Connect with us

লাইফস্টাইল

চুল পড়ে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে এই ১০টি কারণ

Published

on

চুল

অত্যধিক চুল পড়া কেবল চেহারা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। মনে করা হয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে চুল পড়তে থাকে, কিন্তু তার আগেই অত্যধিক মাত্রায় চুল পড়ে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কী কী কারণে অত্যাধিক চুল পড়তে পারে? চলুন জেনে নেয়া যাক।

মানসিক চাপ: স্ট্রেস থেকেও চুল পড়তে পারে। টেলোজেন এফ্লুভিয়ামের জন্য চুল পড়ে। চুল ব্যাপকভাবে পাতলা হয়ে যায়।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি হরমোনগুলি কোনও কারণে ভারসাম্য হারায় তবে চুল অত্যধিক মাত্রায় ঝরে যেতে পারে। এছাড়া, অ্যান্ড্রোজেন, বিশেষ করে অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার চুলের ফলিকলগুলিকে দুর্বল করে দেয় যার ফলে চুল পড়া বেড়ে যায়। উপরন্তু, মেনোপজের সময় বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহারের কারণেও হরমোনের নানান পরিবর্তন হয়, যা এন্ড্রোজেনের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে চুল পড়তে পারে।

থাইরয়েড: স্কিনলজিক্স ও কসমেটোলজিস্ট রিতু খারিয়ানের মতে, ‘ থাইরয়েড হরমোন হাইপোথাইরয়েডিজম এবং হাইপারথাইরয়েডিজম উভয়ই চুলের বৃদ্ধিকে ব্যাহত করতে পারে। এইসব হরমোন চুলের বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার ফলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।”

পুষ্টির ঘাটতি: ভিটামিন ও খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং চুলকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। তাই শরীরে পুষ্টির অভাব থাকলে বা চরম ডায়েটের ফলেও পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা চুলের স্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে।

Advertisement

শারীরিক আঘাত: গুরুতর শারীরিক আঘাত, যেমন দুর্ঘটনা, অস্ত্রোপচার, পোড়া বা গুরুতর অসুস্থতা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। এর ফলে হঠাৎই চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: শারীরিক সমস্যার জন্য ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু এইসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে চুল পড়তে পারে। যেমন রক্ত পাতলা করার ওষুধ, গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট, এছাড়া বেশ কিছু ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট থেকেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে বা টাক হয়ে যেতে পারে।

প্রসবোত্তর, অসুস্থতা ও মানসিক চাপ: প্রসবের পর নানা রকম অসুস্থতা ও মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে একজন মহিলাকে যেতে হয়। এর ফলেও অত্যধিক হারে চুল পড়তে পারে। প্রসব পরবর্তী সময়ে টেলোজেন এফ্লুভিয়াম চুল পড়াকে আরও ত্বরান্বিত করে।

চুলের অযত্ন: চুলে  রং করা, অতিরিক্ত হিট দিয়ে স্টাইলিং চুলের নানান ক্ষতি করতে পারে। এর ফলেও প্রচুর পরিমাণে চুল ঝড়ে যেতে পারে।

বংশগত কারণ: টাক হয়ে যাওয়া অনেকে সময় বংশগত হয়। পরিবার সূত্রে অর্থাৎ জেনেটিক কারণেও চুল ঝড়ে গিয়ে টাক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।

Advertisement

বয়স: এছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি কমতে থাকে। চুলের ফলিকলগুলিও চুল গোজানোর কাজ বন্ধ করতে থাকে, ফলে চুল পাতলা হতে শুরু করে।

কেএস/

রেসিপি

ভাত-ভর্তায় বাঙালিয়ানা

Published

on

বাঙালির পেটের সাথে মন জুড়াতে পাতে রকমারি ভর্তা, সাথে মরিচ আর পেঁয়াজ! ব্যস, আর কিছু চাই না। ভাত-ভর্তা বাঙালির ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখ ছাড়াও নিত্য দিন ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়ার চল সেই আদিকাল থেকেই। হাতের কাছে থাকা উপকরণ দিয়েই কিন্তু মজার মজার ভর্তা বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে জেনে নেই কয়েকটি জনপ্রিয় ভর্তার রেসিপি!

১. বেগুন ভর্তা

উপকরণ

বেগুন- ১টি

কাঁচামরিচ কুঁচি- ২ চা চামচ

পেঁয়াজ কুঁচি- ২ চা চামচ

ধনেপাতা কুঁচি- ১ টেবিল চামচ

Advertisement

লবণ- পরিমাণমতো

সরিষার তেল- সামান্য

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে চুলা জ্বালিয়ে একটা তাওয়ার ওপর ধুয়ে রাখা আস্ত বেগুন দিয়ে দিন। বেগুনের গায়ে কাঁটা চামচ দিয়ে কয়েকটি ছিদ্র করে দিতে হবে। মাঝারী আঁচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বেগুনটি পুড়িয়ে নিন। একটু সময় নিয়ে পোড়াতে হবে, তা না হলে ভেতরে কাঁচা থেকে যাবে। ভালোভাবে পোড়ানো হয়ে গেলে কালো হয়ে যাওয়া খোসা ফেলে দিন। তারপর বেগুনের সাথে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, ধনেপাতা কুঁচি, সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে ভর্তা মাখিয়ে নিন। ব্যস, বেগুন ভর্তা রেডি হয়ে গেলো!

২. পেঁপে ভর্তা

উপকরণ

কাঁচা পেঁপে- ২৫০ গ্রাম

Advertisement

কাঁচামরিচ- ৩টি

পেঁয়াজ কুঁচি- ১ টেবিল চামচ

সরিষার তেল- ২ চা চামচ

কালোজিরা– ১/২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে পেঁপে চাক চাক করে কেটে সেদ্ধ করে নিন অথবা ভাপিয়ে নিন। তারপর অন্য একটি প্যানে সরিষার তেল গরম করে তাতে কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি ও মরিচ হালকা করে ভেজে নিন। এবার তাতে পেঁপে দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন এবং লবণ দিয়ে দিন। ঘুঁটনি দিয়ে পেঁপে ম্যাশড করে ফেলুন। ব্যস, মজাদার পেঁপে ভর্তা রেডি!

Advertisement

৩. ১০টি ভর্তার রেসিপি এর মধ্যে আলু ভর্তা

উপকরণ

আলু- ২টি

পেঁয়াজ কুঁচি- ২ চা চামচ

শুকনো মরিচ- ২টি

লবণ- সামান্য

সরিষার তেল- সামান্য

Advertisement

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে আলু সেদ্ধ করে চটকিয়ে নিন। একটি প্যানে সরিষার তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি ও শুকনো মরিচ মুচমুচে করে ভেজে নিতে হবে। এবার ভেজে রাখা পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ, লবণ ও তেল দিয়ে আলু মাখিয়ে নিলেই আলু ভর্তা রেডি!

৪. লাউপাতার ভর্তা

উপকরণ

লাউপাতা- ৬টি

রসুন- ৪ কোঁয়া

শুকনো মরিচ- ২টি

সরিষা- ১ চা চামচ

Advertisement

লবণ- স্বাদ অনুযায়ী

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে লাউপাতাগুলো লবণ দিয়ে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিন। এবার শুকনো প্যানে টেলে নেওয়া রসুন ও মরিচের সাথে সামান্য সরিষা দিয়ে লাউপাতাগুলো পাটাতে বেটে নিন। সুস্বাদু লাউপাতা ভর্তা তৈরি হয়ে গেলো!

