Connect with us

জাতীয়

সরকার নৌপথ উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে

Published

on

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

সরকার দেশের নৌ চলাচল নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত করতে আধুনিক নৌযান তৈরি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি নৌপথ উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। বললেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

রাষ্ট্রপতি নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে বলেন, আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশের মানুষের যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রধান মাধ্যম নদী ও নৌযান। অন্যান্য পরিবহনের তুলনায় অধিকতর সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব নৌপথ দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সরকার দেশের নৌ চলাচল নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত করতে আধুনিক নৌযান তৈরি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি নৌপথ উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।

দেশে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতি বছরের মতো এ বছরও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে নৌপরিবহন ব্যবস্থা ও নৌযানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অতীব জরুরি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৩’ পালন একটি যথাযথ উদ্যোগ।

রাষ্ট্রপতি বলেন,  দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘প্রশিক্ষিত জনবল, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ জলযান, নৌ নিরাপত্তায় রাখবে অবদান’ প্রাসঙ্গিক ও যথোপযুক্ত হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌযান মালিক, শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের ভূমিকা ও দায়িত্ব অপরিসীম। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়েই সার্বিকভাবে দেশে একটি নিরাপদ নৌপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।

নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে এগিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়া যাত্রী সাধারণকে সচেতন ও সতর্ক থেকে নৌপথে চলাচল করতে হবে। কালবৈশাখী ও বর্ষা মৌসুমসহ বছরব্যাপী চলাচলরত নৌযানগুলোর সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তার বিশ্বাস। মানুষের জানমাল রক্ষা এবং দেশের ভাবমূর্তি উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রয়াসে নৌ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নৌআইন মেনে নিরাপদ নৌযান তৈরি ও দক্ষ জনবল দ্বারা নৌযান পরিচালনা করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

Advertisement
Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

জাতীয়

তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার

Published

on

তরুণ প্রজন্মদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য মেলায় উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাত করণের দিকেও নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। দেশের শিল্পখাতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

দেশনেত্রী বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন না হলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। এর ওপর গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ। পণ্য পরিবহন, সঞ্চালন, আমদানি ব্যয় অনেক বেড়েছে। ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে তা নিয়ন্ত্রণে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরকার। আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, শিল্পকে পরিবেশবান্ধব হতে হবে। যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। অল্প খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় শ্রমঘন শিল্পের মনোযোগ দিতে শিল্প মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। যেন বেশি মানুষ কাজ পায়। তিনি বলেন, ঘাত-প্রতিঘাতের মাঝেও চাকরির পেছনে ছুটে না বেড়িয়ে চাকরি দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। নারীদের আরও উদ্যোক্তা হতে হবে। তাদের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কূটনীতির পাশাপাশি, অর্থনৈতিক কূটনীতিতে গুরুত্ব দিতে দূতাবাসগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মঙ্গলবার ১৫৭ উপজেলায় সাধারণ ছুটি

Published

on

উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আগামী ২১ মে (মঙ্গলবার) দেশের ১৫৭টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. কামরুজ্জামানের ১৫ মে স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামঙ দি ডিফারেন্ট মিনিস্ট্রিজ অ্যান্ড ডিভিশনস-এর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অংশে ৩৭ নম্বর ক্রমিকের অনুবলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের চাহিদা মোতাবেক ১৫৭টি উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ২১ মে ২০২৪ তারিখ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো।

যে সব উপজেলায় ২১ মে সাধারণ ছুটি, জানতে ক্লিক করুন এখানে

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সৌদি পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু

Published

on

চলতি বছর পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬০ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনও ভিসা হয়নি ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর।

রোববার (১৯ মে) রাত ২টার হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। গতকাল ১৮ মে মো. মোস্তফা নামের এ হজযাত্রী মক্কায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর-ইজি ০৭৪০৮৪৭। এর আগে, গেলো ১৫ মে চলতি হজ মৌসুমে সৌদি আরবে প্রথম বাংলাদেশি একজন হজযাত্রী মারা যান। ওইদিন মো. আসাদুজ্জামান মদিনায় মারা যান।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ২টা পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২৫ হাজার ১৩ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৭২টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট গত ৯ মে শুরু হয়। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

Advertisement

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৬২ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবার বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩ হাজার ৩৯৫ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version