Connect with us

উত্তর আমেরিকা

গোপন নথির মামলায় আবারও অভিযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার গোপন নথি সংক্রান্ত মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা নথি ব্যবহারের মামলায় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।

শুক্রবার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭৬ বছর বয়সী ট্রাম্প গোপন নথি ও ফাইল নিজের কাছে রাখাসহ সাতটি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন বলে মার্কিন মিডিয়া জানিয়েছে। তবে অভিযোগের আরও বিশদ বিবরণ এখনও অস্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ফলে আদালতে ট্রাম্পের বিচার শুরু হবে।

বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অভিযোগ গঠন করা হলো এবং সাবেক কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম ফেডারেল অভিযোগ। অবশ্য ২০২৪ সালে নির্বাচনে আবারও রিপাবলিকান পার্টির হয়ে ভোটের লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন ট্রাম্প।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া একটি পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্দোষ এবং গেলো মঙ্গলবার মিয়ামির একটি ফেডারেল আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তাকে তলব করা হয়েছিল।

Advertisement

তিনি লিখেছেন, আমি কখনোই ভাবিনি যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের সাথে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি আরও বলেছেন: এটি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি অন্ধকার দিন। দেশ হিসেবে আমরা গুরুতরভাবে এবং দ্রুত পতনের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু একসাথে আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করব (মেক অ্যামেরিকা গ্রেট এগেইন)!

বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি গোপন নথির মামলার সাথে যুক্ত এবং সেখানে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

সিএনএন এবং এবিসি নিউজসহ অন্যান্য মার্কিন মিডিয়া বলেছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অন্তত সাতটি অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য কেবল একটি অভিযাগ থাকলেই সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অপরাধের বিচার করা যায়।

মার্কিন বিচার বিভাগ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

Advertisement

এর আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেয়ার অভিযোগে গেলো মার্চ মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই ঘটনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সাবেক কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফৌজদারি অভিযোগের সম্মুখীন হন।

আগামী বছর নিউইয়র্কে এই মামলায় তার বিচার হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হোয়াইট হাউসে ফেরার জন্য আগামী ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।

উত্তর আমেরিকা

জিম্মিদের আজ মুক্তি দিলে, কালই যুদ্ধবিরতি: বাইডেন

Published

on

হামাস যদি নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের সবাইকে আজ মুক্তি দেয়, তাহলে আগামীকাল থেকেই যুদ্ধবিরতি সম্ভব গাজায়। বললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুক্রবার (১০ মে)ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এক জনসভায় এ কথা বলেছেন তিনি।

রোবার (১২ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস যদি (আজ) সব জিম্মিকে ছেড়ে দেয়, তাহলে আগামীকালই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব। ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি এখন পুরোটাই হামাসের ওপর নির্ভর করছে। যদি হামাস (আজ) জিম্মিদের ছেড়ে দেয়, তাহলে আজ থেকেই গাজায় ইসরায়েলি অভিযান বন্ধ করা হবে এবং আগামীকাল থেকে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে।’

গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে হামাস যোদ্ধারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জনকে।

Advertisement

হামাসের অতর্কিত সেই হামলার জবাবে সেই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি এবং গোটা গাজা উপত্যকা কার্যত পরিণত হয়েছে ধ্বংস্তূপে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর গাজায় অস্থায়ী বিরতি ঘোষণা করেছিল হামাস এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সে সময় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি দেড়শ’ ফিলিস্তিনির বিপরীতে জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

বিরতির পর ফের পুর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শরু হয় হামাস ও আইডিএফের মধ্যে। এই যুদ্ধের তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র গত কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েক বার চেষ্টার পরও এখন পর্যন্ত গাজায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতি আনতে সফল হতে পারেনি। তাই বাকি ১৩২ জন জিম্মির ভাগ্যে কী ঘটছে, বা তাদের মধ্যে কয়জন এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন— তা এখনও অজানা।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার তাতে কর্ণপাত না করে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রাফায় অভিযান শুরু করে।

এই নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে সম্প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ পাঠানোয় স্থগিতাদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাকে গুলি করে মারলো পুলিশ, ভিডিও প্রকাশ

Published

on

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা পুলিশ ডেপুটি শেরিফের বডি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ফুটেজে পুলিশের ওই কর্মকর্তা দেশটির বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তাকে তার নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে এমন দৃশ্য প্রকাশ করা হয়।

মার্কিন বিমান বাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তার নাম রজার ফর্টসন। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পরই তার মৃত্যু হয়।

গেলো ৩ মে বিমানবাহিনীর ওই কর্মকর্তাকে তার ঘরের মধ্যে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলটি ছিল ফ্লোরিডা থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে।

নিহতের পরিবারের একজন আইনজীবী একজন সাক্ষীর বরাত দিয়ে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ভুল বাড়িতে ঢুকেছে।

তবে পুলিশ এই দাবির বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে যে পুলিশের ডেপুটি আত্মরক্ষায় এ গুলি করে। কারণ সেই সময় ফোর্টসনকে বন্দুক দিয়ে সজ্জিত দেখেছিল।

Advertisement

ওকালুসা কাউন্টি শেরিফ এরিক এডেন বলেছেন, ফ্লোরিডা ডিপার্টমেন্ট অফ ল এনফোর্সমেন্ট এবং স্টেট অ্যাটর্নি অফিস দ্বারা গুলি চালানোর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশের যে কর্মকর্তা তাকে গুলি করেছে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ ঘটনার পর তাকে প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। খবর-বিবিসি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

উত্তর আমেরিকা

ইসরায়েলের ওপর চটলেন বাইডেন, অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি

Published

on

ইসরায়েলের ওপর চটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েল যদি দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে আক্রমণ চালায় তবে তিনি তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবেন। হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলাকালীন প্রথমবারের মতো এটাই ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা। খবর এএফপির।

বুধবার (৮ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন বলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মার্কিন বোমা নিক্ষেপের ফলে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছেন।

মিশরীয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ অসহায় ফিলিস্তিনি। তাদের এখন আর কোথাও যাওয়ার মতো জায়গা নেই। গাজার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। এখন যদি ইসরায়েল রাফায় পূর্ণ মাত্রায় হামলা চালায় তবে আশ্রয়হীন এসব মানুষ কোথায় যাবে?

Advertisement

রাফা শহরে ইসরায়েল বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুত এমন উদ্বেগ থেকে গেলো সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলে বোমার একটি চালান বন্ধ করার পরেই নতুন করে সতর্কবার্তা দেয়া হলো।

ইসরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, যদি তারা রাফায় হামলা চালায় তবে তাদের অস্ত্র সরবরাহ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাফায় হামলা চালানোর জন্য যেসব অস্ত্র এবং কামানের গোলা ব্যবহার করা হয়েছে তা সরবরাহ করা হবে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি রাফায় আক্রমণ করবেন।

ব্যক্তিগতভাবে বেশ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত নন। তিনি রাফায় হামলা চালানোর পক্ষপাতি নন।

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ কমিয়ে দেয়ার বিষয়ে প্রশাসন এবং নিজ দলের মধ্যেও বাইডেনের ওপর চাপ বাড়ছে। সে কারণেই গত সপ্তাহে অস্ত্রের এক চালান ইসরায়েলে পাঠানো হয়নি।

Advertisement

কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অভিযানে সেখানে মানবিক বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে শুরু থেকেই সতর্ক করছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version