Connect with us

লাইফস্টাইল

সন্তানের চোখের জ্যোতি বাড়াতে সহজ পাঁচটি খাদ্য পরামর্শ

Published

on

সন্তানের

বর্তমানে ছোট বয়স থেকেই একাধিক চোখের সমস্যা পিছু নেয়। এমনকী কোনও স্কুলের নার্সারি ক্লাসের অন্দরে তাকালেও দেখা যায় একাধিক বাচ্চা চোখে পুরু কাচের চশমা পরে বই পড়ছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন অবস্থা ঠিক কতটা শোচনীয়।

এই পরিস্থিতিতে নিজের সন্তানের চোখের দিকে খেয়াল রাখাটা খুবই জরুরি। নইলে তার চোখের পাওয়ার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। বিশেষত, বাড়ন্ত বয়সে চটজলদি মাইনাস পাওয়ার বাড়তে থাকে। এই পাওয়ারের জ্বালাতনে ছোটরা দূরের জিনিস দেখতে পায় না। এমনকী ব্ল্যাক বোর্ডের দিকে তাকিয়েও কিছু বুঝে উঠতে পারে না।

চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞদের কথায়, ছোটদের চোখের পাওয়ার খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। বিশেষত, সন্তানের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে চোখের পাওয়ার। তাই তার ডায়েটের দিকে নজর দেয়া অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে এমন কয়েকটি খাবার তার পাতে রাখতে হবে যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে পারে। আসুন এক নজরে জেনে নেয়া যাক।

১. ডিম

ডিমের মতো পুষ্টিকর আর একটি খাদ্যও আপনি পাবেন না। এতে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিন কিন্তু সন্তানের চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া ডিমের কুসুমে রয়েছে লিউটিন নামক একটি উপাদান। এই উপাদান কিন্তু চোখের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে পারে। এক্ষেত্রে ডিম সিদ্ধ খাওয়াতে পারলেই সবথেকে বেশি লাভ মেলে। তবে সন্তান সিদ্ধ ডিম না খেতে চাইলে ওমলেট বা পোচ করেও দিতে পারেন। এতেই বাড়ির খুদে সদস্যের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

Advertisement

২. ফ্যাটি ফিস খেলেই চোখ থাকবে সুস্থ

ছোটদের নিয়মিত ফ্যাটি ফিস খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে ফ্যাটি ফিস বলতে বিদেশি সামুদ্রিক মাছের কথা বলা হচ্ছে। এই ধরনের মাছে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিডস কিন্তু চোখের জ্যোতি বাড়াতে পারে। এমনকী ছোটদের হু হু করে মাইনাস পাওয়ার বাড়ার আশঙ্কাও কয়েকগুণ কমে এই ফ্যাটের গুণে। তাই নিয়মিত তাদের টুনা, স্যালমন ও সার্ডিনের মতো মাছ খাওয়ান। আর এর পাশাপাশি দেশি ছোট মাছ খাওয়াতেও ভুলবেন না যেন। এই মাছ খেলেও দৃষ্টি শক্তি বাড়ে।

৩. চকোলেট ও আমন্ডের যুগলবন্দি​

চকোলেটের স্বাদ সব শিশুই পছন্দ করে। সেভাবে দেখতে গেলে চকোলেট হল শিশুদের অন্যতম পছন্দের খাবার। এক্ষেত্রে ডার্ক চোকোলেটের সঙ্গে কয়েকটি আমন্ড মিশিয়েও শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এতেই তার শরীরে পৌঁছে যাবে ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু সরাসরি শিশুর চোখের জ্যোতি বাড়ায় বলে জানাচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন। তাই আর দেরি না করে এই কম্বিনেশন ফুড শিশুকে খাওয়ানো চালু করে দিন।

৪. পাত হোক রামধনুর মতো

Advertisement

ছোট বয়স থেকেই সন্তানের মধ্যে সবজি খাওয়ার অভ্যাস রোপন করে দিতে হবে। আর এই সুঅভ্যাস গঠনের সুফল তাঁরা সারা জীবন ধরে উপভোগ করবে। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রঙের শাক, সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে-এর মতো একাধিক জরুরি ভিটামিন। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েডস ও বিভিন্ন উপকারী খনিজের ভাণ্ডার হল এই সকল শাক ও সবজি। আর এই সমস্ত উপাদান দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে পারে। তাই প্রতিদিন শিশুর পাতে একটা শাক ও সবজির পদ থাকা চাই।

​৫. ফল খেলেই সমস্যা মিটবে​

ছোট্ট সোনার চোখের খেয়াল রাখতে গেলে তাকে নিয়মিত ফল খাওয়াতেই হবে। যে কোনও মৌসুমি ফলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই ফল খেলে চোখের বিভিন্ন সংক্রমণজনিত অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এমনকী চোখের জ্যোতি বাড়ানোর কাজেও বিশেষ ভূমিকা নেয় ফল। তাই রোজ একটা গোটা ফল সন্তানকে খাওয়ান।

লাইফস্টাইল

শরীর হিমশীতল রাখতে ৫ মশলার বাজিমাত

Published

on

গ্রীষ্মের সময় খাবারে তেল মশলা এড়িয়ে চলা উচিত। বেশিরভাগ মানুষই তেমনটাই বিশ্বাস করেন। তবে জানেন কী, রান্নাঘরের বেশ কয়েকটি মশলাই হয়ে উঠতে পারে গরমের বিরুদ্ধে অস্ত্র। প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া এই সাধারণ মশলাগুলি শরীরের একাধিক উপকারের পাশপাশি শরীরে ঠান্ডা রাখে।

