Connect with us

বাংলাদেশ

মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন খালেদা জিয়া: ফখরুল

Published

on

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করতে না দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। আজ তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক তিনি। আজ তার ন্যুনতম যে চিকিৎসার অধিকার তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে দেশ থেকে নির্বাসিত অবস্থায় রেখে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। 

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে এই সেমিনার হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

সেমিনারে ইংরেজীতে লেখা ‘Disenfranchisement under the authoritarian regime’ শীর্ষক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা চিত্র তুলে ধরা হয় এই গ্রন্থে। 

অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের আমলে ‘গুম’ হওয়া সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আবরার ইলিয়াস, বিএনপির সাজেদুল ইসলাম সুমনের ভাগনি আফরা আনজুম, ওমর ফারুকের স্ত্রী পারভীন আখতার, ছাত্রদলের মাহবুবুর রহমান বাপ্পীর বোন ঝুমুর আখতার তাদের স্বজনদের সন্ধান চেয়ে আবেগময় কণ্ঠে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ, কানাডা, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের বেদনার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ৮ বছর ধরে আমরা এই পরিবারগুলোর কান্না শুনেছি, শিশুদের কান্না শুনেছি। এখনো শিশুরা অপেক্ষা করে থাকেন কখন তার বাবা ফিরে আসবে। এরকম একটা ভয়াবহ মর্মস্পর্শী পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। বাংলাদেশে আমরা যারা আছি বারবার একথা বলার আর প্রয়োজন নেই যে, কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। 

তিনি বলেন, একটা কথা খুব পরিষ্কার মানবাধিকার ও গণতন্ত্র- এই দুইটা পরস্পরের পরিপূরক। গণতন্ত্র ছাড়া মানবাধিকার কোনো দিন রক্ষা হতে পারে না, আর মানবাধিকার ছাড়া কখনো গণতন্ত্র চলতে পারবে না। আমাদের যে মানবাধিকার ও হিউম্যান রাইটস সংগঠনগুলো আছে তাদের হিসাব বছরে প্রায় ৬০৭ জন গুম হয়ে গেছে। আমাদের প্রায় সহস্রাধিক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যা করা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা। ঢাকা কোর্টে যান, জেলা আদালতগুলোতে যান দেখবেন, যারা আসামি হয়ে আসছেন তাদের ৯০ ভাগ বিএনপির নেতাকর্মী।

দেশের বিচার বিভাগ ও প্রশাসন দলীয়করণের অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে, বিচার বিভাগের ওপর এদেশের মানুষ কোনো আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ বিচার বিভাগের কাছে মানুষ কোনো বিচার পাচ্ছে না। প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে, গণমাধ্যমকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা হয়েছে। বলতে কোনো দ্বিধা নেই আজকে যারা গণমাধ্যমকর্মী আছেন তারা সবচেয়ে অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছেন। ডিজিটাল সিকিউরিটির অ্যাক্টের মাধ্যমে এখন কথা বলার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।  এই অবস্থা থেকে উত্তরণে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ‘জাতীয় ঐক্য’ সৃষ্টি করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপির স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তী উদযাপনে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিনের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, অর্থনীতিবিদ মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক তাজমেরী ইসলাম, আবদুস সালাম, অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ। 

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, শওকত মাহমুদ, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, হাবিবুর রহমান হাবিব, মজিবর রহমান সারোয়ার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, তাবিথ আউয়াল, আতিকুর রহমান রুম্মন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ। 

Advertisement

এস

আইন-বিচার

আপাতত বহালই থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা

Published

on

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালতের রায় বহাল রাখেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রইলো। শুনানির জন্য আবেদনটি বৃহস্পতিবারের কার্যতালিকায় ৮ নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছিল।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে পাঁচ বছর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরির নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে আসে।

পরে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু গেলো ৯ জুন প্রাথমিক শুনানির পর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কোটা পদ্ধতি বাতিল করার আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষণ করা হতো। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ছিল ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ কোটা।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সচিব সভা আজ

Published

on

সচিব সভা অনুষ্ঠিত হবে আজ।‌ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সব সচিবদের নিয়ে এ সভা হবে। এতে অংশ নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের পাঠানো হয়েছে।

যখন সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খুবই জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে, তখন সব সচিবের অংশগ্রহণে সভাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সচিব সভায় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিষয়টি আলোচিত হতে পারে। কারণ আলোচ্য সূচিতে শুদ্ধাচার ও সুশাসনের বিষয়টিও রয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি দ্বিতীয় সচিব সভা। সর্বশেষ গেলো ৫ ফেব্রুয়ারি সচিব সভা হয়ে। ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগের সচিব সভাগুলোতে নেওয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

পুত্রের আশায় তৃতীয় সন্তানও মেয়ে, বিক্রি করে দিলেন বাবা!

Published

on

পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম দেয় এক দম্পতি। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন ওই কন্যাসন্তানটি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

অভিযুক্ত বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্তানকে বিক্রি করিনি, এক আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে গত ২৭ জুন রাতে উপজেলার দোভাষী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (২৯ জুন) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।

Advertisement

জানা যায়, হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নবজাতকের বাবা গেলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই দম্পতি ১৪ বছর ধরে নিঃসন্তান।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়ের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি কৌশলে ওই শিশুর একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিলের টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। পরে বুধবার (৩ জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version