Connect with us

ঢাকা

আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের ৩০ লাখ নগদ টাকা দিলেন জেলা প্রশাসক

Published

on

বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ড, সহায়তায় জেলা প্রশাসন

রাজধানীর বঙ্গবাজার আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের সহায়তা ও পুনবার্সনে ধারাবাহিকভাবে করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। ঘটনাস্থলে তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্র খুলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের তালিকা অনুযায়ী ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দোকান কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।

গেল ১৭ এপ্রিল, ঢাকা জেলা প্রশাসন ৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ১০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করে। এছাড়াও ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ১১ জন দোকান কমচারীকে ১০ হাজার টাকা করে এক লাখ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রক্রিয়া এখনও চলছে।

গেল ১৯ এপ্রিল  স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ১০০ জন ব্যবসায়ীকে ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। ১৯ এপ্রিল তারিখ বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক ঢাকার সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবাজারের ৬০ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা করে সর্বমোট ২০ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

গত  শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা’র সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ দোকান কর্মচারীকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন জেলা প্রশাসক,  ঢাকা জনাব মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

এছাড়াও গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা প্রশাসক, ঢাকা মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বঙ্গবাজার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৮০ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২৪ লক্ষ টাকা বিতরণ করেন। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার “নগদ” এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের মোবাইল একাউন্টে  অর্থ প্রেরণ করা হয়।

Advertisement

এই ধারাবাহিকতায় আজ ২১জুন বুধবার সকাল ১১.০০ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জনাব মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, জেলা প্রশাসক, ঢাকা বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ ৩০০ জন কর্মচারীকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ লক্ষ টাকা বিতরণ করেন।

এসি

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

ঢাকা

মাইক্রোবাসের ওপর উল্টে গেল ধানবোঝাই ট্রাক

Published

on

রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডিতে মাইক্রোবাসের ওপর উল্টে গেছে ধানবোঝাই একটি ট্রাক। এতে যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়।

বুধবার (২৬ জুন) ভোর ৫টার দিকে ৩২ নম্বর (রাসেল স্কয়ার) মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন দু’টি সরিয়ে নিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্তব্যরত পুলিশ জানায়, ভোরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মাইক্রোবাসটি পান্থপথের দিক থেকে এসে রাসেল স্কয়ার মোড় পার হচ্ছিল। এসময় শ্যামলী-আসাদগেটের দিক থেকে আসা ট্রাকটি সাইন্সল্যাবের দিকে যাওয়ার জন্য রাসেল স্কয়ার মোড় পার হওয়ার সময় মাইক্রোবাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। এরপরই মাইক্রোর উপর ট্রাকটি উল্টে যায়।

ধানের বস্তাসহ ট্রাকটি উল্টে গেলে বস্তা থেকে ধান সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। এতে যানবাহন চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশ সড়কে পড়ে থাকা ধান সরিয়ে নেয়। এরপর গাড়ি দুইটিকে রেকার লাগিয়ে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার সময় যানবাহন দু’টিতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। তারা অক্ষত আছেন।

Advertisement

কেএস/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

‘আমাকে আর মারবেন না’ বলে আঁতকে উঠে শিশুটি!

Published

on

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে ১১ বছরের এক শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের কারণে শিশুটি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কেউ সামনে গেলেই ‘মারবেন না’ বলে চিৎকার করে উঠছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াছিন আরাফাত (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর।

স্থানীয়দের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, দেউলভোগ সবুজহাটি এলাকার ইমান আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি সাগর হাওলাদারের ছেলে নাহিদকে (১১) মোবাইল ফোন চোর অপবাদ দিয়ে সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাসার সামনে থেকে একই এলাকার মোস্তফা জামানের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত, তার বন্ধু রিয়াদ, শাহাদাৎ, শিহাবসহ বেশ কয়েকজন মিলে ধরে নিয়ে যায়।

