Connect with us

বিএনপি

সরকার এখন সবক্ষেত্রেই ডাকাতি করতে ব্যস্ত: মির্জা ফখরুল

Published

on

টিসিবির কার্ড বিতরণ নিয়ে দলীয়করণ এবং অরাজকতা এখন জনগণের কাছে পরিষ্কার। এই সরকার এখন সবক্ষেত্রেই ডাকাতি করতে ব্যস্ত। এজন্যই শেখ মুজিবুর বলেছিলেন, আমি পেলাম চোরের খনি, সবার কম্বল আছে আমার কম্বল নেই। বললেন  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, যে দেশে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর নামে টিসিবির কার্ড হয়, সে দেশে গরিবদের নিয়ে কি ধরনের উপহাস করা হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভোট ডাকাতি করে। তাদের আমলে কোনো দিনই দেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। হাসিনার আমলে নির্বাচন হলে আমরা ভোটকেন্দ্রেই যেতে পারবো না, পূর্বেও পারি নাই। তত্ত্বাবধায় সরকারের আওতায় ভোট হতে হবে। এ সরকার সমস্থ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা নির্বাচন চাই কিন্তু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে রয়েছে। বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর নামে হাজারো হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। শুধু ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলাতেই সাড়ে ৭ হাজার রাজনৈতিক মামলা দিয়েছে এ সরকার।

এর আগে বিএনপিরসহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি ৩৫০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনেই জয়লাভ করবে। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে ছিল না। ২১ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছে আওয়ামী লীগ। পরে হাত পা ধরে ক্ষমতায় এসেছে। যতবার বাংলাদেশের মানুষ বিপদে পড়েছে ততবার বিএনপিকে পাশে পেয়েছে। 

আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই, আন্দোলন করে অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন ২৩ সালে আদায় করে নেব উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা আরো বলেন, বিএনপি গণ মানুষের দল। সাধারণ মানুষের দল। বিগত সময়ে দলীয় এবং বিরোধীমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে যত ধরনের হামলা, নির্যাতন, পুলিশি হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে সময়মতো প্রত্যেকটির জবাব নেয়া হবে। গুম এবং খুনের সঙ্গে অভিযুক্ত সরকারি এজেন্সির প্রত্যেক কর্মকর্তাদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। আন্দোলনের মাধ্যমে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে বলেও জানান তিনি।

Advertisement

বিএনপি

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ফখরুলের

Published

on

বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে অবিলম্বে উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, উপকূলীয় উপদ্রুত অঞ্চলে মানুষের সুচিকিৎসা এবং ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০ লাখ মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণসহ দুর্গত মানুষদের সহায়তা দিতে দেশের বিত্তবানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে এ পর্যন্ত ১৬ জনের প্রাণহানির খবরে দেশবাসীর ন্যায় আমিও গভীরভাবে শোকার্ত ও মর্মাহত হয়েছি। এহেন মর্মান্তিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও হৃদয়বিদারক ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। এদেশের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করেই টিকে থাকে। যুগযুগ ধরে এদেশের কষ্টসহিষ্ণু মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে নতুনভাবে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। আমি বিশ্বাস করি, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দুর্যোগ কবলিত মানুষ ব্যথা-বেদনা ও ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে নব উদ্যমে আবার সবকিছু গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল দেশের উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন জেলায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে ১৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, ৪০ লাখের কাছাকাছি মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, এক লাখ ৫০ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, গবাদি পশুসহ অসংখ্য গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি এবং দূর্গত এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের ছোবলে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক, দুঃখ ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছি। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ে দেশের উপকুলীয় এলাকায় অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস, বিপুলসংখ্যক মানুষ আহত, নিখোঁজ এবং গবাদী পশু, ফসলী জমি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, আমি মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা করছি-তিনি যেন ঘূর্ণিঝড় কবলিত সহায়-সম্বলহীন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরকে কষ্ট সইবার ক্ষমতা দান করেন। ঘূর্ণিঝড়ে ১৬ জন মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।

তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন এবং আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার এই পৃথিবীতেই হবে : রিজভী

