প্রথমে ব্যাট করতে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করেছিল ভারত। বিশাল রানের জবাবে খেলতে নেমে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তাদের ৫ ব্যাটারই আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন মাত্র ৩ ব্যাটার।
ভারতের দেওয়া ৩৫৮ রানের রেকর্ড লক্ষ্য দাঁড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর দলীয় ২ রানের মাথায় আবারও জোড়া ধাক্কা খায় দলটি। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন করুণারত্নে ও সামারাবিক্রামা। তাদের ফিরিয়ে জোড়া উইকেট নিজের ঝুলিতে পুড়েন সিরাজ।
এরপর পরেই ওভারে আবার ধাক্কায় খায় লঙ্কানরা। ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়েন মেন্ডিস। তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান মোহাম্মদ সিরাজ।
দলীয় ৩ রানেই মাথায় ৪ টপ-অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে লঙ্কানরা। সেখান থেকে দলকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও আসালাঙ্কা। তবে তা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৫৫ রানেই থেমেছে লঙ্কানরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও গুভমান গিল। দুজনে মিলে গড়েন ১৮৯ রানের দুর্দান্ত জুটি। ৯২ বলে ৯২ রানে গিল ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
অন্যদিকে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতক হাঁকানোর রেকর্ডের দিকে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনে নামা কোহলি। তবে এদিনও ভাগ্য সহায় হয়নি তার। ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আক্ষেপকে সঙ্গী করে সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডার এ ব্যাটার।
এরপর ইনিংসের ৩২তম ওভারে ক্রিজে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও সেঞ্চুরির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তিনিও ফেরেন সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নিয়েই। ইনিংসের ৪৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ছয় ছক্কা ও তিন চারে ৫৬ বলে খেলেন ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ক্যামিও ইনিংস।