয় ঘটেনি।
প্রসঙ্গত, অবতরণের পরে বিমানটিকে রানওয়ে থেকে পুশ কার ট্রেলার দিয়ে টেনে হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়।
আই/এ
সিলেট
আধিপত্য বিস্তার : সংঘর্ষে ৩ ভাইসহ ৫ জন নিহত
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুর্বের বিরোধর জের। তারপর কথা কাটাকাটি-ঝগড়া। শুরু সংঘর্ষ। পরে তা ছড়িয়ে পরে দুই গ্রামের মধ্যে। এ ঘটনায় প্রাণ হরালেন তিন ভাইসহ পাঁচজন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান। এ ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছে।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন, আগোয়া গ্রামের আব্দুল কাদির (২৫), সিরাজ মিয়া (৫০) লিলু মিয়া (৪০) তার ভাই জিলু মিয়া (৪২) ও আনু মিয়া। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলায় মন্দরী ইউনিয়নের আগোয়া গ্রামে ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার সঙ্গে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী বদির মিয়ার মধ্যে পুর্বের বিরোধর জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে দুইজনের সমর্থক অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির ও স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়ার মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুইপক্ষ। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুল কাদির ও সিরাজ মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত হয় আরও শতাধিক মানুষ। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে তাদের মধ্যে লিলু নামের আরো একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরবর্তীতে সিলেটে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় লিলুর ভাই জিলু মিয়া ও আনু মিয়ার ।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষ দুই দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় সংঘর্ষকারীরা একে অন্যের বসতঘরও ভাঙচুর করেছে। ঘটনার পর থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন গ্রামের সামর্থ্যবান পুরুষরা।
জেএইচ
চট্টগ্রাম
নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার
চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করে নৌবাহিনী। চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিমান উদ্ধারের বিষয়টি কে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আকাশ থেকে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে ছিটকে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর বেলা ১১টা থেকে বিমানটি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে নৌবাহিনী।
প্রসঙ্গত, মূলত যুদ্ধবিমানটি কী কারণে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এটিতে কী ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল এবং বন্দর চ্যানেলে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে নৌবাহিনী বিমানটি উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। এক্ষেত্রে নৌবাহিনীর একাধিক ডুবুরি টিম এবং একাধিক অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন জাহাজ দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। একপর্যায়ে বাহিনীটি বিমান উদ্ধারে সফল হয়।
এএম/
-
জাতীয়4 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড5 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক2 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ6 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা4 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়6 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
খুলনা7 days ago
রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
-
বলিউড7 days ago
ভারতীর দু’চোখে জল! কী হয়েছে ‘কমেডি কুইনের’
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন