Connect with us

চট্টগ্রাম

উখিয়ায় পৃথক অভিযানে ৬৩ রোহিঙ্গা আটক

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ায় পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পৃথক অভিযানে ৬৩ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে তাদের ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উখিয়া উপজেলার পৃথক স্থানে এ অভিযান চালানো করা হয় বলে নিশ্চিত করেন উখিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেহ আহমেদ।

সালেহ আহমেদ বলেন, বুধবার সকাল ১০টা থেকে রোহিঙ্গারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন চায়ের দোকান ও মুদির দোকানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে অনেক রোহিঙ্গা। এমন খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায়।

উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিনা অনুমতিতে রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। তারা ইজিবাইক ও গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিল। পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছেন।তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযানকারিরা উখিয়া বাজার থেকে ১৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরে তাদের নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসির) মাধ্যমে ক্যাম্পে হস্তান্তর করা হয়।

Advertisement

বুধবার সকালে উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল উখিয়া কলেজের সামনে পুলিশ চেকপোস্টসহ অন্যান্য ৪৫ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ক্যাম্প সিআইসির কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।

অপরাধ

বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ ৩ কারবারি আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩৩ হাজার ৪০০ ইয়াবা উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫ । এসময় এ কাজে জড়িত রোহিঙ্গাসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে। গেলো বৃহস্পতিবার (৩০মে) বিকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন এলাকার একটি বসতঘরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক ( আইন ও গণমাধ্যম ) মো. আবু সালাম চৌধুরি।

আটককৃতরা হলো, মিয়ানমার আকিয়াব জেলার ছেক্কাইম থানার ডেবাইং গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে রোহিঙ্গা নাগরিক কাশিম (২০), টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড হাবির ছড়া গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে আব্দুল মতলব (৪৫), টেকনাফ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড পুরাতন পল্লান পাড়ার মো. সৈয়দুল হকের ছেলে মো. আয়াছ (১৯)।

আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ হাবির ছড়া এলাকার জনৈক আব্দুল মতলবের পাকা বসতঘরের ভিতর ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মাদকদ্রব্যসহ কতিপয় মাদক কারবারি অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে (৩০ মে) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে র‍্যাবের অভিযানিক দল উক্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে মাদককারবারিরা ঘর থেকে বেরিয়ে পলায়নের চেষ্টাকালে এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা একটি সাদা রংয়ের শপিং ব্যাগের ভিতর হতে ৩৩,৪০০ ইয়াবা, ভেঙ্গে যাওয়া ইয়াবা ৩৫০ গ্রাম এবং ৩টি স্মার্ট ও ১টি বাটন ফোন উদ্ধার করা হয়।

Advertisement

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত কাশিম পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক ও একজন মাদক কারবারি। জিজ্ঞাসাবাদে সে বাংলাদেশে বসবাসের অবস্থান ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসের এফসিএন কার্ড কিংবা এমআরসি কার্ড নাই বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আটককৃত মাদক চক্রটি একে অপরের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবারের সাথে জড়িত।

গ্রেপ্তারকৃত কাশিম মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বহন করে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।সেসব মাদক আব্দুল মতলব ও মো. আয়াছ এর নিকট সরবরাহ করতো। পরবর্তীতে তারা পরস্পর যোগসাজশে মিয়ানমার হতে সংগ্রহকৃত মাদক স্থানীয় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট বিক্রয়সহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিল।

র‌্যাব কর্মকর্তা আবু সালাম চৌধুরি জানান, উদ্ধারকৃত মাদকসহ আটককৃত মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৩ কেজি আইসসহ মিয়ানমারের দুই নাগরিক আটক

Published

on

কক্সবাজারের টেকনাফে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ মাদকসহ (আইস) মিয়ানমারের দুই নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার (৩১ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

আটকরা হলেন মিয়ানমারের মংডু মুন্নিপাড়ার বাসিন্দা ইমান হোসেনের ছেলে মো. আলম, নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আয়াছ।

মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় বৃহস্পতিবার মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যানবাহনযোগে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। ওই তথ্যে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালীপাড়া নামক স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যায় শাহপরীর দ্বীপ থেকে হাজম পাড়াগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টের কাছে এলে তা তল্লাশির জন্য থামানো হয়। পরে ওই সিএনজিটি তল্লাশির সময় সিএনজির পেছনে দুজন যাত্রীর আচরণ সন্দেহজনক হলে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তাদের হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দিয়ে আটকদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন আবারও চালু হচ্ছে

Published

on

সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হওয়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে চলাচল করা প্রথম ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন চালু হবে আগামী ১২ জুন। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আগামী ১২ জুন থেকে পুনরায় চালু হতে যাওয়া বিশেষ ট্রেনটি চলবে ১ সপ্তাহ। এর পরে এই ট্রেনটি রেলওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচল করবে।

শুক্রবার (৩১ মে) কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি থেকে ট্রেন বন্ধের নির্দেশনা আসে।

রেলস্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী বলেন, বিশেষ ট্রেনটি যাত্রীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিশেষ সময়ে চালু করা হয়েছিলো। ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আগামী ১২ জুন থেকে পুনরায় চালু হতে যাওয়া বিশেষ ট্রেনটি চলবে ১ সপ্তাহ। এর পরে এই ট্রেনটি রেলওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচল করবে। এর আগে গত বুধবার বৃহস্পতিবার (৩০ মে) থেকে আর কক্সবাজারের পথে ছুটবে না ট্রেনটি। কারণ হিসেবে ইঞ্জিন সংকট ও লোকোমাস্টারের অভাবের কথা বলছে রেলওয়ে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চলার কথা ছিল।

জরুরি ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে কক্সবাজার স্পেশাল-৩ ও ৪ ট্রেনটি আগামী ১০ জুন পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যান্ত্রিক বিভাগ থেকে ইঞ্জিন ও লোকোমাস্টারের সংকট থাকার কথা জানানো হয়েছে। এজন্য কক্সবাজার বিশেষ ট্রেন বুধবার (২৯ মে) পর্যন্ত চলছে। ৩০ মে (বৃহস্পতিবার) থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি গেল বুধবারের পর থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাময়িক এই ট্রেন বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা নানা মন্তব্য করেন। তারা বলেন, এমনিতে শুরু থেকে এই রুটে যাত্রীদের চাহিদা ছিল বেশি। পর্যাপ্ত টিকেট ও ট্রেনের চাহিদা মেটাতে না পারায় আলোচনার মুখে পড়েছিলো রেলওয়ে বিভাগ।

Advertisement

উল্লেখ্য, ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে গেলো ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে এক জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ঈদের দিন বাদ দিয়ে ট্রেনটি চলাচলের কথা ছিল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। দফায় দফায় সময় বর্ধিত করে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চলাচলের কথা ছিল। ইদ পরবর্তী (১৭ এপ্রিল) থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ ট্রেন ফের চলাচলের অনুমতি দেয়া হলেও সময় বাড়িয়ে (২০ মে) পর্যন্ত চলতে থাকে কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন। পরে এই রেল সড়কে যাত্রী চাহিদার কারণে দ্বিতীয় দফায় সময় বাড়িয়ে ১০ জুন পর্যন্ত করে পরিবহণ বিভাগ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version