ইয়াছিন আরাফাত ও তার লোকজন মিলে নাহিদকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গাছের ডাল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করে। খবর পেয়ে নাহিদের বাবা-মা ছেলেকে উদ্ধারের জন্য গেলে তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। পরে তারা মোবাইল ফোন উদ্ধারের জন্য নাহিদকে উলঙ্গ করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। গ্যাস লাইটের আগুনে চাবি গরম করে শরীরের বিভিন্নস্থানে ছ্যাঁকা দেয়।

Advertisement

তারা দিনভর নাহিদকে আটকে রেখে নির্যাতন করতে থাকে। নাহিদের বাবা-মা অস্থির হয়ে বেশ কয়েকবার ছেলে উদ্ধারের জন্য ইয়াছিনদের বাড়িতে গিয়ে হাতে পায়ে ধরলেও তাদের মন গলেনি। রাত ৮টার দিকে ফের নাহিদের বাবা সাগর হাওলাদার ছেলেকে আনার জন্য ইয়াছিনদের বাড়িতে গেলে দেখেন সেখানে নাহিদ নেই। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা নাহিদকে সুবজহাটি রাস্তা থেকে উদ্ধার করে তার বাবা-মাকে খবর দেন। নাহিদের বাবা-মা ছেলেকে নিয়ে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে ঢাকার সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

স্থানীয়রা জানায়, ইয়াছিন আরাফাত, রিয়াদ, শাহাদাৎ, শিহাবসহ এই গ্রুপটি বিএনপি নেতা ইদ্রিস শেখের ছত্রছায়ায় থেকে এলাকায় নানা অপকর্ম করে থাকে।

শ্রীনগর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজা পারভীন চৌধুরী বলেন, মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের কারণে শিশুটি এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। কেউ কাছে গেলেই ‘আমাকে আর মারবেন না, মারবেন না’ বলে চিৎকার করে উঠছে। শ্রীনগর উপজেলা সমাজ সেবা অফিস ছেলেটির প্রয়োজনীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।

এই ঘটনায় সাগর হাওলাদার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, শিশুটিকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা অমানবিক। পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা নিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

রাসেলস ভাইপার জমা দিয়ে পুরস্কার পেলেন ৩ জন

Published

on

নাটকিয়তার পরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার বা চন্দ্রবোড়া জমা দিয়ে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদপুরের ৩ জন।  ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এ পুরস্কার তুলে দেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ওই তিন ব্যক্তির হাতে পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ইশতিয়াক।

পুরস্কার পাওয়া আজাদ শেখ বলেন,তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। কথা রাখার জন্য জেলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ।

রেজাউল করিম বলেন, এই ৫০ হাজার টাকা তাঁর পরিবারে খুব কাজে লাগবে। পাশাপাশি সাপুড়ে না হয়েও সাপ ধরে যে টাকা পেলেন এটা একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, ঘোষণা অনুযায়ী ওই তিন ব্যক্তিকে পুরস্কারের ৫০ হাজার করে মোট দেড় লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের কথা রেখেছে। পাশাপাশি সাপ থেকে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Advertisement

এর আগে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে গেলো ২০ জুন রাসেল ভাইপার মারতে পারলে তার বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পরে একদিনের মাথায় সে ঘোষণা পরিবর্তন করে নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরে বন বিভাগে জমা দিলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।

নাটকিয়তার এখানেই শেষ নয়,  গেলো ২৪ জুন সন্ধ্যায় আগের সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেয় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে এর আগেই পুরস্কারের আশায় জীবিত তিনটি রাসেলস ভাইপার নিয়ে যান ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম, আজাদ শেখ ও শাহজাহান খান। সে সময় বনবিভাগ থেকে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না থাকায় তাদেরকে পুরস্কারের টাকা দেয়া হয়নি।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার করার আগে যারা জীবিত সাপ জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, জীবন্ত ৩টি  রাসেলস ভাইপার ফরিদপুর বন বিভাগের প্রহরী মো. জাহিদুল ইসলাম  আজ বিকেলে খুলনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে  পৌঁছে দেন।

আই/এ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version