Connect with us

বাংলাদেশ

সাড়ে ১১ হাজার প্রবাসী বিদেশের কারাগারে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Published

on

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারগুলোতে সাড়ে ১১ হাজার ৪৫০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (১ জুলাই) সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত সরকারি দলের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদেশে বাংলাদেশী মিশনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পর্তুগালে দুইজন, মিশরে ছয়জন, ইতালিতে ৮১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, কোরিয়ায় ছয়জন, শ্রীলঙ্কায় তিনজন, কাতারে ৪১৫ জন, লিবিয়ায় নয়জন, স্পেনে ১৯ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, চীনে ১৯১ জন, আরব আমিরাতে ৪০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, সৌদি আরবে ৫ হাজার ৭৪৬ জন, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, আলজেরিয়ায় পাঁচজন, থাইল্যান্ডে চারজন, লেবাননে ২৮ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, ইরাকে ২১৭ জন, তুরস্কে ৫০৮ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ জন, জাপানে দুইজন ও জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছেন।

এছাড়াও ভারতে এক হাজার ৫৭৯ জন, ওমানে ৪২০ জন, মোজাম্বিকে চারজন, বেলজিয়ামে দুইজন ও মালদ্বীপে ৭০ বাংলাদেশি আটক রয়েছেন।

এএম/

Advertisement

অপরাধ

পুত্রের আশায় তৃতীয় সন্তানও মেয়ে, বিক্রি করে দিলেন বাবা!

Published

on

পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম দেয় এক দম্পতি। এতে অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন ওই কন্যাসন্তানটি।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কুলালপাড়া গ্রামের সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. সাদ্দাম ও স্ত্রী সুমি আক্তারের সংসারে দুটি কন্যা সন্তানের পর তৃতীয় মেয়ে সন্তান জন্মায়। পুত্রসন্তানের আশায় তৃতীয়বারও কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়ায় অসন্তুষ্ট ছিলেন বাবা সাদ্দাম। পরে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ১৪ বছরের নিঃসন্তান এক দম্পতিকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তুলে দেন বাচ্চাটিকে।

অভিযুক্ত বাবা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সন্তানকে বিক্রি করিনি, এক আত্মীয়ের কাছে রাখতে দিয়েছি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়নে ওই অটোরিকশা চালকের স্ত্রীর প্রসববেদনা উঠলে গত ২৭ জুন রাতে উপজেলার দোভাষী বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (২৯ জুন) সকালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী।

Advertisement

জানা যায়, হাসপাতালের বিল মেটানোর জন্য নবজাতকের বাবা গেলো মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই দম্পতি ১৪ বছর ধরে নিঃসন্তান।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে এক আত্মীয়ের জন্য রক্ত দিতে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পান পারভেজ হোসেন নামের এক যুবক। নবজাতক বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে তিনি কৌশলে ওই শিশুর একটি ছবি তুলে রাখেন। পরে এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন তিনি।

উল্লেখ্য, ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অনেকেই এ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজন হাসপাতালের বিলের টাকা পরিশোধ করে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। পরে বুধবার (৩ জুলাই) স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু এবং স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূর উল্লাহর উপস্থিতিতে কন্যা শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি একলাফে বাড়লো ৮০ টাকা

Published

on

রাজধানীতে সুবাতাস আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ার অন্যতম জায়গা মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। এটি বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেই পরিচিত বেশি। আগামীকাল (৪ জুলাই) থেকে ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। প্রাপ্তবয়স্করা এতদিন ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতেন। তবে একলাফে ৫ গুণ টিকিটের মূল্যবৃদ্ধিকে অমানবিক বলছেন দর্শনার্থীরা। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শুধু বিনোদন কেন্দ্রই নয়, আশপাশের বাসিন্দারা শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে হাঁটেন। টিকিটের মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি পার্কে সকালে হাঁটতে আসা ব্যক্তিদের জন্য এক বছরের কার্ড ফি ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত গণমাধ্যকে জানান, প্রবেশমূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন এসেছে বন মন্ত্রণালয় থেকে। ফি আদায় করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আগে আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে সকালে হাঁটার জন্য ১ ঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাৎসরিক ৫০০ টাকা ফি দিয়ে একটি কার্ড নিতে হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী এখন থেকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রবেশের জন্য ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ১০০ টাকা, ১২ বছরের নিচে প্রতিজনকে ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ১০০ জনের কম শিক্ষার্থীর গ্রুপের জন্য ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের বেশি হলে ১৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করেছে। ওই সার্কুলারে বন অধিদপ্তরের সব ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে নতুন প্রবেশ ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের (১২ বছরের ঊর্ধ্বে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (১২ বছরের নিচে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীগ্রুপ ১০০ জন পর্যন্ত ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের ঊর্ধ্বে ১৫০০ টাকা ধরা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশসহ আহত ৬, কাউন্সিলরসহ ৩ জন আটক

Published

on

পাবনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পাবনার রাধানগরের সিংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই ঘটনা ঘটে। আহত ও অন্যান্য আটককৃতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, বিকেলে ওই এলাকায় পাবনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা অভিযানে যায়। এসময় তাদের আটক করে রাখেন পাবনা পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজিবসহ তার অনুসারীরা। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। এতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৪ জন ও ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে রাজিবসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের এসআই জাকির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় রাজিব কমিশনার ও তার লোকজন হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এঘটনায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version