Connect with us

শিল্প

টানা বৃষ্টিতে চামড়া নষ্টের শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

Published

on

ঈদের দিন সকাল থেকেই ছিলো টানা বৃষ্টি। এদিন বিভিন্ন এলাকার কোরবানির চামড়া দুপুর থেকে ব্যবসায়ীরা নিয়ে আসছেন লালবাগের পোস্তায়। সেখানে আড়তদাররা মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন। এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে চামড়া বিক্রি হচ্ছে। এ বছর চামড়ার দাম ভালো হলেও টানা বৃষ্টির জন্য অনেক চামড়া নষ্ট হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

তারা বলছেন, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কম আনাগোনা হওয়ায় চামড়া আমদানি কমে গেছে। আর সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকার চামড়া আনতে পারলেও ঢাকার বাইরের চামড়া সময়মতো আমাদের কাছে আনতে পারবে না। গত বছরের চেয়ে এ বছর কাঁচা চামড়া বেশি নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) লালবাগের পোস্তায় গিয়ে দেখা যায়, বিকেল ৩টার পর থেকেই সেখানে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির চামড়া আসছে।

এসময় দেখা যায়, আড়তদারদের হাঁকডাকে সরব হয়ে উঠেছে লালবাগের শায়েস্তা খান, রাজনারায়ণ ধর রোডসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছেন। রাত যত বাড়বে পোস্তায় কেনাবেচা তত জমবে।

এ দিন বড় আকারের প্রতিটি চামড়া ৮৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং ছোট ও মাঝারি আকারের চামড়াগুলো ৪৫০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর চামড়ার দাম বাড়লেও লবণের দাম ও শ্রমিক খরচ ৭০ টাকার মতো বেড়েছে।

Advertisement

পোস্তার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলা জানা যায়, এখানে চামড়া সংগ্রহের পর প্রথমে লবণজাত করা হবে। পরে তারা সাভারের ট্যানারিগুলোতে পাঠিয়ে দেবেন। এ বছর সরকার ছোট ও মাঝাড়ি সাইজের চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বড় আকারের চামড়ার দাম ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এ বছর বৃষ্টির জন্য রাতে যে চামড়াগুলো আসবে সেটার গুণগত মান ঠিক থাকবে না। অনেক চামড়া পচে যাবে। আবার এ বছর মানুষের হাতে টাকা না থাকায় কোরবানিও অনেক কম হয়েছে। ফলে দেশের সবচেয়ে বড় কাঁচা চামড়ার আড়তে গতবারের মতো এবারো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ হবে না বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

এ বিষয়ে ছমির হানিফ অ্যান্ড সন্সের মালিক হাজী মো. ছমির উদ্দিন বলেন, এখন পোস্তায় আগের মতো আর চামড়া আসে না। অনেক চামড়া সরাসরি ট্যানারিতে চলে যায়। তবে এ বছর টানা বৃষ্টি হওয়ায় অনেক চামড়া সময়মতো লবণ দিতে না পারলে নষ্ট হবে।

এদিকে পোস্তায় চামড়া বিক্রি করতে যাওয়াদের কেউ কেউ জানান ভালো দাম পাওয়ার কথা। তবে অনেকেই দাবি করছেন, তাদের লোকসান হচ্ছে।

বিক্রেতাদের দাবি নাকচ করে হিসাব কষেই সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনার দাবি ক্রেতার। তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে পর্যাপ্ত চামড়া আসছে না। বড় চামড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেটের কোন সুযোগ নেই।

 

Advertisement

জাতীয়

জিআই স্বীকৃতির অপেক্ষায় মুণিপুরী শাড়ি ও ঢাকার কাতানসহ ৭ পণ্য

Published

on

সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইল শাড়ির পর এবার বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়ি। জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য আরও অপেক্ষায় রয়েছে সিরাজগঞ্জের গামছা, ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই, ঢাকার মিরপুরের কাতান, ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলা, টাংগাইলের মধুপুরের আনারস ও মাগুরার হাজরাপুরী লিচু।

বাংলোদেশের জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের অংশ হিসেবে জিআই জার্নালে অনুমোদিত হয়েছে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মণিপুরী শাড়িসহ ৭ পণ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুব শিঘ্রই এই জার্নাল প্রকাশ করা হবে।

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে কোনো পণ্যের নাম জিআ্ই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এরপর ওই জার্নালে প্রকাশের পর ওই পণ্যের বিষয়ে কারও আপত্তি, মতামত বা চ্যালেঞ্জ আছে কিনা সেটি দেখা হয়। ওই সময়ের মধ্যে কোনো আপত্তি বা চ্যালেঞ্জ না আসলে পরবর্তীতে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। আর একাজটি করে থাকে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব কর্তৃপক্ষ।

জিআই এমন একটি ভৌগোলিক নির্দেশক যা কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের উৎপত্তি বা উৎপাদনের খ্যাতিকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ পণ্যটি ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়। একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং সেই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি মিলিয়ে জিআই পণ্য তৈরি হয়।

ওয়ার্ল্ড প্রপার্টি রাইটস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নির্দেশনা অনুযায়ী জিআই সনদ প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)।

Advertisement

ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ পাশ হওয়ার পর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য বিধিমালা-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জিআই পণ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসাবে প্রথম ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সে ধারাবাহিকতায় আমরা এগিয়ে গেছি।’

ডিপিডিটির এই মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘মহাপরিচালক হিসাবে এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়ে আসি সেপ্টেম্বরে। আমরা নবোদ্যমে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং এখন পর্যন্ত দেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা ৩১। জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদানের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে, সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  এরই মধ্যে বাংলাদেশেল বিভিন্ন জেলার আরও ৩০টি পণ্য জিআই পণ্যের স্বীকৃতির জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এসব পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা, নোয়াখালীর মহিষের দই, দিনাজপুরের বেদানা লিছু, ঝিনাইদহের ল্যাংচা মিষ্টি, খালিশপুরের সাদা চমচম, হরিনাকুণ্ডুর পান, জয়পুরহাটের লতিরাজের কচু, নওগাঁর নাক ফজলী আম, সিরাজগঞ্জের তরল দুধ এবং লুঙ্গি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কির সন্দেশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ, সুন্দরবনের মধু, পটুয়াখালীর মৃৎশিল্প, গফরগাঁওয়ের লাফা বেগুন, বান্দরবানের থামি ও মুরুংবাশি, শেরপুরের ছানার পায়েস, বরগুনার সোনামুগ ডাল, ঝালকাঠির পেয়ারা, কুমিল্লার খাদি, মানিকগঞ্জের হাজারী গুড়, বরিশালের আমড়া, মুন্সীগঞ্জের পাতক্ষীর, পিরোজপুরের মাল্টা, গাজীপুরের কাঁঠাল, মেহেরপুরের সাবিত্রী মিষ্টি ও মৌলভীবাজারের বর্ণির ধুছনির দই।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

‘বেঙ্গল গ্রুপ মানসম্পন্ন মোবাইল উৎপাদনে বদ্ধপরিকর’

Published

on

বগুড়ায় হয়ে গেলো বাংলাদেশের বহুল বিক্রিত মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড বেঙ্গল, লিনেক্স এবং মারলেক্সের রিজিওনাল ডিলার মিট অনুষ্ঠান। ছবি: বায়ান্ন্ টিভি

‘বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত লিনেক্স, বেঙ্গল এবং মারলেক্স মোবাইল বরাবরের মতো তার মানসম্মত পণ্য উৎপাদনে বদ্ধপরিকর।অভিজ্ঞ কোয়ালিটি কন্ট্রোল টিমের সহযোগিতায় প্রতিটি মোবাইল উৎপাদনের সময়ের মান শতভাগ নিশ্চিত করা হয়।’ বললেন লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী নাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র বগুড়ার পাঁচ তারকা হোটেল মমো ইন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে আয়োজিত বাংলাদেশের বহুল বিক্রিত মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড বেঙ্গল, লিনেক্স এবং মারলেক্সের রিজিওনাল ডিলার মিট অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রকৌশলী নাহিদুল ইসলাম আরও বলেন,‘সমগ্র বাংলাদেশে পণ্যের শতভাগ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বেঙ্গল, লিনেক্স এবং মারলেক্স মোবাইলের ১৮টি সার্ভিস সেন্টার এবং ৪০টি কালেকশন পয়েন্ট কাজ করে যাচ্ছে। ডিলারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আজকের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করেছে।’

লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মেহেরিন জাহান মিতুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিনেক্সের ডেপুটি ন্যাশনাল সেলস ম্যানেজার রাসেল মাহমুদ।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

শিল্প

নতুন মজুরি বাস্তবায়নে ক্রেতাদের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএ’র

Published

on

দেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের সমর্থন ও সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। প্রধান প্রধান পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিদের সংগঠন, বায়ার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে এইচএন্ডএম, মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সার, ডেকাথলন, নেক্সট সোর্সিং, জিইএমও, সেলিও, কনতুর, স্ট্যানলি/স্টেলা, ওইউএস, কেমার্ট, ওটো ইন্টারন্যাশনাল, জেনিফার, আলডি, সলস, আউচান এবং কিবাই সহ বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পোশাক সোর্সিং করা বৈশ্বিক পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর কান্ট্রি হেড ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ব্র্যান্ডদের প্রতিনিধিদের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতিসহ সামগ্রিক শিল্প বিষয়ে বিবরণ দেন। তিনি নতুন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরবরাহকারী এবং ক্রেতা উভয়কেই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে, তার ওপর বিশেষভাবে জোর দেন।

ফারুক হাসান বলেন, শিল্পের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে যে পণ্যগুলোর জাহাজীকরণ হবে, নতুন মজুরি কভার করে পণ্যগুলোর মূল্য যথাযথভাবে সমন্বয় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

দায়িত্বশীল ক্রয় চর্চার মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি ব্র্যান্ড এবং রিটেইলারদের ভবিষ্যতের সমস্ত ব্যবসায়িক আলোচনা এবং চুক্তিতে নতুন ন্যূনতম মজুরি নীতি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য অনুরোধ জানান।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version