৫. মসুর ডালের ভর্তা

উপকরণ

সেদ্ধ করে রাখা মসুর ডাল- ১ কাপ

পেঁয়াজ কুঁচি- ১ চা চামচ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ২ চা চামচ

Advertisement

ঘি- ২ চা চামচ

লবণ- পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রণালী

সেদ্ধ করে রাখা মসুর ডালের সাথে পেঁয়াজ কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, লবণ ও ঘি দিয়ে ভালোভাবে চটকিয়ে নিয়ে তৈরি করে নিন মজাদার ডাল ভর্তা।

৬. মিষ্টি কুমড়া ভর্তা

উপকরণ

মিষ্টি কুমড়া টুকরো করে কাটা- ২ কাপ

পেঁয়াজ কুঁচি- ২ চা চামচ

Advertisement

ভাজা শুকনো মরিচ- ২টি

লবণ- স্বাদ অনুযায়ী

সরিষার তেল- ২ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে মিষ্টি কুমড়া সেদ্ধ করে নিন। অনেকে ভেজে নেওয়া কুমড়া দিয়ে ভর্তা খেতে পছন্দ করেন। এরপর সেদ্ধ বা ভাজা কুমড়া পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার কুমড়া ভর্তা।

৭. ১০টি ভর্তার রেসিপি এর মধ্যে ঢেঁড়স ভর্তা একটি

উপকরণ

ঢেঁড়স- ৫টি

Advertisement

কাঁচামরিচ কুঁচি- ১ চা চামচ

পেঁয়াজ কুঁচি- ২ চা চামচ

লবণ- পরিমাণমতো

সরিষার তেল- সামান্য

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে ঢেঁড়স সেদ্ধ করে নিয়ে তাতে মরিচ, পেঁয়াজ, লবণ ও সরিষার তেল মিশিয়ে হাত দিয়েই মাখিয়ে ফেলুন। খুব সহজেই এবং অল্প সময়ে ঢেঁড়স ভর্তা তৈরি হয়ে গেলো।

Advertisement

৮. পটল ভর্তা

উপকরণ

পটল- ৫টি

রসুন কোঁয়া- ৩টি

কাঁচামরিচ কুঁচি- ৩ চা চামচ

লবণ- স্বাদ অনুযায়ী

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে পটলগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার শুকনো প্যানে টেলে নেওয়া রসুন ও মরিচের সাথে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় বেটে নিয়ে পটল ভর্তা বানিয়ে ফেলুন।

Advertisement

৯. শিম ভর্তা

উপকরণ

শিম- ২৫০ গ্রাম

রসুন কুঁচি- ৩ চা চামচ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ২ চা চামচ

পেঁয়াজ কুঁচি- ৩ চা চামচ

লবণ- স্বাদ অনুযায়ী

Advertisement

সরিষার তেল- সামান্য

প্রস্তুত প্রণালী

সরিষার তেল দিয়ে শিমগুলো প্রথমে ভালোভাবে ভেজে নিন। সাথে লবণও দিয়ে দিতে হবে। এবার সেই তেলে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি ও কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দিন। সবকিছু একসাথে ভাজা হয়ে গেলে ব্লেন্ডার অথবা পাটাতে বেটে নিয়ে ভর্তা বানিয়ে নিন।

১০. কাচকি মাছ ভর্তা

উপকরণ

কাচকি মাছ- ১ কাপ

রসুন কুঁচি- ৩ চা চামচ

লেবুর রস- ১ চা চামচ

Advertisement

পেঁয়াজ কুঁচি- ৩ চা চামচ

কাঁচামরিচ কুঁচি- ২ চা চামচ

তেল- ২ চা চামচ

ধনেপাতা কুঁচি- ৪ চা চামচ

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে কাচকি মাছ ভালো করে বেঁছে ও ধুয়ে নিন। এবার তেল গরম করে মাছগুলো ভেজে নিন। ঐ তেলে বাকি উপকরণগুলো দিয়ে দিন। সবকিছু একসাথে ভাজা ভাজা হয়ে গেলে পাটায় বেটে নিন। চাইলে হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখেও নিতে পারেন। একটু লেবুর রস ছড়িয়ে নিলে স্বাদ আরও বেড়ে যাবে!

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

মজাদার পাকা আমের স্মুদি

Published

on

গরমে বিশেষ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে ও মানসিক প্রশান্তি পেতে চাই ঠাণ্ডা শরবত। আর এই গরমের সিজনে আম তো বেশ সহজলভ্য আর দামটাও হাতের নাগালেই আছে। কাঁচা বা পাকা আম দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ইম্যুনিটি সিস্টেম ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আজকে আমরা জেনে নিবো পাকা আম দিয়ে কীভাবে খুব সহজেই স্মুদি তৈরি করা যায়। চলুন নেয়া যাক রেসিপিটা।

পাকা আমের স্মুদি বানানোর নিয়ম

উপকরণ

বড় পাকা আম- ২টি

বিট লবণ- ১/২ চা চামচ

Advertisement

চিনি- স্বাদমতো

পুদিনা পাতা কুঁচি- ১ টেবিল চামচ

ধনিয়া পাতা কুচি- ১ টেবিল চামচ

কাঁচামরিচ কুঁচি- সামান্য

লেবুর রস- ২ টেবিল চামচ

Advertisement

ঠান্ডা পানি- প্রয়োজন অনুযায়ী

বরফ- ৫ থেকে ১০ টুকরা

এই উপকরণ ব্যবহার করে সহজেই ৪ থেকে ৫ জনের জন্যে আমের শরবত বানাতে পারবেন।

প্রস্তুত প্রণালী

১. আম ধুয়ে নিয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার ১ ইঞ্চি পরিমাপে টুকরো করে কেটে নিন।

Advertisement

২. আমের টুকরোগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। আমের ফালিগুলো দিয়ে আগে কয়েক সেকেন্ড বিট করে নিতে পারেন।

৩. এই পর্যায়ে এতে একে একে পরিমাপমতো পানি, বিট লবণ, স্বাদমতো চিনি, পুদিনা পাতা কুঁচি, ধনিয়া পাতা কুচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, লেবুর রস এ সকল উপকরণ দিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

৪. সব উপকরণ একসঙ্গে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে গ্লাসে ঢেলে ২-৩ টুকরো বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন।

আপনারা চাইলে একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে এই পাকা আমের শরবত পরিবেশন করতে পারেন।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

যে খাবারগুলো খেলে কমবে পিঠের ব্যথা

Published

on

পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই পিঠের ব্যথায় ভোগেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরে পুষ্টির অভাব সব মানুষের সমস্যা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা পিঠে ব্যথা উপশম করতে বিভিন্ন টিপস দেন। ব্যায়াম তার মধ্যে অন্যতম। এটি শুধু পেশিকে শিথিল করে না, শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ তাই নিয়মিত ব্যায়াম করাটা দরকারি।

তবে ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করলে ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা কমানো যায়। এবার দেখা যাক, যে কোন ধরনের খাবার খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমানো যায়।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ : ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ, শ্লেষের বীজ এবং মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। রান্নায় সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার : অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবারগুলি ব্যথা কমাতেও সহায়তা করতে পারে। আপনি আপনার রান্নাঘরে এমন অনেক মশলা খুঁজে পেতে পারেন, যা এই ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে লাগতে পারে। দারুচিনি, গোলমরিচ এবং আদার মধ্যে এই জাতীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ এমন একটি মশলা যা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : শরীরের প্রোটিনের অভাব প্রায়ই ব্যথা সৃষ্টি করে, তাই আপনাকে আপনার ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোমরের ব্যথা কম করতে ডিম খাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

সবুজ শাকসবজি : ফুলকপি, ব্রকোলি, পালং শাক ও বাঁধাকপির মতো সবুজ শাকসবজিও খেতে পারেন। এগুলিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে কম থাকে। এগুলিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ রয়েছে যা ব্যথা উপশমকারী হিসাবে কাজ করে। এগুলো পিঠে ব্যথার জন্য উপযোগী।

মূল জাতীয় সবজি : ব্যথা কমাতে বিটরুট, গাজর সহ মূল জাতীয় সবজিও খেতে পারেন, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। এগুলি নিয়মিত খেলে কোমরের ব্যথা কমে যেতে পারে।

তাজা ফল : ব্যথা উপশম ছাড়াও, আপনার স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন তাজা ফল খান। আনারস, আপেল, চেরি, বেরি, সাইট্রাস ফল, আঙুর ইত্যাদি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version