আইন-বিচার
নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন
![নুরুল হক নুর](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2023/07/%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B2-%E0%A6%B9%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B0.jpg)
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে আবেদন করেছেন একজন আইনজীবী।
রোববার (৯ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. জিশান মাহমুদ জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে মামলার অনুমতি চেয়ে এ আবেদন করেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিবকে দেয়া আবেদনে বলা হয়, গত ৩ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারি, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ নামে তথাকথিত রাজনৈতিক দলের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ওমরাহ হজ করার কথা বলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গিয়ে আত্মস্বীকৃত ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের নির্বাচিত সরকার উৎখাতের দেশবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, পরবর্তী সময়ে ওই সংবাদকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বলে নুরুল হক নুর তা বারবার উড়িয়ে নিলেও বিগত ২২ জুন ঢাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসে রোহিঙ্গাদের জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) খাদ্য সহায়তা বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সাংবাদিকদের অবহিত করেন, ‘গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘মোসাদের সঙ্গে বৈঠক বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। যারা মোসাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, তারা নেতা হতে পারেন না।’
‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হলে বিগত ৮ জুলাই সময় টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেন্দি এন সাফাদি স্বীকার করেন যে, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুবাইয়ের সিটি সেন্টারে অবস্থিত স্টার বাকস কফি শপে ৩ ঘণ্টার বৈঠক করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন জিততে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য মেন্দি এন সাফাদির সাহায্য চান নূর।’
‘নূর ক্ষমতায় এলে ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও দেন। ইহুদিদের সমর্থন পেতে নুরুল হক নুর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মানুষকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন; যা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য।’
সরকার উৎখাতে নুর সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন দাবি করে আবেদনে বলা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর হুমকী। বিধায় নুরুল হক নুর ওরফে ভিপি নুর দণ্ডবিধির ১২৩ক/১২৪ক/৫০৫ ধারার আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন; যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিধায় তার বিরুদ্ধে উপরোক্ত ধারায় মামলা করতে আগ্রহী।
এর আগে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে মামলার আবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে শাহবাগ থানায় তিনি এ আবেদন করেন।
আইন-বিচার
পরিবহনে বিজ্ঞাপনের জন্য ফি নিতে পারবে না বিআরটিএ : হাইকোর্ট
পরিবহনের গায়ে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিবহনের মালিকের কাছ থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কোনো ফি নিতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে চলতি বছর শুরুর দিকে আইন ও বিধির অসামঞ্জস্যতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন কাজী ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিন শাহপার হাসান।
রোববার (৭ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম জানান, সংবিধানের ৮৩ অনুচ্ছেদে উল্ল্যেখ আছে আইন বা কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো কর আরোপ বা সংগ্রহ করা যাবে না। সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর কোথাও বিজ্ঞাপন ফি’র উল্লেখ না থাকলেও ২০২২ সালে বিধিমালা দিয়ে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং আইনের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। তাই বিআরটিএ বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের জন্য গাড়ির মালিকের কাঝ থেকে কোনো ফি আদায় করতে পারবে না। তবে বিআরটিএ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে জানিয়েছেন বিআরটিএর আইনজীবী রাফিউল ইসলাম।
আই/এ
আইন-বিচার
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে: আইনজীবী খুরশিদ আলম
জমি দখলসহ বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মআইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। বললেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
রোববার (৭ জুলাই) গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
খুরশিদ আলম খান জানান, অনুসন্ধান শেষ হলে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া আরেকটি অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর জন্য ২১ দিনের সময় দেয়া হয়েছে।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এরমধ্যে বেনজীরের নামে প্রায় ৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার সম্পদ, তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা, তাদের বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের নামে ৮ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসার নামে প্রায় ৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।
তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
দুদকের একজন কর্মকর্তা জানান, বেনজীরের স্থাবর-অস্থাবর প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ২৪ কাঠা জমির ওপর বেনজীরের দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়িটি জব্দ করে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া গোপালগঞ্জে বিশাল এলাকাজুড়ে রিসোর্ট, রাজধানীর গুলশানে ১০ হাজার বর্গফুটের ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাট (চারটি ফ্ল্যাট একসঙ্গে), বান্দরবানে ২৫ একর বাগানবাড়িতে রিসিভার নিয়োগ দিয়ে তত্ত্বাবধানে নেয় প্রশাসন।
গেলো ৩১ মার্চ থেকে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপর অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গেলো ১৮ এপ্রিল অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এ অনুসন্ধান শুরু হলে গেলো মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশত্যাগ করেন বেনজীর।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জীশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে ২০৫টি দলিলে ৭০২ বিঘা জমি (৩৩ শতকে এক বিঘা হিসাবে), ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ রয়েছে বলে সন্ধান পায় দুদক। এরপর গত ২৩ ও ২৬ মে এবং ১২ জুন আদালতের নির্দেশে এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এসব সম্পত্তি গড়েন বেনজীর।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পান বেনজীর। এরপর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী অবসরে যান তিনি।
এসি//
আইন-বিচার
সভাপতি হতে লাগবে এইচএসসি পাস: বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। এইচএসসি পাসের নিচে কেউ সভাপতি হতে পারবেন না, এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (৭ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে কমপক্ষে এইচএসসি পাস হতে হবে। আর একই ব্যক্তি পরপর দু’বারের বেশি সভাপতি হতে পারবেন না। গেলো ৯ মে এ ব্যাপারে গেজেট জারি করেছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ‘ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা-২০২৪’ জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার দায়িত্ব একটি ম্যানেজিং কমিটির ওপর ন্যস্ত থাকবে। নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হতে হলে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমানের (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। তা না হলে কেউ সভাপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরপর দু’বারের বেশি সভাপতি, শিক্ষক প্রতিনিধি বা অভিভাবক প্রতিনিধি হতে পারবেন না। তবে এক মেয়াদ বিরতি দিয়ে পুনরায় নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন।
-
ঢাকা5 days ago
গোপালগঞ্জে শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভাঙ্গলো ছাত্ররা!
-
ফুটবল7 days ago
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষ পেলো আর্জেন্টিনা
-
জাতীয়6 days ago
হাতিরঝিল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেল যে বাহিনী
-
ঢালিউড5 days ago
দীঘির বিয়ে? যা বললেন অভিনেত্রীর বাবা সুব্রত
-
আন্তর্জাতিক6 days ago
জেলের মধ্যেই কয়েদির সাথে শারীরিক সম্পর্ক, বিপাকে নারী কর্মকর্তা
-
অন্যান্য5 days ago
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা
-
ফুটবল4 days ago
নির্ধারিত হলো কোপার কোয়ার্টার ফাইনালের দল ও সময়
-
অপরাধ5 days ago
মেয়ের পরিকল্পনায় খুন হন সাবেক এমপির স্ত্রী: পিবিআই
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন