পরামর্শ
শরীরের বিষ দূর করবে যেসব পানীয়
ত্বকের নানাপ্রকার বিষক্রিয়া ও কিংবা বিষাক্ত টক্সিন দূর করতে প্রতিদিন সঙ্গী করে নিতে পারেন কিছু বিশেষ পানীয়কে। এসব পানীয় ত্বককে বিষমুক্ত রাখার পাশাপাশি করে তুলবে আগের চেয়ে আরও প্রাণবন্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীর কিংবা ত্বকের যেকোন দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দিতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। তবে পানি ছাড়া আপনি আরও কিছু বিশেষ পানীয় দিয়েও শরীরকে ডিটক্স অর্থাৎ ক্ষতিকারক টক্সিন বা বিষ মুক্ত রাখতে পারেন।
আসুন একে একে জেনে নিই সেসব বিশেষ পানীয়ের নাম-
এক- গ্রিন টি: শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে দারুণ কাজ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুধু ত্বকের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, টক্সিন দূর করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে।
দুই-হলুদ দুধ: গরুর তরল দুধ একবার চুলায় গরম করে তার সঙ্গে মিশিয়ে নিন আধা চামচ হলুদ। এ পানীয়ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। হলুদে থাকা ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের বিষ দূর করতে দারুণ কার্যকরী।
তিন-বিটরুট: প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস আমাদের শরীরে টক্সিন অর্থাৎ ক্ষতিকর উপাদান বাড়িয়ে তোলে। যা ত্বক ও রক্তে বিষক্রিয়ার মতো কাজ করে। যদি রক্ত ও ত্বকের বিশুদ্ধতা একসঙ্গে পেতে চান তবে ভরসা রাখতে পারেন বিটরুটের শরবতে।
চার- শসার রস: ত্বকে পানীয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে ঝটপট শসার রসে ভরসা রাখতে পারেন। এ পানীয় শরীরকে দ্রুত রিফ্রেশ করে তোলে। সেই সঙ্গে বিষমুক্ত রাখে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের।
পাচ- আদা চা: এই পানীয় ত্বক ও শরীরের শুধু টক্সিনকেই দূর করে না, বাড়িয়ে তোলে পেটের হজমশক্তির ক্ষমতাও। তাই নিজেকে ফিট রাখতে ও শরীরের দূষিত পদার্থ বের করে দিতে প্রতিদিনের সঙ্গী কের তুলতে পারেন আদা চা বা আদায় ফোটানো গরম পানীয়কে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
পরামর্শ
কানের ব্যথায় কমবে ঘরোয়া উপায়েই, রইল সহজ টিপস
কানের ব্যথা বড় কষ্ট দেয়। অল্প ঠান্ডা লাগলে, সামান্য বৃষ্টি হলে অথবা সর্দি-কাশিতে কফ জমলে কানে ব্যথা হবেই। অনেকেই ইয়ার বাড দিয়ে কানে খোঁচাখুঁচি করেন, তখনও ব্যথা হয়। কান থেকে ব্যথা মাথায় ছড়ায়। কানের যন্ত্রণায় যদি কষ্ট পান তাহলে চিন্তা নেই। উপায় আছে হাতের কাছেই। জেন নিন ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায়।
১. গরম সেঁক- কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথাতেও আরাম পাওয়া যায়। কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভেতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরমজলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার উপরে ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন। এর পর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন।
২. অলিভ তেল- কানে ব্যথা সারাতে ভাল কাজ করে অলিভ অয়েল। কানে ব্যথা করলে তিন থেকে চার ফোঁটা অলিভ ঢেলে দিন। অথবা অলিভ অয়েলে কটন বাড ভিজিয়ে কানের ফুটোয় চেপে রাখুন।
