Connect with us

জাতীয়

উদ্বোধন হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ পয়ঃশোধনাগার

Published

on

রাজধানীর আফতাবনগর এলাকায় দৈনিক ৫০ কোটি লিটার শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার কেন্দ্র (এসটিপি) উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। দেশে এটিেই হবে প্রথম এ ধরনের প্ল্যান্ট এবং দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম একক পয়ঃশোধনাগার কেন্দ্র। এ শোধনাগারটি ৩ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্ল্যান্টে দৈনিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার ক্ষমতা আছে, যা রাজধানীর মোট পয়ঃশোধনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। প্ল্যান্টটি ২০৩০ সালের মধ্যে সারা দেশে উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্য-৬ বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

রাজধানীর আফতাবনগরে বালু নদের তীরে প্রায় ৬২ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত অত্যাধুনিক এই শোধনাগারটি দেশের পয়ঃশোধন খাতে একটি মাইলফলক প্রকল্প।

দাশেরকান্দি শোধনাগার প্ল্যান্ট, যা খিলগাঁও থানার অন্তর্গত, আফতাবনগর সংলগ্ন এবং গুলশান (একাংশ), বনানী, তেজগাঁও, নিকেতন, মগবাজার, মালিবাগ, আফতাবনগর, বাড্ডা, কলাবাগান, পান্থপথ, ধানমন্ডি (একাংশ), হাতিরঝিলসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার পয়ঃশোধনের ব্যবস্থা করবে।

Advertisement

বর্তমানে দাশেরকান্দি শোধনাগারে যেসব এলাকার পয়ঃশোধন করা হচ্ছে আগে সেসব এলাকার পয়ঃবর্জ্য সরাসরি রামপুরা খালের মাধ্যমে বালু নদে পড়ত এবং বালু নদের মাধ্যমে অন্যান্য নদী ও আশপাশের জলাশয়ের পানি দূষিত করত।

সদ্য নির্মিত দৈনিক ৫০ কোটি লিটার শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন এই পয়ঃশোধনাগারটির কার্যক্রম শুরুর ফলে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের পাশাপাশি রামপুরা খাল, বালু, শীতলক্ষা নদীসহ অন্যান্য জলাশয়ের পানির মান উন্নয়ন হতে শুরু করেছে। প্ল্যান্টটি পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও জনবান্ধব।

ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকার শতভাগ পয়ঃশোধন প্রক্রিয়ার মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী পাগলা, উত্তরা, রায়েরবাজার ও মিরপুর এলাকায় একটি করে আরও চারটি পয়ঃশোধন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। পাগলা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং রায়েরবাজারের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে।

চীনের অর্থায়নে ৩ হাজার ৪৮২.৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬২.২ একর জমিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এই অর্থের ১ হাজার ১০৬.৪২ কোটি টাকা জিওবি তহবিল থেকে, ১০ কোটি টাকা ওয়াসার তহবিল থেকে। এ ছাড়া চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে। প্রকল্পটির বাকি ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যাংকটি থেকে সহায়তা হিসেবে আসবে।

প্রকল্পটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫৬০ টন প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতাসহ একটি স্লাজ ড্রাইং-বার্নিং সিস্টেম রয়েছে। এর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১ আগস্ট। পাওয়ার চায়নার অধীন চেংডু ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের মাধ্যমে ডিজাইন ও নির্মিত প্রকল্পটি এক বছরের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

Advertisement

টিআর

জাতীয়

অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখব দিলেন প্রতিমন্ত্রী

Published

on

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে অবস্থানরত ৯৬ হাজার অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি কর্মীকে বৈধতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশটির সরকার। একইসঙ্গে দেশ‌টি বাংলাদেশ থেকে আরও ১২টি ক‌্যাটাগ‌রিতে লোক নেয়ারও আশ্বাস দিয়েছে। বললেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈ‌দে‌শিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১১ জুন) মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকের ব্রিফিংকালে তিনি এ তথ্য জানান। সম্প্রতি শ্রমবাজার ইস‌্যুতে দুবাই, ওমান ও কাতার সফর করেছেন প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

ওমান সফ‌র প্রসঙ্গে তি‌নি বলেন, ‘ওমানে ৯৬ হাজার বাংলাদেশি কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এই বৈধকরণের জন্য একটি জরিমানা নেয়া হয়। তবে সেই জরিমানাটাও মওকুফ করার জন্য আমরা ওমান সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।’

শ‌ফিকুর রহমান বলেন, ‘নতুন করে বাংলাদেশ থেকে ওমান সরকার ১২টি ক্যাটাগরিতে লোক নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ওমান দক্ষ কর্মী নিতে চায়। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। দক্ষ কর্মী যাওয়া শুরু করলে অদক্ষ কর্মীও যাওয়া শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সে ব্যবস্থা হবে।’

সংযুক্ত আরব আমিরা‌তের শ্রমবাজার নি‌য়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, দুবাই শ্রমবাজার আরও গতিশীল ও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে দুবাইয়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। দুবাই থেকে ইতোমধ্যে ৩ হাজার কর্মীর চাহিদা এসেছে। এর মধ্যে ৪০০ কর্মী দেশটিতে চলেও গেছেন। আরও ৫০০ কর্মীর যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঈদুল আজহায় বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত

Published

on

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায় শুরু হবে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর তিনটি এবং শেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) ইসলামিক ফাউন্ডেশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয়টি সকাল ৮টায়, তৃতীয়টি সকাল ৯টায়, চতুর্থটি সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ ঈদের জামাত হবে বেলা পৌনে ১১টায়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ৭টার প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইহসানুল হক। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সাবেক মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। এরপর সকাল ৮টার দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

সকাল ৯টার তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো.জসিম উদ্দিন।

Advertisement

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন মিরপুরের মহতামিম জামেয়া আরাবিয়ার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম রুহুল আমিন।

বেলা পৌনে ১১টার সর্বশেষ জামাতের ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মোকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো, আক্তার মিয়অ।

পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে একজন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা আশরাফুল ইসলাম।

আগামী সোমবার (১৭ জুন) বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হবে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘আমরা কখনোই বলিনি এমপি আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন’

Published

on

সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা আমরা কখনোই বলিনি। বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পর বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে তিনি চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত– আপনারা কী মনে করছেন? এ প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এমপি আনার, তা আমরা কখনোই বলিনি।

তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি ঝিনাইদহ সন্ত্রাস-পূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে, সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পর আপনাদের সবকিছু জানাব।

আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে ডরিন সন্দেহজনকদের নাম বলেছেন। কাদের নাম বলেছেন তিনি– এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন তদন্ত চলে তখন আমাদের মন্ত্রী, আইজিপি কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পক্ষে তদন্ত না করে কোনো কিছুই বলা সম্ভব না। আমরা মনে করি তদন্ত শেষ হলে এগুলো নিয়ে কথা বলব।

Advertisement

পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, পুলিশের ট্রেনিংয়ের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে কয়েকদিন ট্রেনিং দেওয়া হয়। যাতে মেন্টাল স্ট্রেস তাদের কম থাকে। গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে সেটা নিয়ে আইজিপি রিসার্চ করছেন।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version