জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে গাছ লাগাতে হবে
বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রকৃতি প্রেমিক, তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বাংলার সবুজ শ্যামল প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সংসদ সদস্য ভবন চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত সারা দেশে ১ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসাবে বৃক্ষরোপণ শেষে এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলার কৃষকসহ সকল মানুষের দুঃখ দুর্দশা স্বচক্ষে দেখেছেন। বাংলার কৃষক ছিল চিরদুঃখী, শোষিত ও বঞ্চিত। সেজন্য, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন তাদের কল্যাণের কথা চিন্তা করেছেন। বাংলার মানুষের দুঃখ দুর্দশা দূর করে জীবনমান উন্নয়নের জন্য সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে রয়েছে। সেজন্য, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করতে হলে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ ঝুঁকি আরো বেড়েছে। সেজন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ও সবুজ-শ্যামল বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে সবুজ-শ্যামল রাখতে হলে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ১নং সংসদ সদস্য ভবন চত্বরে একটি কাজুবাদামের চারা রোপণ করে বলেন, বাংলাদেশ কাজুবাদাম চাষের সম্ভাবনা প্রচুর। দেশে কাজুবাদামের উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি। দেশে বিদেশে কাজুবাদামের চাহিদা প্রচুর। বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সেজন্য, দেশে কাজুবাদাম চাষ জনপ্রিয় করতে উন্নতজাতের চারা বিতরণ, প্রযুক্তি ও পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।এছাড়া, কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য কাঁচা কাজুবাদাম আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে। আশা করি ৩-৪ বছরের মধ্যে দেশে কাজুবাদামের বিপ্লব ঘটবে।
কৃষিমন্ত্রী এ সময় জাতীয় সংসদ চত্বরে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি আয়োজনের জন্য জাতীয় সংসদকে ধন্যবাদ জানান। এবং মাননীয় সংসদ সদস্যসহ সকলকে কাজুবাদামের চারা লাগানোর অনুরোধ করেন।
এস
জাতীয়
‘এখন গরিবেরা তিন বেলা ভাত খায়, ধনীরা খায় রুটি’
একসময় আমাদের খাদ্যের অভাব ছিল। অনেকেই তখন এক বেলা ভাত খেতেন। বিদেশ থেকে চাল আমদানি করে খেতে হতো। তখন ধারণা ছিল, গুদামের চাল মানেই গন্ধ চাল। আর এখন গুদামের চালের জন্য মানুষ লাইন ধরে। আগে গরিবেরা আটার রুটি খেত। সেই সময় কেউ আটা কিনলে মনে করা হতো, তিনি সবচেয়ে গরিব মানুষ। এখন গরিবেরা তিন বেলা ভাত খায় আর যারা ধনী মানুষ, তারাই কিন্তু আটার রুটি খায়। সেটা ওজন বাড়ার ভয়ে হোক কিংবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই হোক। বললেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলোতে সরকারি প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আগে খাদ্যে পুষ্টি মিশ্রণ করতে হতো না। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। খাদ্যের অভাবে কোনো মানুষ মারা গেছে, এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ।’
মন্ত্রী বলেন, এখন পাঁচ ছাঁটাই দেয়ার পর চাল চকচকে করে খেতে পারি। সেখানে চালে শুধু কার্বোহাইড্রেট ছাড়া কিছুই থাকে না। সেই কারণে আমাদের পুষ্টিগুণ সংমিশ্রণ করে বিতরণ করতে হচ্ছে। এতে অবশ্য ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বেড়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পাঁচটা ছাঁটাই করে চকচক করার জন্য কিন্তু শুধু ছাঁটাই করলেই হয় না; পিচ্ছিল করতে স্যালাইন ওয়াটার ড্রপ বাই ড্রপ দিতে হয়। আর না হলে ইউরিয়া সার গুলিয়ে স্যালাইন ওয়াটারের ব্যাগের ভেতরে এক ফোঁটা দিয়ে পানি শুকানো সেই চাল আমরা খাচ্ছি। অতএব, আমরা এই ছাঁটাই চাল বন্ধ করতে চাই।’
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা আগে এক ছাঁটাইয়ের চাল খেতাম। যার কারণে আমাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এক ছাঁটাই বা দুই ছাঁটাইয়ের বেশি চাল ছাঁটাই করা যাবে না, তাতে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। এই চিন্তাভাবনায় আমরা আছি। সেভাবে আমাদের আইনও তৈরি করা হয়েছে, বিধিমালা হচ্ছে, এখন নীতিমালা আমরা ছড়িয়ে দেব। আশা করছি, আগামী জুলাই মাসে সব মিলমালিককে ডেকে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।
এএম/
জাতীয়
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ১৬ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা
সাম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এতে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের (উফশী জাত) বীজ ও সার বিতরণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রেমাল/প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের (উফশী জাত) বীজ ও সার বাবদ ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকার প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। ২৫ জেলার ২ লাখ ২৭ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এ প্রণোদনা পাবেন বলে জানানো হয়।
এএম/
জাতীয়
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আমিরাতকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে গণভবনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলি আবদুল্লাহ খাসেফ আলহামউদির সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘ইউএই’র বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে সরকার সব সেক্টরে সবকিছুর গতি বাড়াচ্ছে। “আমরা গতি বাড়ানোর জন্য সবকিছু করছি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ চাকরি নিশ্চিত হয়ে বাংলাদেশি জনশক্তিকে ভিসা দেবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে তারা বাংলাদেশ থেকে জনবল নেবেন যাদের জন্য চাকরি অপেক্ষা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে কোনো অবৈধ অভিবাসীকে অনুমতি না দেয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। উভয় দেশ এই বিষয়ে আরও সচেতন হতে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কিছু মন্ত্রী খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবেন এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার নতুন উপায় খুঁজবেন।
তিনি বলেন, আমাদের ইতোমধ্যেই বেশ বিস্তৃত এবং গভীর বন্ধন রয়েছে, তবে আমরা এটিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।
আলহামউদি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০ মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০টি ভিসা দিচ্ছে, সরাসরি ৫০০ এবং ৫০০টি এজেন্টদের মাধ্যমে।
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, ইউএই’র প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেহেতু সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ প্রত্যাশ করেছেন সে বিষয়ে আলহামউদি বলেন, যারা আগামী দিনে বাংলাদেশ সফর করতে আসা ইউএই’র মন্ত্রীগণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।
ইউএই রাষ্ট্রদূত কন্টেইনার টার্মিনালসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
ইউএই রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়াটি মূল্য আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়টি এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
নিরাপত্তার কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে এখন ভ্রমণের আগে এয়ারলাইন্স থেকে যাত্রীদের বিস্তারিত তথ্যের প্রয়োজন হয়। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।
জেএইচ
-
চট্টগ্রাম6 days ago
কাঁঠাল-রুটি খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
-
অন্যান্য5 days ago
স্ত্রীকে গিলে খেলো অজগর, পেট কেটে বের করলেন স্বামী
-
ঢালিউড4 days ago
‘এ তো দেখি স্বপ্নে খাবার খাওয়ার মতো ঘটনা’ মিমের উদ্দেশ্যে পরীমণি!
-
টুকিটাকি4 days ago
৩ দিন নিখোঁজের পর অজগরের পেট থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার
-
বলিউড4 days ago
বয়সে ছোট পাত্রের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে সোনাক্ষী সিনহা!
-
চট্টগ্রাম6 days ago
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, নবজাতককে পেটে রেখে সেলাই
-
অপরাধ5 days ago
সহকর্মীকে হত্যার পর যা বললেন কনস্টেবল কাউসার
-
বাংলাদেশ6 days ago
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি যতদিন