Connect with us

জাতীয়

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি একলাফে বাড়লো ৮০ টাকা

Published

on

রাজধানীতে সুবাতাস আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ার অন্যতম জায়গা মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। এটি বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেই পরিচিত বেশি। আগামীকাল (৪ জুলাই) থেকে ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। প্রাপ্তবয়স্করা এতদিন ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতেন। তবে একলাফে ৫ গুণ টিকিটের মূল্যবৃদ্ধিকে অমানবিক বলছেন দর্শনার্থীরা। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শুধু বিনোদন কেন্দ্রই নয়, আশপাশের বাসিন্দারা শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে হাঁটেন। টিকিটের মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি পার্কে সকালে হাঁটতে আসা ব্যক্তিদের জন্য এক বছরের কার্ড ফি ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত গণমাধ্যকে জানান, প্রবেশমূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন এসেছে বন মন্ত্রণালয় থেকে। ফি আদায় করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আগে আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে সকালে হাঁটার জন্য ১ ঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাৎসরিক ৫০০ টাকা ফি দিয়ে একটি কার্ড নিতে হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী এখন থেকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রবেশের জন্য ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ১০০ টাকা, ১২ বছরের নিচে প্রতিজনকে ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ১০০ জনের কম শিক্ষার্থীর গ্রুপের জন্য ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের বেশি হলে ১৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করেছে। ওই সার্কুলারে বন অধিদপ্তরের সব ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে নতুন প্রবেশ ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের (১২ বছরের ঊর্ধ্বে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (১২ বছরের নিচে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীগ্রুপ ১০০ জন পর্যন্ত ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের ঊর্ধ্বে ১৫০০ টাকা ধরা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

 

জাতীয়

আগষ্ট-সেপ্টেম্বরে আরেকটা বন্যা হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

Published

on

আগামী মাস (আগস্ট) কিংবা তার পরের মাসেও (সেপ্টেম্বর) এ রকম আরেকটা বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টির কারণে চলমান বন্যায় দেশের ১৫ জেলা আক্রান্ত এবং প্রায় ২০ লাখ মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

শনিবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলা বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।

মহিবুবর রহমান আরও জানান, বন্যা আক্রান্ত ১৫ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ তিন কোটি ১০ লাখ টাকা, ৮ হাজার ৭০০ টন ত্রাণের চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ বস্তা শুকনো ব্যাগও অন্যান্য খাবার, শিশু খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য কেনার জন্য ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই বন্যা বিস্তৃতি লাভ করছে।

তিনি আরও বলেন, পুরো ১৫ জেলায় মানুষ পানিবন্দী নয়। কোনো কোনো জেলা আংশিকভাবে বন্যা কবলিত। এখন পর্যন্ত আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে ৩৬ হাজার ২২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।

Advertisement

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বন্যায় এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। কেউ মারা যায়নি। এর মধ্যেই পানিবন্দী মানুষ রয়েছেন। প্রতিদিনই মানুষ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বন্যা আক্রান্ত অঞ্চল নিয়ে সরকার কাজ করছে। বন্যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃতি লাভ করলে সেই জায়গাগুলোকেও আমরা এড্রেস করবো। দক্ষিণ দিকেও বন্যায় প্লাবিত হতে পারে।

আগামী বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

আজকের শিশুরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর, সবাইকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুল গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম চাওয়া ছিলো সুন্দর জীবন ও দেশের মানুষের কল্যাণ। আজকের শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক। তারাই দেশ চালাবে, তারা চাঁদেও যাবে। সেভাবেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো। আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর। শিশুরাই হবে আসল স্মার্ট, তারাই দেশ চালাবে। আমরা এক সময় চাঁদেও যাবো। তাই সবাইকে এখন থেকে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ’৭৫- এর পর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। মানুষের জানা উচিত, কিভাবে স্বাধীনতা পেলাম। স্বাধীনতার পরে যে কাজগুলো হয়েছে, সেগুলোও জানতে হবে।’

Advertisement

এরপর নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন তিনি। পরে জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন সন্ধ্যায় পদ্মা সেতু হয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ জরুরি: রাষ্ট্রপতি

Published

on

রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টকে আরও প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শনিবার (৬জুলাই) প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, পিজিআর গঠনের মাত্র ৪২ দিন পর পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি আজকের মতো সুসংগঠিত থাকলে সেদিন ঘাতকরা এভাবে বর্বরতা চালাতে পারতো না।

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশিক্ষণ জরুরি। অতীত ও ইতিহাসের শিক্ষা নিয়ে আগামী আলোকিত করতে পিজিআরকে কাজ করে যেতে হবে।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে অত্যাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তির ফলে অপারেশনাল দক্ষতা আরও বাড়বে।

Advertisement

পিজিআর সদস্যদের কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠায় অটল এবং ‘চেইন অব কমান্ডে’র প্রতি আস্থাশীল থেকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘চেইন অব কমান্ডের প্রতি আস্থাশীল থেকে আপনাদের ওপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন।’

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিশেষায়িত এই ইউনিট ১৯৭৫ সালের জুলাইয়ে প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। জাতীয় সংগীত বাজিয়ে তাকে সালাম জানান উপস্থিত পিজিআর সদস্যরা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version