Connect with us

বাংলাদেশ

বিএম ডিপোতে নিহতের সংখ্যা হঠাৎ ৪৯ থেকে নেমে ৪১!

Published

on

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনাইর ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়ার সংখ্যা ৪৯ থেকে ৪১ নামিয়ে তথ্য সংশোধন করেছে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন অফিস।

এদিকে জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন এখন বলছে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে আগের তথ্য ভুল ছিলো।

সোমবার (৬ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৪১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তাই নিহত মানুষের সংখ্যা ৪১।

এছাড়া আজ বিএম ডিপো পরিদর্শন শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন কর্মী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮২ জন, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ১০ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ জন, ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ১৪ জন চিকিৎসাধীন আছেন। সেনাবাহিনী উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জনকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে, তার মধ্যে ২ জন আইসিইউতে আছেন।

Advertisement

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ৪১ জনের মরদেহ পেয়েছি। কনটেইনার ডিপো থেকে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা অভিযান শেষ হলে বলা যাবে।

রোববার (৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৫ জন বলেছিলেন। বিকেলের দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ফেসবুক পেজ ও সিভিল সার্জন ইলিয়াস চৌধুরী নিজেই বলেছিলেন ৪৯ জন মারা গেছেন। পরে রাত ১০টায় জেলা প্রশাসনও ৪৯ জন মৃত্যুর কথা বলেছিল। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের এ এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার ৪১ জনের মরদেহ পাওয়ার কথাই জানিয়েছিলেন।

সোমবার সকালে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিহত মানুষের সংখ্যা ৪১।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, কিছু মরদেহ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এগুলো একবার গণনা করা হয়েছিল। আবার সেগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নেওয়া হয়। সে সময় আবার গণনা করা হয়। তাই নিহতের সংখ্যা ৪৯ হয়ে যায়। কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে, তাই মৃত্যুর সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৪১। কন্টেনাইর ডিপো থেকে নতুন করে কোনো মরদেহ উদ্ধার হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হবে।

গেলো শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার পর চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

Advertisement

দুর্ঘটনা

বন্যায় বিদ্যুৎস্পর্শে দুই বোনসহ মৃত্যু ৩

Published

on

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পৃথক ঘটনায় ভেলায় করে চলাচলের সময় বিদ্যুৎস্পর্শে দুই বোনসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তাদের।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনী পাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই মেয়ে সুমাইয়া (১১) ও মাছুমা (৬) এবং নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম।

কচাকাটা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুমাইয়া ও মাছুমা কলাগাছের ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশে খালার বাড়িতে রওনা দেয়। এসময় বাড়ির অদূরে সেচ পাম্পের টানানো বিদ্যুতের তার দুই বোনের শরীরে আটকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।

প্রায় একই সময়ে নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভেলাযোগে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভেলার লগি বিদ্যুৎ সরবরাহের মেইন লাইনের তারে লাগে। এসময় বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

Advertisement

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় গণমাধ্যমে বলেন, এ বিষযে় থানায় পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

Published

on

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। সেখানে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় সড়ক পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।

জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, রাতে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে রাত যাপন করবেন। আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

Advertisement

দুপুর ১২টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে জোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজ করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

বান্ধবীর সঙ্গে মতিউরের কথোপকথন ভাইরাল

Published

on

বহুল আলোচিত সাবেক এনবিআর সদস্য মতিউর রহমানের বান্ধবী আরজিনা খাতুনের সন্ধান পাওয়া গেছে। মতিউরের অধস্তন রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব আরজিনা খাতুন, বন্ধুর সহায়তায় অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

সম্প্রতি তাদের একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই স্পর্শকাতর অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। ছোট ছোট বাক্যে আবেগধর্মী ও স্পর্শকাতর ওই কথোপকথন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

মতিউর রহমান : ‘তোমার কাছে … চাই, কখন দিতে পারবা?

আরজিনা খাতুন: আজকে…!

মতিউর রহমান: আজকের প্রোগ্রাম ঠিক আছে?

Advertisement

আরজিনা খাতুন: আজকে… কালকে যাই। আজ শুক্রবার তো, মানে কি বলে বের হবো, কোনো ইয়ে পাচ্ছি না। বাসায় আছে তো। কালকে হলে ভালো হয়। কালকে তো থাকবা ঢাকায়।

মতিউর রহমান: দীর্ঘশ্বাস… ঠিক আছে। কালকে মনে হয় পারব না।

আরজিনা খাতুন: কষ্ট পেলে… মানে শুক্রবার তো, কোনো ইয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। বাইরে যে থাকব, আবার মাইন্ড… মানে যদি কোনো সন্দেহ তৈরি হয়।

মতিউর রহমান: ফের দীর্ঘশ্বাস… ওকে।

জানা গেছে, মতিউর রহমানের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই দ্রুত বাড়তে থাকে তার সম্পত্তি। রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি, বাসায় বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং দামি সব আসবাবপত্রসহ কী নেই এই আরজিনা খাতুনের। মাত্র তিন বছরে আরজিনা খাতুন ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকারের মালিক হয়েছেন। এরমধ্যে ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এসেছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version