ভ‍্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রায় প্রত‍্যেকেরই। প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগের প্রকোপ। ফলে এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখা অত‍্যন্ত জরুরী। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি মশলায়।

জিরা

জিরা প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই থাকে। রান্নার অপরিহার্য এই মশলা শরীরের জন‍্যেই অত‍্যন্ত উপকারী। শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়।

মৌরি

Advertisement

গরমের মৌসুমে মৌরি খুবই উপকারী। মৌরির একটি শীতল প্রভাব আছে। শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এটি শরীরকে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো উপাদানও মৌরিতে পাওয়া যায়।

ধনে

একাধিক গুণে সমৃদ্ধ ধনেও। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অত‍্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি, ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে এটি শরীরকে ডি-হাইড্রেশন থেকেও রক্ষা করে। ধনে বীজের নির্যাসটিতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক। এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

এলাচ

শরীর ঠান্ডা রাখতে এলাচেরও জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে ডিটক্সিফাইও করে এলাচ। এলাচের আরও অনেক গুণ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

Advertisement

পুদিনা

পুদিনা শুধুমাত্র মশলা হিসেবেই নয়, আরও অনেক কাজে ব‍্যবহার করা হয়। এটি গরমে খাওয়া খুবই ভাল। কারণ পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা রাখে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে এই ১০টি কারণ

Published

on

অত্যধিক চুল পড়া কেবল চেহারা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মনে করা হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে চুল পড়তে থাকে, কিন্তু তার আগেই অত্যধিক মাত্রায় চুল পড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী কী কারণে অত্যাধিক চুল পড়তে পারে? চলুন জেনে নেয়া যাক।

মানসিক চাপ: স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে। টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের জন্য চুল পড়ে। চুল ব্যাপকভাবে পাতলা হয়ে যায়।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি হরমোনগুলি কোনও কারণে ভারসাম্য হারায় তবে চুল অত্যধিক মাত্রায় ঝরে যেতে পারে। এছাড়া, অ্যান্ড্রোজেন, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। উপরন্তু, মেনোপজের সময় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের কারণেও হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, যা এন্ড্রোজেনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে চুল পড়তে পারে।

থাইরয়েড: স্কিনলজিক্স ও কসমেটোলজিস্ট রিতু খারিয়ানের মতে, ‘ থাইরয়েড হরমোন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এইসব হরমোন চুলের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।”

পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন ও খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে বা চরম ডায়েটের ফলেও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।

Advertisement

শারীরিক আঘাত: গুরুতর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, পোড়া বা গুরুতর অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর ফলে হঠাৎই চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: শারীরিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এইসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়তে পারে। যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধ, গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট, এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট থেকেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যেতে পারে।

প্রসবোত্তর, অসুস্থতা ও মানসিক চাপ: প্রসবের পর নানা রকম অসুস্থতা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে একজন মহিলাকে যেতে হয়। এর ফলেও অত্যধিক হারে চুল পড়তে পারে। প্রসব পরবর্তী সময়ে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চুল পড়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।

চুলের অযত্ন: চুলে  রং করা, অতিরিক্ত হিট দিয়ে স্টাইলিং চুলের নানান ক্ষতি করতে পারে। এর ফলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝড়ে যেতে পারে।

বংশগত কারণ: টাক হয়ে যাওয়া অনেকে সময় বংশগত হয়। পরিবার সূত্রে অর্থাৎ জেনেটিক কারণেও চুল ঝড়ে গিয়ে টাক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

Advertisement

বয়স: এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি কমতে থাকে। চুলের ফলিকলগুলিও চুল গোজানোর কাজ বন্ধ করতে থাকে, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

দাঁতের কালো কালো ছোপ দূর করতে যা যা করবেন

Published

on

অনেক চেষ্টার পরও দাঁতের কালো ছোপ যাচ্ছে না? খরচের ভয়ে স্কেলিং করাতে পারছেন না? সমস্যা নেই। এবার ঘরোয়া উপায়েই দাঁত হবে সুন্দর। ফিরে পাবেন হারানো উজ্জ্বলতা। শুখু মাথায় রাখুন কয়েকটা টিপস।

ঝকঝকে সাদা দাঁত সবারই চাই। কিন্তু সারাদিন বিভিন্ন খাবার খাওয়া, আর তারপর ভালো করে মুখ না ধোয়া বা নিয়ম মেনে ব্রাশ না করার ফলে সাদা দাঁতে পড়তে থাকে হলুদ-কালো ছোপ।

  • এই দাগ ছোপ দূর করতে এক চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চিমটে হলুদ গুঁড়া। এবার এই মিশ্রণ দিয়ে ব্রাশ করুন। এরপর পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে নিন। ফিরবে দাঁতের উজ্জ্বলতা।
  • লনণ ও তেলের মিশ্রণও ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক ফোঁটা সরষের তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে দাঁতে ঘষুন। ফল পাবেন নিমেষেই।
  • ঝকঝকে দাঁত পেতে পাতিলেবুর কোনও বিকল্প নেই। এক চিমটি লবণের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস, এই মিশ্রণই কাজ করবে ম্যাজিকের মতো, দাঁত হবে সাদা।
  • এছাড়া দাঁত সাদা করতে কমলা লেবুর খোসার জুড়ি মেলা ভার। সকালে ঘুম থেকে উঠে কমলালেবুর খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্ত হবে। দূর হবে মুখের দুর্গন্ধও।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version