Connect with us

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় মস্কোর বিমানবন্দর সাময়িক বন্ধ

Published

on

মস্কোর বিমানবন্দর

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এ ড্রোন হামলায় মস্কোর ভুকোভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ চলাচলে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। এ সময় কয়েকটি উড়োজাহাজকে অন্য বিমানবন্দরে ঘুরিয়ে দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। তবে এ হামলা পুরোপুরি প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা দাবি করেছে, হামলা প্রচেষ্টায় পাঁচটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়। রুশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাঁচটি ড্রোনের সবগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি’র এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে, ইউক্রেন এখন পর্যন্ত এ হামলায় সম্পৃক্ততার কথা দাবি বা স্বীকার করেনি। মস্কোর তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অন্যতম হলো ভুকোভো বিমানবন্দর। হামলা প্রচেষ্টার সময় তুরস্ক, আরব আমিরাত এবং মিসর থেকে আসা উড়োজাহাজের অবতরণে বিঘ্ন ঘটে। তবে কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পাঁচটির মধ্যে চারটি ড্রোন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়। অপরটি ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে আটকে দেয়া হয়।

টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ড্রোন অথবা এটির টুকরা ক্রিভোশিনোর একটি গ্রামের একটি ভবনের ওপর আছড়ে পড়েছে। এরপর সেই ভবনে আগুন ধরে যায়।

Advertisement

এর আগে গত মে মাসে অন্তত ৮টি ড্রোন ব্যবহার করে মস্কোয় হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। যা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর কথিত সামরিক অভিযান শুরুর পর— রাশিয়ার ভেতর প্রথম ড্রোন হামলার ঘটনা ছিল। যদিও ইউক্রেন এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে।

আন্তর্জাতিক

নিরাপত্তা পরিষদে পাশ হওয়া গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে কী থাকছে

Published

on

সংগৃহীত ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের একটি ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব’ পাস করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ।

সোমবার(১০ জুন) নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১৪ সদস্য রাষ্ট্র ওই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোট দেয়া থেকে  বিরত ছিল শুধুমাত্র রাশিয়া।

গত ৩১ মে ফিলিস্তিনের গাজায় তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের এ প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কী থাকছে বাইডেনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে:

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেওয়া প্রস্তাবে মূলত তিনটি ধাপে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। জিম্মি ও বন্দী বিনিময়ের পাশাপাশি গাজাসহ এই অঞ্চলের শান্ত পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার পূর্বাংশে সরে যাবে এবং ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের দখল করা সীমান্তে চলে যাবে। এসময় দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টা ইসরায়েলি সামরিক বা বেসামরিক বিমান গাজার  আকাশে উড়বে না।  বন্দী-জিম্মি বিনিময়ের দিন  অন্তত ১০ ঘণ্টা আগে থেকে কোনো ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান উড়বে না।

প্রথম ধাপের ৭ম দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আল-রশীদ স্ট্রিট থেকে আরও পূর্ব দিকে সরে যাবে। এই সময়ে গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা চালু এবং বেসামরিক গাজাবাসী তাদের নিজ বাড়িতে ফেরার সুযোগ পাবে।

প্রথম ধাপের ২২ দিনের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি এক-তৃতীয়াংশ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়া হবে। ইসরায়েলি বাহিনী এসময় সেন্ট্রাল গাজা থেকে সরে গিয়ে গাজা-ইসরায়েল বিভক্তকারী সীমানায় চলে যাবে। এই সময়ে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী নিজ বাড়িতে ফিরতে থাকবে।

যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে হামাস তাদের হাতে জীবিত থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। ইসরায়েলি একজন জিম্মির বিপরীতে ২০ জন করে বন্দী ফিলিস্তিনি নারী বা শিশু মুক্তি পাবে। মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের আর কখনো গ্রেপ্তার করবে না মর্মে ইসরায়েলকে নিশ্চয়তা দিতে হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে হামাসের হাতে জিম্মি প্রত্যেক ইসরায়েলি নারী সেনার বিপরীতে ৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে বাধ্য থাকবে ইসরায়েল।

Advertisement

প্রস্তাব অনুসারে, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস  এবং  পরবর্তীতে প্রতি তিন দিন পরপর ৩ জন করে ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবে।

এ ছাড়া, যুদ্ধবিরতির ১৪ তম দিনে যুদ্ধাহত হামাস যোদ্ধাসহ অন্যান্য সশস্ত্র সদস্যদের রাফাহ হয়ে মিসরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্যই এই ব্যবস্থা।

এই অঞ্চলকে শান্ত রাখার উপায় নিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ১৬ তম দিনে হামাস ও ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা শুরু করবে। প্রথম ধাপে গাজা উপত্যকায় বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করবে জাতিসংঘ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, আন্তর্জাতিক সংগঠনসহ সবাই।

বাইডেনের প্রস্তাবনায় বলা হয়, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপেই গাজার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুনরায় গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু হবে। এ জন্য  একটি সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স ফোর্সকে প্রয়োজনীয় ভারী যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া, নিজ ভূমিতে বাস্তুচ্যুত হওয়াদের  জন্য অস্থায়ী আবাস গড়ার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবনায়।

