Connect with us

আওয়ামী লীগ

বিএনপির হাতেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে : কাদের

Published

on

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিকে বলছেন যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। অন্যদিকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপি নেতাকর্মীরা আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন। এই দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ দ্বারা বার বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত থাকে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর অ্যাডভোকেট সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দ্বিমুখী আচরণের কারণে জনগণ তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আজ নির্বাচন নিয়ে কথা বলে কোন মুখে? বিএনপির হাত ধরেই এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। তাদের সময়ে অনুষ্ঠিত মিরপুর ও মাগুরা উপ-নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে কলঙ্কজনক ঘটনা হিসেবে স্থান পেয়েছে।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ নাকি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম করেছে। এই দলের হাত ধরেই এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিশ্চিতভাবে বিএনপির কাছ থেকে গণতন্ত্রের পাঠ নেবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির চর্চিত গণতন্ত্রে বিশ্বাস বা আস্থা রাখে না। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষকে কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিল। গণতন্ত্রের লেবাসে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের ভূত এদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। বিএনপি এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করেছে; মানুষের ভোটাধিকারকে বারবার বাধাগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে জনগণের হৃদয়ের অনুরণন প্রতিফলিত হয় তা প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

Advertisement

তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের পথকে মসৃণ করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। সফলরাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকার কারণে বর্তমানে শেখ হাসিনাকে সমীহের দৃষ্টিতে দেখে বিশ্বের সব নেতৃবৃন্দ। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দেশের সব স্তরের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন জোরদার হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেছে। যা দেখে বিএনপি ও তার দোসরদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তাই তারা এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না।

আওয়ামী লীগ

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক : কাদের

Published

on

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার (৮ মে) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নিন্দুকেরা বিশেষ করেবিরোধীদল যে বক্তব্য রেখেছে তা হাস্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে।  অনেকের আশঙ্কা ছিল ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচন খুনোখুনি, মারামারি, রক্তারক্তি অবস্থায় সমাপ্ত হবে। এই নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে কোথাও ক্যাজুয়্যালিটি নেই, প্রাণহানির ঘটনা নেই।

তিনি বলেন, কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে, কিছু আহত হয়েছে, কিন্তু প্রাণহানির ঘটনা নেই। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০% ভোটার উপস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচনে ভোটার টার্ন আউট সন্তোষজনক। প্রাণহানি নেই নির্বাচনে- এটাকে শান্তিপূর্ণই বলতে হবে। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন খুবই দৃঢ় অবস্থা নিয়েছে। দলের নেতা কর্মীরাও যথাযথ দায়িত্ব পালন করেছে। যে কারণে প্রথম ধাপে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

সত্য কথায় যুক্তরাষ্ট্রের আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: কাদের

Published

on

আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে— এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আওয়ামী লীগ

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আছে সরকার: কাদের

Published

on

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপে আছে সরকার। যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন, দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে— এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্যান্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version