এশিয়া
জিম্মিদের বিনিময়ে যুদ্ধবিরতির অনুমোদন দিলো ইসরায়েল
৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে গাজা উপত্যকায় চার দিন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস, তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সরকার।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়।
হামাস যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সেখানে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার বিষয়টির উল্লেখ ছিল। তবে বিবৃতিতে সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ৫০ জন জিম্মির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করার পর সভার অধিকাংশ সদস্যই সেটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন।
তেমনি কখন থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া কোন স্থানে ঘটবে— সে ব্যাপারেও কিছু বলা হয়নি বিবৃতিতে। তবে ইসরায়েলের সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, যে ৫০ জন জিম্মির মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে— তাদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।
হামাসের এই হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। ১৬ অক্টোবর থেকে সেই অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার। আর গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন।
যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে। প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে তা হবে এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট।
আন্তর্জাতিক
প্রয়োজনে হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
যদি প্রয়োজন হয়,আমরা একা অগ্রসর হব…এবং আমি বলছি— যদি আর কিছুই না থাকে, তাহলে আমরা আমাদের হাতের নখ দিয়ে লড়াই করবো। বললেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গেলো বৃহস্পতিবার (৯ মে) যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র সরবরাহ যদি বন্ধ করে দেয় তাঁর প্রেক্ষিতে জাতির উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় চ্যানেলে দেয়া এক ভাষণে এসব কথা বলেন নেতানিয়াহু।
এর আগে বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ অব্যহত রাখে আমেরিকা।
তবে গেলো ৭ মাসে ইসরায়েলকে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি নির্দেশনা ছিল (ক) গাজায় নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হতাহতের হার হ্রাস করা এবং (খ) আরও দক্ষ ও নিখুঁতভাবে অভিযান পরিচালনা করা।
কিন্তু এসব নির্দেশনার কোনোটিতেই ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন সরকার কিংবা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মানেনি। ফলে দুই দেশের কর্মকর্তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা জটিল হয়ে ওঠে।
বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয় যুক্তরাষ্ট্রের মতামত উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় সামরিক অভিযানের শুরু করে ইসরায়েল।
এর প্রেক্ষিতে বাইডেন স্পষ্টভাবে বলেন, যদি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফায় অগ্রসর হয়, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিতভাবেই সেই অভিযানের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করবে না।
প্রসঙ্গগত, গেলো ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার জন্য দেশটির লাখ লাখ ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নেয়া শুরু করেন। এই ফিলিস্তিনিদের সবাই বেসামরিক।
আই/এ
এশিয়া
চুক্তি ছাড়াই আলোচনা শেষ, রাফায় নতুন করে বোমাবর্ষণ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। এ বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনও ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী রাফা অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ করেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে। গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনা শেষ হয়েছে। ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
রাফার বাসিন্দারা বলেছেন, শহরের একটি মসজিদের কাছে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদ বলেছে, তাদের যোদ্ধারা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী রকেট এবং মর্টার নিক্ষেপ করেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল রাফাতে পূর্ণাঙ্গ অভিযান চালাবে না বলে তারা আশা করে। এই ধরনের কোনও অভিযান হামাসকে পরাজিত করার বিষয়ে ইসরায়েলের লক্ষ্য পূরণের জন্য ভালো হবে বলেও তারা বিশ্বাস করে না।
জেএইচ
এশিয়া
আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু ৮
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাশী শহরের কাছে একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) তামিলনাড়ু পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১২ জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির ওই কারখানার বৈধ লাইসেন্স ছিল। কী কারণে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানতে এরইমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তদন্ত শুরু করেছে।
এএম/
-
জাতীয়5 days ago
১০০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি করবে টিসিবি
-
বলিউড6 days ago
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
-
আন্তর্জাতিক3 days ago
স্বামীর গোপনাঙ্গ পুড়িয়ে নির্যাতন
-
বাংলাদেশ7 days ago
স্কুলে দেরিতে আসায় শিক্ষিকাকে ঘুষি মারলেন অধ্যক্ষ
-
ঢাকা5 days ago
হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
-
জাতীয়7 days ago
তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
-
ঢালিউড2 days ago
মেয়ের মা হলেন পরীমণি
-
চট্টগ্রাম2 days ago
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ১ পাইলট নিহত