৪২ দিনব্যাপী যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে হামাস ও ইসরায়েল উভয় পক্ষই একটি স্থায়ী স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঐক্যমতে পৌঁছবে। এসময়ে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা প্রনয়ন ও  বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব আয়োজন নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপের মেয়াদও হবে ৪২ দিন। এসময় নিহত হামাস যোদ্ধা বা  ইসরায়েলি সেনাদের মরদেহ বিনিময় করা হবে। গাজা গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। তৃতীয় ধাপে  হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজায় কোনো সামরিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারবে না বলে প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপ চলার সময় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন বা পক্ষগুলো যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার কোনো সরঞ্জাম, কাঁচামাল বা অন্যান্য উপাদান আমদানি করতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, সোমবার পাশ হওয়া ওই  যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ইসরায়েল ও হামাসকে অবিলম্বে মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড। যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাবকে নতুন সুযোগ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানালেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

হজ মৌসুমে মক্কায় জন্ম নিলো প্রথম শিশু

Published

on

সৌদি আরবের মক্কায় একটি সুস্থ ছেলে শিশুর জন্ম দিয়েছেন একজন নাইজেরিয়ান হজযাত্রী। চলতি ২০২৪ সালের হজ মৌসুমে মক্কায় এটিই প্রথম কোনো শিশু জন্মদানের ঘটনা।

মক্কা ম্যাটিরনিটি অ্যান্ড চাইল্ড হাসপাতালে ওই শিশুর জন্ম হয়েছে। ওর নাম মোহাম্মদ রাখা হয়েছে। আরব নিউজ

নাইজেরিয়ান ওই নারী  ৩১ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। প্রসব বেদনা উঠলে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই তিনি ছেলে শিশুর জন্ম দেন।

৩০ বছর বয়সী ওই মা এখন সুস্থ আছেন। তবে শিশু মোহাম্মদের জন্ম কিছুটা আগে হওয়ায় তাকে বিশেষ সেবা দেয়া হচ্ছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফাঁদে ফেলে ৪ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যা করলো হামাস

Published

on

ছবি: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় রাফা শহরের একটি ভবনে অভিযানের সময় হামাস যোদ্ধাদের ঘটানো বিস্ফোরণে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৭জন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) নিহত ইসরায়েলি সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে দেশটির প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)।

সোমবারের (১০ জুন) এক ঘটনায় তারা নিহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে আইডিএফ। তবে বিয়টিকে ফাঁদ হিসেবে দেখছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী।

নিহতরা হলেন- মেজর তাল পশেবিলস্কি শাওলভ (২৪), স্টাফ সার্জেন্ট এতিন কার্লসব্রান (২০), সার্জেন্ট আলমোগ শালম (১৯) ও সার্জেন্ট ইয়ার লেভিন (১৯)। এদর মধ্যে শালম ও লেভিন প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন। আর শাওলভ ছিলেন তাদের কোম্পানি কমান্ডার।

আইডিএফ জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে একটি ভবনে অভিযানে যায় সেনারা। ওই ভবন থেকে হামাসের হামলার আশঙ্কা ছিল। তাই ইসরায়েলি সেনারা ভবনে সরাসরি প্রবেশ না করে প্রথমে বোমা ছোড়ে। এতে কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ইসরায়েলি সেনারা তিনতলা ভবনটিতে প্রবেশের কিছুক্ষণের মধ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন কয়েকজন সেনা।

Advertisement

এ ঘটনাকে ফাঁদ হিসেবে দেখছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী। তাদের দাবি, ভবনটিতে হামাসের সুড়ঙ্গ থাকার প্রমাণ মিলেছে। এর মানে এখানে হামাস যোদ্ধারা ছিল।

আইডিএফ আরও জানায়, নিহত চার সেনা ছাড়াও আরও সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। এ নিয়ে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরুর পর ২৯৯ সেনা হারাল ইসরায়েল।

এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস যোদ্ধারা তিনতলা ওই ভবনে প্রবেশ করার জন্য ইসরায়েলি সেনাদের ফাঁদে ফেলেছিলো। ইসরায়েলি  সেনারা বোমা ছোড়ার পরও হামাস যোদ্ধারা চুপ ছিলো আর অপেক্ষা করছিলো কখন তারা ভবনের  ভেতর প্রবেশ করে। বোমা ছোড়ার পর হামাস যোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় ইসরায়েলি সেনারা ওই ভবনে প্রবেশ করে। আর হামাস যোদ্ধারা এটাই চেয়েছিলেন। ইসরায়েলি সেনারা ভবনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরক দিয়ে ওই ভবনটি উড়িয়ে দেয়। ফলে হতাহত হয় ইসরায়েলি সেনারা।

হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি সেনারা যেখানে কাজ করছিল সেখানে তারা ফাঁদ তৈরি করে। ইহুদিবাদী বাহিনী যে ভবনটিতে নিজেদেরকে সুরক্ষিত করেছিলো আমাদের যোদ্ধারা বিস্ফোরক দিয়ে সেটি উড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২ শতাধিক ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় চারশো ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।  এর জবাবে ওইদিন থেকেই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আর ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৮৩ হাজারের বেশি।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version