বাংলাদেশ
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
নীলফামারীতে পৃথক ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার (১৫ জুন) নীলফামারী সদর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ১২টার দিকে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের উত্তরা ইপিজেড এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে আবু সাঈদ (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলচালক নাজমুল হুদা। পরে ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার করে নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবু সাঈদ সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার শমসের আলীর ছেলে এবং আহত নাজমুল একই ইউনিয়নের জয়চণ্ডী কবিরাজপাড়া এলাকার আব্দুল হামিদ সরকারের ছেলে।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, ট্রাকটি ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আবদার আলী নুলু (৪৮) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জুন) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । তিনি ইউনিয়নের মন্থনা গ্রামে মৃত খোকা মামুদের ছেলে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে কিশোরগঞ্জ বাজারে পথচারী নুলুকে একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে গুরুতর আহন হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব কুমার রায় বলেন, মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় জড়িত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসআই/
অপরাধ
‘শাহদৎ’ নামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান, বিশেষ কৌশলে চলতেন সদস্যরা
নতুন এক জঙ্গি সংগঠনের খোঁজ পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাজধানীর গুলিস্তান ও সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ওই সংগঠনের প্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও দুই প্রশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানোসহ গোপনীয়তা রক্ষায় জঙ্গিরা বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করতেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (২৫ মে) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত মো. ইসমাইল হোসেন (২৫) চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে। এছাড়া আঞ্চলিক প্রশিক্ষক মো. জিহাদ হোসেন (২৪) যশোরের চৌগাছা উপজেলার মো. তরিকুল ইসলামের ছেলে এবং মো. আমিনুল ইসলাম (২৫) ঝালকাঠির নলসিটি উপজেলার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ছিলেন গ্রেপ্তারকৃতরা। তবে সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ায় নতুন করে ‘শাহদৎ’ নামে জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন তারা। নতুন সদস্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন কার্যক্রমও চালানোসহ গোপনীয়তা রক্ষায় বিশেষ অ্যাপস ব্যবহার করতেন গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গিরা।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা আফগানিস্তানের তালেবান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তথাকথিত হিজরতের পরিকল্পনা করছিলেন। দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে নতুন সদস্য খুঁজছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠন।
গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যপারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
এএম/
জাতীয়
এমপি আজীম খুনের তদন্তে ভারত যাবে ডিবি
ভারতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে ভারত যাবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার (২৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভারতীয় পুলিশ বর্তমানে এই হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করছে। কিছুদিন পর আমিসহ ডিবির কয়েকজন অফিসার তদন্তের কাজে ভারত যাবো।
ডিবি প্রধান আরও বলেন, হত্যার মোটিভ অনেকগুলো হতে পারে। পূর্ব শত্রুতার জেরে হতে পারে, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত হতে পারে, রাজনীতিক বিষয়ও থাকতে পারে। এসব বিষয় জানতে তদন্ত চলছে।
বিস্তারিত আসছে…
অপরাধ
এমপি আজীমের মরদেহ উদ্ধারে ফের তল্লাশি চলছে
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে আবারও তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)।
শনিবার (২৫ মে) কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেয়া তথ্যানুয়ায়ী সঞ্জীভা গার্ডেনে বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙ্গড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আবারও তল্লাশিতে নেমেছে সিআইডি।
আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা কসাই, খুলনার বাসিন্দা জিহাদ। পরে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির গোয়েন্দাদের কাছে খুনের পর ফ্ল্যাটেই দেহ টুকরো টুকরো করে লুকানোর লোমহর্ষক তথ্য স্বীকার করে সে।
কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ ৮০ টুকরায় বিভক্ত করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার। সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনরের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।
টিআর/
-
অপরাধ3 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়5 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
ঢাকা7 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
অপরাধ6 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আইন-বিচার6 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
-
ঢাকা4 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
-
বাংলাদেশ2 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
অপরাধ2 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন