Connect with us

বাংলাদেশ

রাশিয়ার জন্যই গ্যাসের দাম বাড়ছে: জার্মানি

Published

on

জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ প্রতিদিন সাত কোটি কিউবিক মিটারের নিচে সীমাবদ্ধ করেছে, যা বর্তমান হারের অর্ধেকেরও কম। রাশিয়া থেকে জার্মানিতে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন মেরামতের জন্য সরবরাহ কমেছে।  জানিয়েছে গ্যাজপ্রম।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে জার্মান অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই জ্বালানির বাজার অস্থিতিশীল করা ও এর মূল্যবৃদ্ধির একটি কৌশল।’

তবে গ্যাজপ্রমের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জার্মানির অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেন বলেন, এটা কোনো কারিগরি সমস্যা নয়। রাজনৈতিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সরবরাহ অনেকটা কমিয়ে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রমালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে দায়ী করেছে জার্মানি।

Advertisement

গেলো মঙ্গলবার গ্যাজপ্রম জানায়, নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে দৈনিক গ্যাস সরবরাহ ১৬ কোটি ৭০ লাখ থেকে কমিয়ে ১০ কোটি কিউবিক মিটারে নামিয়ে আনবে তারা। পরদিন বুধবার আবার ঘোষণা দিয়ে জানায়, প্রতিদিন ১০ কোটি নয় নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইন দিয়ে ৬ কোটি ৭০ লাখ কিউবিক মিটার গ্যাস সরবরাহ করা হবে।

শুধু জার্মানি নয় ইতালিতেও গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে গ্র্যাজপ্রম। গতকাল বুধবার গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, ইতালিতে প্রতিদিন গ্যাস সরবরাহ প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়ে দেবে তারা। জার্মানির মতো ইতালিও রাশিয়ার গ্যাসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। দেশটি রাশিয়া থেকে মোট চাহিদার ৪০ শতাংশ গ্যাস আমদানি করে।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অনেক দেশ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা চলতি বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে বেশির ভাগ তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে একমত হন। 

রাশিয়ার জ্বালানি কিনতে হলে ‘বন্ধু নয় এমন দেশগুলোকে’ রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধের শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিন্তু মস্কোর এ শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডস। শর্ত না মানায় এসব দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।

Advertisement

জনদুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা

Published

on

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এর মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি জানায়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ (রোববার) সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার নিকট দিয়ে সাগর উপকূল (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: বিমান চলাচল বন্ধ, কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।  এছাড়াও কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা। দেখা দিয়েছে টিকিট সংকটও।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রোববার (২৬ মে) বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার বিমান ওঠানামা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মহেশখালী, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে শুরু করেছে মানুষ।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২টি ফ্লাইট পরিচালনা করে দেশের ৪টি এয়ারলাইন্স। সকাল ৭টার পর থেকে ফ্লাইটগুলো রাত ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার রুটে চলাচল করে।

 

Advertisement

 

 

 

 

 

Advertisement

 

 

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বাংলাদেশে মে মাসেই কেন বারবার তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়?

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসছে। এরই মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ রূপ ধারণ করেছে।  রোববার(২৬ মে) রাত ১২টা থেকে সকালের মধ্যে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। রোববার মধ্যরাত নাগাদ উপকূলীয় এলাকা খুলনা, মংলা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন দেশ বাংলাদেশ। দেশটির ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিগত কয়েক বছরে বারবার আছড়ে পড়ছে আইলা, আমফান, ইয়াসসহ এক ডজনেরও বেশি প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়।

তবে অবাক করার বিষয় হলো বাংলাদেশে বেশির ভাগ ঘূর্ণিঝড় ছোবল মেরেছে মে মাসে। তাইতো মে মাস আসলেই্ জনগণের শঙ্কা জাগে-আবারও ধেয়ে আসছে কোনো ঘুর্ণিঝড়, হয়তো আরও শক্তিশালী হয়ে, আরও বিধ্বংসী রূপে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় আইলা সৃষ্টি হয় ২০০৯ সালে ২১ মে। এটি উপকূলে আছড়ে পড়ে ২৫ মে। ২০১৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণি এবং ২০২০ সালের মে মাসে এসেছিল আমফান। ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর। ২০২২ সালের ৭ মে বাংলাদেশে ধেয়ে আসে অশনি। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে ২০২৩ সালের ১৪ মে ।

Advertisement

এবার টক অব দ্য কান্ট্রি ‘ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। প্রলয়ংকারী এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ২৬ মে। সেক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন, বারেবারে এই মে মাসেই কেন তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়? মে মাসে কেন ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা এত বেশি? এর নেপথ্যে কি কোনো ভৌগলিক বা বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে?

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের উপযুক্ত মৌসুম হচ্ছে প্রাক বর্ষার মৌসুমে অর্থাৎ এপ্রিল ও মে মাস। এই দুই মাসের মধ্যে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় সবথেকে বেশি হয়। এমাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে। বেশ কয়েকটি কারণের উপর এই ঘূর্ণিঝড় নির্ভর করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উপর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, সাধারণত ন্যূনতম তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেই তা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপযুক্ত। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য তা অনুকূল।

হাওয়া উপরের দিকে উঠতে থাকলেও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অনেক সময় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে এসে অনেক দুর্বল নিম্নচাপও ফের সজীব হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মহাসাগর থেকে কোনো নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরের উপরে পৌঁছে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্যও অনেক সময় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version