Published

on

প্রত্যেকটি অপকর্মের প্রত্যেকটি অনাচারের বিচার এই পৃথিবীতেই হবে পৃথিবীতেই এর দৃষ্টান্ত রয়েছে ভুরি ভুরি। আপনার প্রভুরা যদি নিজেকে ঈশ্বরের দূত মনে করেন আপনি কি নিজেকে এরকম কিছু মনে করছেন যে আপনার চারদিকে ভরা পাপের কোনো বিচার হবে না? আপনি কার দূত মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী? বললেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রিজভী।

রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তারেক রহমানকে দেশে নিয়ে এসে বিচার বাস্তবায়ন করবেন, তার আগে প্রধানমন্ত্রীর বিচার হয়ে যায় কিনা দেখেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে,তিনি এমন ভাবে ডুবতে শুরু করেছেন, আর তল খুঁজে পাচ্ছেন না, পুকুরের তলা যে ভূমি সেই ভূমিতে তাঁর পা পড়ছে না এমন ডোবায় তিনি ডুবছেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব   বলেন,সরকার দেশের অর্থনীতি একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। যত ঋণ নিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সুদ হয়েছে। ওই সুদ পরিশোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের পাপের সুদসহ  যে বিচার হবে ওই বিচারের জন্য তিনি যেন প্রস্তুত থাকেন। তারপরে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কথা বলবেন।

তিনি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও একটি কাজ করে মহা আনন্দ লাভ করেন। সেটি হলো জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিনি অনেকদিন ধরে বন্দি করে রেখেছেন। তাকে চিকিৎসাও নিতে দিচ্ছেন না। তার না মিলছে মুক্তি না মিলছে উন্নত চিকিৎসা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, এসময়ে দলটির অন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বিএনপি

‘মানুষ সচেতন না হলে সরকারের হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব নয়’

Published

on

বর্তমান সরকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কোনো অস্তিত্ত্ব টিকিয়ে রাখতে দেবে না। তারা রাখতেও চায় না। শুধু তাই নয়, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতাও থাকবে না। যদি দেশের মানুষ সচেতন না হয়। দেশের মানুষকে যদি সচেতন করতে না পারি, তারা নিজে থেকে সচেতন না হয় তাহলে সরকারের হাত থেকে বাঁচা অসম্ভব। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

রোববার (২৬ মে) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ও সংগ্রাম’ বইয়ের বাংলা সংস্করণ প্রকাশনা উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। বইটি লিখেছেন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতাও থাকবে না। যদি দেশের মানুষ সচেতন না হয়। দেশের মানুষকে যদি সচেতন করতে না পারি, তারা নিজে থেকে সচেতন না হয় তাহলে সরকারের হাত থেকে বাঁচা অসম্ভব।

অনুষ্ঠানে বক্তারা কেউ উগ্রভাবে আবার কেউ শান্তভাবে বিএনপির সমালোচনা করে গেছে উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, এটাকে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের পজিটিভলি নিতে হবে। কারণ যারা সমালোচনা করতে না পারে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলে আমি মনে করি না।

তিনি আরও বলেন, যাকে নিয়ে এই বই তিনি (খালেদা জিয়া) বেঁচে থেকেও আজকে আমাদের মাঝে নেই। তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। চিকিৎসকরা বারবার বলছে- তাকে বিদেশে নেয়া দরকার। কিন্তু সরকার সেই সুযোগ দিচ্ছে না। একটা মানুষকে জেনে-শুনে কীভাবে হত্যার দিকে নেয়া হচ্ছে ইতিহাস হয়ে থাকবে। তারা ইতিহাসে অপরাধী হয়ে থাকবে। যখন সুযোগ আসবে বিচার করা হবে।

Advertisement

দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই দেশে ক্ষমতা হারিয়ে আবার ক্ষমতায় আসার ইতিহাস আছে। কিন্তু ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের প্রধান ছিল আওয়ামী লীগ। তারা বিজয়ী হয়েছিল। তবে, ক্ষমতা হারানোর পর পুনরায় ফিরে আসতে তাদের সময় লেগেছিল ১৬ বছর। আবার ১৯৭৫ সালে ক্ষমতা হারিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ক্ষমতায় আসতে সময় লেগেছিল ২১ বছর। অন্যদিকে ১৯৮২ সালে বিএনপি ক্ষমতা হারিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৯০ সালে। মাত্র ৯ বছরে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যতগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন তার সবকয়টিতে জয়লাভ করেছিলেন। কখনও তিনি হারেননি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version