৩. রসুনের তেল- অল্প অলিভ তেলে এক কোয়া রসুন থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু’তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।
৪. আদার রস- আদা থেঁতো করে রস বের করে কানে ঢেলে দিন। সংক্রমণ কমবে। আরাম পাবেন। অথবা দুই টেবিল চামচ অলিভ তেলের সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। এই তেল কানে দিন।
৫. তুলসির রস- কয়েকটা তুলসি পাতা বেটে রস বের করে নিন। এই রস তিন থেকে চার ফোঁটা কানে ঢালুন। দিনে দু’বার করলেই ব্যথা অনেক কমে যাবে।
৬. পুদিনা পাতার রস- পুদিনা পাতার রস ড্রপারে করে নিয়ে কানে দিতে পারেন। অথবা পেপারমিন্ট অয়েল তুলোয় ভিজিয়ে কানের চারপাশে লাগান।
তবে সব টোটকা সকলের জন্য কার্যকরী না-ও হতে পারে। কোনও কিছু ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেয়া ভাল। কানে যদি একটানা যন্ত্রণা হতে থাকে তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জেএইচ
পরামর্শ
যে কৌশলগুলি মেনে চললে খাবারের অপচয় বন্ধ করা যাবে
অনেক বাড়িতেই খাবার প্রায়ই নষ্ট হয়। রান্না করার খাবার ছাড়াও অনেক সময় প্যাকেটজাত শুকনো খাবারও ফেলা যায়। অথচ খাদ্যের অপচয় রুখতে গোটা বিশ্বে নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাই অকারণে খাবার যাতে অপচয় না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি। তার জন্য দরকার পর্যাপ্ত পরিকল্পনা। একটু পরিকল্পনামাফিক কেনাকাটা এবং রান্না করলে খাবার কম নষ্ট হবে।
প্রয়োজন বুঝে কিনুন
যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই খাদ্যসামগ্রী কিনুন। দরকার হতে পারে ভেবে একসঙ্গে কিনে রেখে লাভ নেই। তাতে জিনিসপত্র বেশি নষ্ট হবে। অনেক সময় খাবারের মেয়াদ ফুরিয়ে শেষ হয়ে যায়। তখন ফেলে দেয়া ছা়ড়া উপায় নেই। রান্নার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানতে হবে। বেশি করে রান্না করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন মতো রান্না করুন।
পুরনো শেষ করে, নতুনে হাত দিন
মাসের শুরুতে নতুন মাসকাবারি জিনিসপত্র আসে। কিন্তু তখনও অনেক সময় পুরনো খাবারদাবার শেষ হয় না। সেগুলি আগে শেষ করে, তবেই নতুন প্যাকেট খুলুন। না হলে আগের কেনা খাবারগুলি পড়ে থেকে নষ্ট হবে।
ধাপে ধাপে জিনিস কিনুন
শাকসব্জি হোক কিংবা মাছ-মাংস, কিংবা প্যাকেটজাত খাবার- সব কিছুই অল্প অল্প করে কিনুন। একসঙ্গে কিনে রাখা মানেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেটা করবেন না। কাঁচা শাকসব্জি, মাছ-মাংস ২-৩ দিনের বেশি মজুত করে রাখবেন না। দরকার পড়লে তখন আবার কিনে আনুন।
মৌসুমী খাবার খান
মৌসুম অনুযায়ী বাজারের চিত্রটি বদলে যায়। নানা রকম মৌসুমী ফল এবং সবজিতে বাজার ভরে ওঠে। সঙ্গে সারা বছর পাওয়া যায়, এমন অনেক জিনিসও থাকে। আবার নানা বিদেশি ফল, সবজিও দেখা মেলে। চেষ্টা করুন মৌসুমী খাবার খাওয়ার। তাতে খানিকটা সাশ্রয়ও হবে। আবার খাবার কিনলে বেশি দিন রাখলেও নষ্ট হবে না।
জেএইচ
পরামর্শ
পেটের ব্যথা হলে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন? কখন হাসপাতালে যাবেন?
পেটের ব্যথা নানা ধরনের হয়ে থাকে। কিছু ব্যথা আছে যেগুলো হঠাৎ করে শুরু হয় এবং একটু পর ভালো হয়ে যায়। এই ব্যথা খুব তীব্র হয় না। আবার কিছু ব্যথা আছে হঠাৎ করে শুরু হলেও বেশ তীব্র ও কষ্টদায়ক হয়। আর কিছু ব্যথা একবার শুরু হলে সেটা সহজে ভালো হয় না বা বিরতি দিয়ে চলতে থাকে।
পেটব্যথা কী?
