Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে গুলিতে নিহত ২

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে গুলি

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় একটি হাই স্কুলের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে জড়ো হওয়া ভিড়ের ওপর গুলি চালিয়ে দুই জনকে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করেছে এক বন্দুকধারী। বুধবার (৭ জুন) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৬ জুন) অঙ্গরাজ্যের রিচমন্ড শহরের হিউগেনট হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল, সেখান থেকে একদল লোক বের হয়ে আসার পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী ভিড়ের মধ্যেই পূর্বপরিচিত একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ওই ব্যক্তিসহ দুইজন নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হন।

পুলিশ ১৯ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে রিচমন্ড পুলিশের অন্তবর্তী প্রধান রিক এডওয়ার্ডস জানান, সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগের সঙ্গে দ্বিতীয় মাত্রার খুনের দুটি অভিযোগ আনা হতে পারে।

Advertisement

মাত্র একজনের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে একদল লোকের ওপর গুলি করার ঘটনাটিকে এডওয়ার্ডস ‘ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত’ বলে অভিহিত করেছেন।

নিহত দু’জন ১৮ ও ৩৬ বছর বয়সী দুই পুরুষ বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে নিহতরা পিতা ও পুত্র, একটি গণমাধ্যমের এমন খবর নিশ্চিত করেননি তিনি।

আহতদের সবাই পুরুষ এবং তাদের মধ্যে ৩১ বছর বয়সী এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অন্য চারজনের বয়স ১৪, ৩২, ৫৫ ও ৫৮ বছর।

এডওয়ার্ডস জানান, গুলিবর্ষণের ঘটনা চলার সময় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ৯ বছর বয়সী এক বালিকা চলন্ত গাড়ির ধাক্কায় আহত হয় আর আরও কয়েকজন পড়ে ব্যথা পান।

গুলি করার পর সন্দেহভাজন ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে তাকে চারটি পিস্তলসহ গ্রেপ্তার করা হয়, এর মধ্যে তিনটি থেকে সে গুলি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্র স্কুল, শপিং সেন্টার এবং গির্জার মতো জনসমাগমস্থলে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। এটি নিয়ে চলতি বছরের ১৫৭ দিনে দেশটিতে ২৭৯টি নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের।

এ তালিকায় একটি গুলিবর্ষণের ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী নিজে বাদে চারজন বা তারও বেশি গুলিবিদ্ধ অথবা নিহত হয়েছেন, এমন ঘটনাগুলোকেই শুধু নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক

‘ভগবান আমাকে একটি উদ্দেশ্য সাধনে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন’

Published

on

ছবি: এনডিটিভি

‘পরমাত্মা (ভগবান) আমাকে একটি উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পাঠিয়েছেন। এ কারণে আমি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ভগবানের কাছে উৎসর্গ করেছি।’’

তৃতীয়বারের মতো নিজের জয় নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে শনিবার (২৫ মে) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এমনই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ আমাকে ক্রেজি (পাগল) বলতে পারেন, কিন্তু আমি নিশ্চিত যে পরমাত্মা (ভগবান) আমাকে একটি উদ্দেশ্যের জন্য পাঠিয়েছেন। একবার উদ্দেশ্য পূরণ হলে আমার কাজ শেষ হবে। এ কারণে আমি নিজেকে সম্পূর্ণভাবে ভগবানের কাছে উৎসর্গ করেছি।’

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এমন দাবি আগেও করেছিলেন তবে বিশেষ কোন কাজ করার জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে তা উল্লেখ করেননি।

নরেন্দ্র মোদি দাবি করে বলেন, ‘ভগবান আমাকে বিভিন্ন কাজ করার জন্য ‘নির্দেশ’ দেন। তবে কখনো আসল উদ্দেশ্যের কথা বলেন না। ভগবান কখনো তার আসল লক্ষ্যের কথা প্রকাশ্যে বলেন না। আমি কী করি, তা দেখেন আগে। এর পরে কী করতে হবে, তা জানতে আমিও সরাসরি ভগবানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারি না।’

Advertisement

এনডিটিভির এক রিপোর্টারের  প্রশ্নের জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলোর নেতাদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে পড়লেও তিনি তাদের কাউকে শত্রু বলে মনে করেন না। ভারতকে এগিয়ে নিতে বিরোধী দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করাই তার লক্ষ্য বলে জানান।

নরেন্দ্র মোদি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করি না। আমি তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে চাই। আমি কাউকে উপেক্ষা করি না। তারা ৬০-৭০ বছর ধরে সরকার চালিয়েছে। তারা যে ভালো কাজগুলো করেছে, আমি তা থেকে শিখতে চাই।’’

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুরাতন মানসিকতা থেকে মুক্তি পেতে চাই। আমি ২১ শতকে এসে ভারতের ভবিষৎত গড়তে  কোনোভাবেই ১৮ শতাব্দীর পুরনো ঐতিহ্য ও আইনকে ব্যবহার করতে পারি না। সংস্কার, অর্জন ও রূপান্তরের মাধ্যমে আমি পরিবর্তন আনতে চাই।’

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলকে আইসিজের আদেশ মানতে হবে: ইইউ

Published

on

গাজা উপত্যকার রাফাহ অঞ্চলে ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ মানা বাধ্যতামূলক বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এক্স পোস্টে এ কথা জানিয়েছেন। বোরেল বলেন, ‘ইসরাইলকে আইসিজে-র রায় মানা বাধ্যতামূলক। সেগুলোকে সম্পূর্ণ এবং কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।’

গেলো শুক্রবার ইসরাইলকে রাফায় সামরিক অভিযান বন্ধ, সেনা প্রত্যাহার, মানবিক সাহায্য প্রবেশের জন্য রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। পাশাপাশি সংস্থাটি গাজা উপত্যাকায় আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রবেশানুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।

দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের প্রেক্ষিতে আইসিজের ১৫ সদস্যের বিচারক প্যানেল সর্বোচ্চ (১৩ বিচারক) সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই রায় দেন।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক আদালতের আদেশকে জঘন্য বললো ইসরায়েল

Published

on

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আদেশকে নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, জঘন্য ও বিরক্তিকর বলে অভিহিত করেছে ইসরায়েল। তাছাড়া দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে তাও মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২৪ মে) ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফা শহরে হামলা বন্ধের আদেশ দেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। জাতিসংঘের সর্বোচ্চ এই আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতের প্রধান বিচারপতি নওয়াফ সালাম বলেন, রাফায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেনি, বরং আরও অবনতি ঘটেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি রাফা থেকে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য ইসরায়েল যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছি বলে মনে হয় না।

জাতিসংঘের জরুরি সহায়তা প্রধান বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এমন একটি ট্র্যাজেডি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এমন পরিস্থিতির অবশ্যই অবসান হওয়া উচিত।

Advertisement

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করে রাফার দক্ষিণপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাছাড়া আদালতের আদেশের পরপরই রাফায় হামলা চালায় ইসরায়েল।

গেলো ৭ অক্টোবরের পর গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৮৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৯৩।

 

এসি//

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version