জাতীয়

টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
টাঙ্গাইল শাড়ি আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে। আমরা আমাদের টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব সম্পর্কে যা ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। বললেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। রোবাবর (৪ ফেব্রয়ারি) ঢাকায় পাট অধিদপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। নানক বলেন, ভারত টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বত্ব নিয়েছে। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বাংলাদেশের জিআই  স্বত্ব পেতে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক হয়েছে। গেলো ১ ফেব্রুয়ারি  ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, হাতেবোনা ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ভূত। তবে দেশটির এই অদ্ভূত দাবি ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছে। বাংলাদেশের অনেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। প্রতিবাদের মুখে এর দুইদিন পর ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ওই পোস্ট সরিয়ে ফেলা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড  ফেসবুক পেজে ওই পোস্টটি আর দেখা যায়নি। তবে পোস্টটি সরিয়ে ফেলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো তাঁতি সম্প্রদায় হলো টাঙ্গাইলের পাথরাইলের বসাক সম্প্রদায়। বাংলাদেশের আর এক ঐতিহ্য মসলিন তাঁতিদের বংশধররাই মূলত টাঙ্গাইলের পুরনো তাঁতি বা কারিগর। যদিও নাম থেকেই স্পষ্ট টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপত্তি কোথায়। তবে এ কথা সত্য যে, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কিছু তাঁতি বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে গিয়েছিলেন।  সেখানে গিয়ে তারা টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি শুরু করেন। কিন্তু শাড়ির নাম সেই টাঙ্গাইলই রয়ে গেছে। শাড়ির এই ইতিহাস তুলে ধরেছে খোদ ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা। প্রসঙ্গত, বিখ্যাত টাঙ্গাইল শাড়ির উৎস বাংলাদেশ হলেও সম্প্রতি এর ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই স্বত্ব) বাগিয়ে নিয়েছে ভারতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন টাঙ্গাইল | শাড়ি | আমাদের | ছিল | আমাদেরই | থাকবে | | বস্ত্র | ও | পাটমন্ত্রী