নরসিংদীতে সদরে দেশীয় একনলা পিস্তল সহ নাজমুল হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নাজমুল রায়পুরা উপজেলার হরিপুর গ্রামের সুজন শিকদারের ছেলে।
গেলো বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে জেলার আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,পুলিশের হাতে আটক হওয়ার আগে নাজমুলকে স্থানীয় এলাকাবাসী টেটাঁবিদ্ধ ও অস্ত্রসহ অবস্থায় আটক করে। সেসময় তাঁর শরীরে বেশ কয়েকটি অংশে টেঁটাবিদ্ধ আছে দেখা যায়। তার ও-ই অবস্থার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ও-ই ভিডিওতে সে বলছেন " আমার বাড়ি নিলিক্ষ্যা,বাপের নাম সুজন শিকবার,বাড়ির নাম শিকদার বাড়ি। আমরা ২০ জনরে জাকিরে আনছে, ৫ লাক টাকার কন্টাকে। জাকিরের বাড়ি খোদাদিলা"।
স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ রয়েছে আলোকবালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি হাসান আলী ও ইউনিয়ন শাখা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী জাকির হোসেনের সাথে একই ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জয়নাল আবেদিনের।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শামসুল আরেফীন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাজমুলকে খোদাদিলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় ওই এলাকার শফিকুল ইসলামের ঘর থেকে নাজমুলের ব্যবহৃত একটি দেশীয় একনালা বন্দুক, দুটি কার্তুজ ও একটি কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘গতকাল খোদাদিলা মধ্যপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপের লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে অংশ নিতে একটি পক্ষ নাজমুলকে ভাড়া করে। মারামারিতে প্রতিপক্ষের টেটার আঘাতে আহত নাজমুল পালানোর সময় শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। পরে সেখান থেকে পুলিশ নাজমুলকে গ্রেপ্তার করে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার নাজমুল পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা শামসুল আরেফীন।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক অভিজিৎ চৌধুরী জানান,"উভয় পক্ষ থেকে একটি করে অভিযোগ থানায় জমা দেয়া হয়েছে ও একটি অস্ত্র উদ্ধার মামলাও ইতিমধ্যে হয়েছে। একইসঙ্গে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে"।
উল্লেখ্য, এর আগে নরসিংদীর আলোকবালীর খোদাদিলায় বংশীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির দু" গ্রুপের মধ্যে টেটা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা থেকে দফায় দফায়, ধাওয়া পালটা দাওয়ার ঘটনা ঘটে,চলে সকাল ১০ টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় আহত হয় ৮ জন,আটকও হয় ৮ জন।