Connect with us

চট্টগ্রাম

মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন

Published

on

মোবাইল ফোনে পরিচয়। এক বছর ধরে চলে কথোপকথন। একপর্যায়ে তা গভীর প্রেমে রূপ নেয়। সবশেষ প্রেমের টানে দুই সন্তানের মা এসে হাজির হন প্রেমিকের বাড়িতে। এসে দেখেন প্রেমিক সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন। অতঃপর ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামে এ বিয়ে হয়।

প্রেমিক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মো. রাসেল (২৭) হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের তালুকদার গ্রামের আর প্রেমিকা রেবা আক্তার সুমি (২২) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট ইউনিয়নের বাসিন্দা।

রাসেলের বড় ভাই রিকশাচালক জামসেদ বলেন, এ বিষয়ে তারা আগে কিছুই জানতাম না। গত শনিবার হঠাৎ সুমি তাদের বাড়ি এসে হাজির হয়। রাসেল দৃষ্টিহীন, তার সংসার চালানোর সক্ষমতা নেই। এসব বলার পরও রাসেলকে বিয়ে করবে বলে সিদ্ধান্তে অটল থাকে সুমি। পরে দুজনকে নিয়ে আসা হয় হাতিয়া থানায়। থানা থেকে সুমির বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তার বাবা-মা কেউ সাড়া দেননি। সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার দুজনের সম্মতিতে বিয়ে হয়।

রেবা আক্তার সুমি বলেন, রাসেলের এক বন্ধুর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে দুজনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন মোবাইল ফোনে কথা হতো। এতে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। তাঁর দুটি সন্তান আছে। আগের স্বামী ট্রাকচালক। তাঁর সঙ্গে দুই বছর আগে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। এসব জেনেও রাসেল তাঁকে বিয়ে করবেন বলে জানান।

সুমি আরও বলেন, রাসেল দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এটা সুমি আগে জানতেন না। চোখে সমস্যা আছে বলে রাসেল তাঁকে জানান। কিন্তু একেবারে দৃষ্টিহীন, এটা বলেননি। এখন যেহেতু চলে এসেছেন, তাই ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করেছেন।

Advertisement

এদিকে বিয়ের খবরে এলাকার লোকজন রাসেলদের বাড়িতে ভিড় করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন বলেন, রাসেলের ভাই থানায় এসে বিষয়টি বলেছেন। পরে পুলিশ পাঠিয়ে দুজনকে থানায় আনা হয়। সুমির দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী তাঁর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি। যেহেতু তাঁরা দুজন প্রাপ্তবয়স্ক, তাই নিজেদের যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আইনগত অধিকার তাঁদের রয়েছে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

Cancel reply

চট্টগ্রাম

গোলাগুলি-বিস্ফোরণে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত

Published

on

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে আবারও কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত।

বুধবার (২৬ জুন) ভোর থেকে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের সীমান্ত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘সীমান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধিরা গোলাগুলির শব্দের বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশের নাগরিকদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার মংডু, বুথেডং ও রাথেডংয়ের কয়েকটি গ্রামে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বিস্ফোরণে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ও শাহপরীরদ্বীপ, মিস্ত্রীপাড়া, জালিয়াপাড়া সাবারাং ইউনিয়নের আঁচার বনিয়া সিকদার পাড়া, ও সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, হাংকার ডেইল পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাইথ্যাং পাড়া খায়ুক খালীপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এ দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা নাফ নদ ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে।

Advertisement

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সীমান্তে সকাল থেকে খুব বেশি গুলির শব্দ হচ্ছে বলে সীমান্তের লোকজনের কাছে শুনেছি। তবে ওপারে ঠিক কোন এলাকায় এ ঘটনা ঘটছে এপারে নাফ নদ থাকায় সেটা বলা যাচ্ছে না।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে রাত থেকে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ গোলার শব্দ বিকট। এতে সীমান্তের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবির টহল জোরদারের পাশাপাশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

ওসিকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দেয়ায় এএসআই চাকরিচ্যুত

Published

on

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবিরকে ধাক্কা মেরে আহত করা সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) সন্তু শীলকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি) আবদুল ওয়ারীশ।

তিনি জানান, গেলো বছরের ২০ এপ্রিল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে এএসআই সন্তু জনসম্মুখে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবিরকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেন।

ডিসি আবদুল ওয়ারীশ আরও জানান, ওসির সঙ্গে এএসআই সন্তু ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। মামলায় এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে এএসআই সন্তুকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

বিরোধের জেরে শিশুর জিহ্বা কাটলো প্রতিবেশী

Published

on

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইম (১০) নামে এক শিশুর জিহ্বা কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গেলো শুক্রবার (২১ জুন) নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম।

সাইমের পরিবার জানায়,তাদের প্রতিবেশি কাউসার মিয়ার সঙ্গে জমি-জমা ও বাড়ির সীমানা নিয়ে গত এক বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল । ঘটনার দিন সকালে কাউসার  বিরোধপূর্ণ জায়গার সীমানা খুঁটি তুলে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেন। ঘটনাটি দেখে ফেলে সাইম। এর কিছুক্ষণ পর সাইমকে খুঁজতে থাকে কাউসার। এরপরে সাইম বাড়ি থেকে বের হলে তার উপর দা-লাঠি নিয়ে হামলা চালান কাউসার মিয়া ও তার স্বজনরা। হামলার একপর্যায়ে সাইমকে বেদম পেটানো হয়।

সাইমের মা জানান, মারধরের এক পর্যায়ে তার ছেলের মুখে ছুরি ঢুকিয়ে জিহ্বার কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়। এখন সে হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। চারদিন হলো তাকে কিছু খাওয়াতে পারছি না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী জানান, শিশুটির জিহ্বা ও ঠোঁটে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার জিহ্বায় সাতটি সেলাই দেয়া হয়েছে।

Advertisement

নবীনগর থানার ওসি  জানান,  খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version