Connect with us

বিনোদন

নোবেলকে অবশেষে ডিভোর্স দিলেন সালসাবিল

Published

on

ডিভোর্স

কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেছিল কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সেই ঘটনা। হ্যাঁ, বলছি সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল ও তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের কথা। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে আলাদাই থাকছেন তারা। এর মধ্যে নোবেলকে মাদক ছেড়ে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছিলেন সালসাবিল। কিন্তু তা আর না হওয়াতে, অবশেষে নোবেলকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা করেন সালসাবিল। সঙ্গে বিভিন্ন জনের দিকে অভিযোগের আঙুলও তোলেন। তিনি লেখেন, ‘আমি হয়তো বা আগে ক্লিয়ার করিনি, ব্যাপারটা যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম।’

নোবেলকে সুযোগ দিলেও ফিরে আসেনি জানিয়ে সালসাবিল আরও লেখেন, “সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেয়ার জন্য জিজ্ঞেস করি। সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয়, কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম লল।’ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।”

তিনি আরও লেখেন, ‘আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এত অসুস্থ ছিলো না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে। সরকারি প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী; (দরকার হলে নাম বলব)। যাদের আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি। কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন (তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও)।’

নোবেলের প্রাক্তন লেখেন, ‘বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে। যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই, আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত।

Advertisement

সবশেষ তিনি লেখেন, ‘মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে। কিন্তু এসব ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর মেহরুবা সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করেন মাইনুল আহসান নোবেল। ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান তিনি। তার দরাজ কণ্ঠের গায়কী মুগ্ধ করে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের। কিন্তু সেই মুগ্ধতা ধরে রাখতে পারেননি নোবেল। বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করে এবং উদ্ভট সব কাণ্ড ঘটিয়ে কেবল নিন্দাই কুড়িয়েছেন তিনি।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

বলিউড

শুরু থেকেই যে প্রতিযোগিতা জাহ্নবী-সারার মধ্যে!

Published

on

অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপূরের হাতে এখন অনেক ছবি। কখনও অভিনয়, কখনও বা রূপসজ্জা, বিভিন্ন বিষয়ে খবরে উঠেও আসেন তিনি। সামাজিকমাধ্যমেও তার অনুরাগীর সংখ্যা অনেক। কিন্তু সমসাময়িক অভিনেত্রী সারা আলি খান একটি বিষয়ে তাকে টেক্কা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুললেন জাহ্নবী।

এ অভিনেত্রী জানাচ্ছেন, একটি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েও তিনি বাদ পড়েন। পরিবর্তে সেই ছবিতে অভিনয় করেন সারা আলি খান। কী বলে সেই ছবি থেকে জাহ্নবীকে বাদ দেয়া হয়, তা-ও জানান জাহ্নবী।

অভিনেত্রীকে কেউ বলেছিলেন, ‘কোন ছবিতে তুমি কাজ করতে চলেছ, সেটা বলেছ বলেই তোমায় সেই ছবি থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে।’

যে ছবির কথা হচ্ছে, সেটি ইতোমধ্যেই মুক্তি পেয়ে গেছে বলেও জানান জাহ্নবী। সেই ছবিতে তার পরিবর্তে সারা আলি খান অভিনয় করেন, সে কথাও জানান অভিনেত্রী। তখনই প্রশ্ন ওঠে, জাহ্নবী কি ‘সিম্বা’ ছবির ইঙ্গিত দিচ্ছেন?

রোহিত শেঠীর ছবি ‘সিম্বা’-তে রণবীর সিংহের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল সারা আলি খানকে। সেই ছবিতেই কি জাহ্নবীর অভিনয় করার কথা ছিল? ২০১৮-য় মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। সেই সময়েও খবর ছড়িয়েছিল যে, চুক্তি লঙ্ঘন করার জন্য জাহ্নবীকে ‘সিম্বা’ থেকে বাদ দেয়া হয়।

Advertisement

বর্তমানে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি’র প্রচার নিয়ে ব্যস্ত জাহ্নবী। এই ছবিতে তার বিপরীতে রয়েছেন অভিনেতা রাজকুমার রাও। ২০১৮-র জুলাইয়ে ‘ধড়ক’ ছবিতে জাহ্নবীর প্রথম অভিনয়। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন অভিনেতা ঈশান খট্টর। সেই একই বছর ডিসেম্বরে মুক্তি পায় সারা আলি খানের প্রথম ছবি ‘কেদারনাথ’। সেখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত।

দুই অভিনেত্রী একই সময়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন। আবার দুই অভিনেত্রীর মধ্যে নাকি সম্পর্কও বন্ধুত্বপূর্ণ। দুজনে একসঙ্গে ‘কফি উইথ কর্ণ’-তেও এসেছেন। কিন্তু সমসাময়িক হওয়ায় দুই অভিনেত্রীর মধ্যে যে সুক্ষ্ম প্রতিযোগিতা রয়েছে, তা-ও বোঝাই যায়।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

মায়ের গয়না যে কারণে বিক্রি করে দিলেন নিপুণ

Published

on

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে হেরে গেছেন নিপুণ আক্তার। বিদায়ী কমিটিতে তিনি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ওই নির্বাচন নিয়েও কম পানি ঘোলা হয়নি। শেষ পর্যন্ত নিপুণই ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে বসার সুযোগ পান। এবার ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিপুণের বিপক্ষে জয়ী হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এবারও আদালতে যায় বিষয়টি। মনোয়ার হোসেন ডিপজলের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে আদালত থেকে। এরপর সমিতিতে নিপুণের ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া কাজ করছে।

নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে নিপুণের রিটে। পাশাপাশি নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে নতুন করে নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

কথোপকথনের এক পর্যায়ে উঠে আসে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি প্রসঙ্গ। তখন অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করা হয় সম্প্রতি এফডিসিতে ব্যানার নিয়ে মিছিল হয়েছে। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়, নিপুণ এত টাকা কোথায় পান?

সেই প্রশ্নের উত্তর আমেরিকা থেকে দিলেন অভিনেত্রী। নিপুণ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ঢাকার তাঁতিবাজারের মুকুট জুয়েলার্সে ১৩ লাখ টাকার গয়না বিক্রি করেছি। গয়নাগুলো ছিল আমার খুব শখের। এফডিসিকে কতটা ভালোবাসি এবার ভাবুন!

নিপুণ আরো বলেন, একজন মেয়ে প্রয়োজনে তার অন্যান্য প্রিয় জিনিস বিক্রি করলেও গয়না সহজে হাত ছাড়া করে না। কিন্তু আমি সেটি করেছি। কারণ, নির্বাচনে প্রতিদিন আমার কর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় খেটেছেন, কাজ করেছেন। পাশাপাশি পোস্টার-ব্যানার করতেও খরচ হয়েছে। এর বাইরে আমি একটি টাকাও কাউকে দেইনি ভোট কেনার জন্য।

Advertisement

সম্প্রতি একটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। শফিকুল আলম পরিচালিত সিনেমার নাম ‘সুস্বাগতম’। শুক্রবারই এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।

সিনেমা ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে এই অভিনেত্রী কথা একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিপুণ বলেন, ‘সুস্বাগতম’ সিনেমার গল্পটা খুব পছন্দ হয়েছিল। কারণ, এ ধরনের গল্প আমাদের চলচ্চিত্রে খুব একটা দেখা যায় না। তাই কাজ করতে রাজি হয়ে যাই। আমাকে এখানে অর্চিতা স্পর্শিয়ার মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের গল্প মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া উচিত। এতে তরুণ-তরুণীরা বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রেরণা পাবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গেলো ১৯ এপ্রিল। এতে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। পরে নবনির্বাচিত কমিটিকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। কিন্তু এক মাস না পার হতেই কমিটি বাতিল চেয়ে ১৫ মে হাইকোর্টে রিট করেন এ অভিনেত্রী। তার রিটের প্রেক্ষিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। ফলে আপাতত ডিপজল এ পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

২০ মে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তারের অভিযোগ তদন্তেরও নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

এবার তমার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মামলা করবেন মিষ্টি

Published

on

এবার চিত্রনায়িকা তমা মির্জার বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মানহানির মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা ও দন্ত চিকিৎসক মিষ্টি জান্নাত। এর আগে তমা মির্জা ১০ কোটি টাকার মানহানির আইনি নোটিশে মিষ্টির বিরুদ্ধে। এরই প্রেক্ষিতে মিষ্টি জান্নাত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জানা গেছে, মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়া এবং দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশটি মিষ্টির বিরুদ্ধে দিয়েছেন তমা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তমা মির্জার পক্ষে নোটিশ পাঠান তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলম। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মিষ্টি জান্নাত জানান, তিনি এখনও নোটিশ পাননি। সংবাদ মাধ্যমের বরাতে এই ব্যাপারে অবগত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই আলোচিত চিত্রনায়িকা।

এই প্রসঙ্গে মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই, সাক্ষাৎকারে আমি তার নাম উল্লেখ করে কিছুই বলিনি। উনি কেন গায়ে মাখলেন জানি না। এখন আমি পাল্টা আইনি ব্যবস্থা নেব। এরকম মিথ্যা নোটিশ দিয়ে হয়রানি করার মানে কি? এখন আমাকেও আইনের দ্বারস্থ হতে হবে। এরই মধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানি করায় উল্টো ২০ কোটি টাকার মানহানি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শেষ হলেই ব্যবস্থা নেব।’

মূলত উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। মিষ্টি জান্নাতের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার মোটেও ভালোভাবে নেননি তমা মির্জা। সম্প্রতি তমা মির্জা নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এতে তমা কারো নাম উল্লেখ না করলেও স্পষ্ট তিনি মিষ্টি জান্নাতকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলেন। এরপর সবকিছু ছিল নীরব ভূমিকায়। হঠাৎ করে তমার আইনি নোটিশের খবরে ফের উত্তাল ঢালিউড।

Advertisement

মিষ্টি জান্নাত বলেন, ‘বিষয়টি ছিল জয় ভাই ও আমার মধ্যে। মাঝখানে তিনি এসে ঢুকে গেলেন। ইঙ্গিতপূর্ণ একটা স্ট্যাটাস দিয়ে শুরুটা কিন্তু তিনিই করেছেন। তারপরও আমি চুপচাপ ছিলাম। ঘটনা যখন শেষের দিকে তখন তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আমি তো তাকে নিয়ে কিছু বলিনি। সে বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে পারত। তা না করে আদালতে গিয়েছে। এখন আমিও আইনি ভাবেই বিষয়টি দেখব।’

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version