যুক্তরাজ্যের ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, পেট হল পাঁজর ও শ্রোণির (পেলভিস) মধ্যবর্তী জায়গা। এই জায়গাটা হল আমাদের পাকস্থলী, যকৃত, পিত্তথলি, অগ্ন্যাশয়, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্রের বাড়ি। এগুলোকে একসাথে পাচনতন্ত্র বলা হয়। এইসব অঙ্গের কোথাও যদি সামান্যতম অস্বস্তিও হয়, তাহলেই আমরা পেটে ব্যথা অনুভব করি।
যদিও, পেটে ব্যথা হলেই আমাদের দেশে ধরে নেয়া হয়, এটা হয়ত আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা। বিষয়টা কিন্তু মোটেও তেমন না। পেটে ব্যথা পাচনতন্ত্রের যে কোনও অঙ্গ থেকে হতে পারে। পেটের কোনও অংশে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা গুরুতর সমস্যা ডেকে আনতে পারে। চিকিৎসা নেয়া না হলে এটি খারাপ থেকে খারাপতর হতে পারে।
পেটে তীব্র ব্যথা যে কারণে হতে পারে :
১. অ্যাপেনডিসাইটিস
২. গ্যাসট্রাইটিস
৩. কিডনিতে পাথর
৪. ওষুধ সেবন
৫. জীবাণুর আক্রমণ
৬. পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিস বা পিআইডি বা প্রদাহজনিত রোগ
৭. মানসিক চাপ
৮. আলসার
৯. ত্রুটিযুক্ত গর্ভধারণ
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
পেট ব্যথার সাথে নিচের উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:
১. পেট ব্যথা যদি দ্রুত বাড়তে থাকে
২. পেট ব্যথা বা ঢেকুর তোলা থামছে না এবং একটু পর পর আবার শুরু হচ্ছে
৩. পেট ব্যথার সাথে খাবার গিলতে সমস্যা হচ্ছে
৪. চেষ্টা না করেও ওজন কমছে
৫. বার বার প্রস্রাব হচ্ছে কিংবা একেবারেই প্রস্রাব হচ্ছে না
৬. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হচ্ছে
৭. মলদ্বার বা মূত্রনালী থেকে রক্তপাত হচ্ছে বা অস্বাভাবিকভাবে অন্য কোনও তরল নির্গত হচ্ছে
৮. ডায়রিয়া হওয়ার কয়েক দিন পরও তা ভালো হচ্ছে না
কখন জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যাবেন?
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তথ্য বলছে, পেট ব্যথার সাথে যদি নিচের লক্ষণগুলোও থাকে তাহলে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হবে:
১. হঠাৎ করে পেট ব্যথা শুরু হওয়ার পর সেটা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে
২. পেটে স্পর্শ করলেই ব্যথা অনুভব হলে
৩. রক্ত বমি শুরু হলে বা বমির রঙ কফির মতো হলে
৪. মলের সাথে রক্ত পড়লে বা মলের রঙ কালো, আঠালো ও তীব্র দুর্গন্ধ হলে
৫. প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে
৬. মলত্যাগ বা বায়ু নির্গমন বন্ধ হয়ে গেলে
৭. নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হলে
৮. বুকের ব্যথা শুরু হলে
৯. ডায়াবেটিস থাকলে এবং বমি শুরু হলে
১০. অজ্ঞান হয়ে গেলে
জেএইচ
-
বলিউড3 days ago
রাফা হামলার প্রতিবাদ করায় কটাক্ষের শিকার মাধুরী
-
বাংলাদেশ5 days ago
জবির মসজিদে মধ্যরাতে ছাত্রী, ইমামকে অব্যাহতি
-
ঢালিউড6 days ago
গোপনে রাজ-বুবলীর বিয়ে!
-
ঢালিউড3 days ago
উপস্থাপিকা মৌসুমী মৌর করা যৌতুক মামলায় স্বামীর জামিন
-
বলিউড6 days ago
আব্রামের যোগাযোগ বাড়াতে করিনাকে অভিনব প্রস্তাব শাহরুখের
-
বলিউড6 days ago
কপিল শর্মা শো’তে কাজ দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
-
আবহাওয়া5 days ago
‘রেমাল’ শেষে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
-
বলিউড3 days ago
যে অভিনেত্রীর জন্য ‘নো কিসিং’ নীতি ভেঙেছিলেন সালমান!
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন