জাতীয়

আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি : শক্ত অবস্থানে বিজিবি

আবারও মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি : শক্ত অবস্থানে বিজিবি
আবারও মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে । যা মঙ্গলবার সকাল থেকে  দুপুর পর্যন্ত চলমান ছিল। এদিকে  সীমান্ত নিরাপত্তায় টহল বৃদ্ধির পাশাপাশি  সীমান্তের  নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে আরকে-৩ কোর্সার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (এটিজিএম) মোতায়েন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিব)। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)  টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের মংডু  এলাকা থেকে এ গোলাগুলিও আওয়াজ শোনা যায়। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জালাল আহমদ ও সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জালাল আহমদ বলেন, এলাকাবাসী বর্তমানে খুবই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। গতকাল সোমবার দিনব্যাপী হোয়াইক্যংয়ের লম্বাবিল ও উনচিপ্রাং সীমান্তের নাফ নদীর ওপারে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। আজ ভোর থেকে এ পর্যন্ত  সীমান্তের ওপারে বিকট শব্দের বিস্ফোরণ বলে দিচ্ছে ওখানে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। স্থানীয়রা বলছেন মিয়ানমারের চাকমাকাটা, কোয়াংচিমন ও কুমিরখালী এলাকায় বিজিপির ঘাঁটি ঘিরে এই সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এপারে কখন গুলি এসে পড়ে, কখন মর্টাল শেল এসে পড়ে   এসব নিয়ে তারা সময় আতঙ্কে আছেন। তবে সীমান্তে কোস্ট গার্ড-বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানান, সীমান্তে অত্যাধুনিক এটিজিএম অস্ত্রটি মোতায়েন করায় সীমান্ত সুরক্ষা ও নিরাপত্তার পাশাপাশি বিজিবির আধুনিকায়নে আরও এক ধাপ উন্নতি হলো। বিজিবি জানায়, এটিজিএম হলো ইউক্রেনের তৈরি হালকা বহনযোগ্য ট্যাঙ্কবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি দিয়ে স্থির ও চলমান সাঁজোয়া যান এমনকি হেলিকপ্টারেও আক্রমণ করা যায়। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাশাপাশি কোনো লোকজন যাতে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দমদমিয়ার নাফ নদী সীমান্তে বিজিবির তিনটি স্পিডবোটের টহল অব্যাহত রয়েছে। একজন রোহিঙ্গাও যাতে সীমান্ত ঢুকতে না পারে,তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি। নাফ নদীতে বিজিবি টহল প্রসঙ্গত, দু একদিনের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।  

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন আবারও | মিয়ানমার | সীমান্তে | গোলাগুলি | | শক্ত | অবস্থানে | বিজিবি