বাংলাদেশ
ভয় ধরানো কিছু গোষ্ঠীর বিশ্বাস আর ধর্মাচরণ
Published
2 years agoon
By
অনন্যা চৈতীপৃথিবীতে বিভিন্ন বিশ্বাস মতে চলা এমন কিছু গোষ্ঠী রয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ ওই গোষ্ঠীর সদস্য হয়ে গোষ্ঠী-নেতার সব কথা অন্ধের মতো অনুসরণ করেছে। এমনকি, নেতার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে গিয়ে স্বাধীনতা এবং সম্পদ, দুই-ই হারাতে হয়েছে তাদের।
এসব বিশেষ কিছু বিশ্বাস মেনে চলা গোষ্ঠীর নেতারা অনেক সময়ই বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে অনুগামীদের নিয়ন্ত্রণ করেন, কখনো কখনো তাদের বিপথেও চালিত করেন।
চলুন জেনে নেই, পৃথিবীর এমনই সব বিপজ্জনক এবং কুখ্যাত বিশ্বাস মতে চলা কিছু গোষ্ঠী এবং সেই সব গোষ্ঠীর নেতাদের কথা।
সিনানন: চার্লস ডেডেরিচ নামে এক ব্যক্তি ১৯৫৮ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকাতে সিনানন নামে একটি বিশেষ গোষ্ঠী শুরু করেন। বিশেষ বিশ্বাস মেনে চলা গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত হলেও সিনানন প্রথমে মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্র হিসাবে শুরু হয়েছিল। এ গোষ্ঠীর সভায় একজন সদস্যকে মন খুলে কথা বলার অনুমতি দেয়া হত। তবে যখনই একজন সদস্য কথা বলতে শুরু করতেন, ঠিক তখনই সভায় উপস্থিত বাকিরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেয়া শুরু করতেন। এ বিশেষ গোষ্ঠীতে নিজেদের জায়গা পাকা করতে সদস্যরা বহু অর্থ অনুদান দিতেন। পাশাপাশি এ গোষ্ঠীতে যোগ দিলে কায়িক শ্রম করা বাধ্যতামূলক ছিল।
সিনানন-প্রধান চার্লস অনুগামীদের বুঝিয়েছিলেন শিশুদের জন্ম দেয়া উচিত কাজ নয়। আর সেই কারণেই তিনি তার পুরুষ অনুরাগীদের বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য চাপ দিতেন। চার্লস বহু মহিলা অনুগামীকে গর্ভপাতেও বাধ্য করেছিলেন।
১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর পুলিশ সিনাননের প্রধান ডেরায় অভিযান চালিয়ে চার্লসকে তার লেক হাভাসুর বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখে। পাঁচ বছরের জন্য নজরবন্দি করে রাখার সাজা শোনানো হয় এবং প্রায় তিন লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। এ-ও নির্দেশ দেয়া হয়, চার্লস আর সিনানন চালাতে পারবেন না। কর ফাঁকি, প্রমাণ নষ্ট করা এবং সন্ত্রাসমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯১ সালে সিনানন বন্ধ হয়ে যায়। এর ছয় বছর পরে ১৯৯৭ সালে মারা যান চার্লস।
নেক্সিয়াম: ১৯৯৮ সালে কিথ রেনিয়ের নেক্সিয়াম নামে এক বিশেষ গোষ্ঠীর প্রবর্তন করেন। নেক্সিয়াম বিশেষ ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে অন্যতম চর্চিত গোষ্ঠী হয়ে ওঠে। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে আসে যে, নেক্সিয়াম আসলে যৌন ধর্মাচরণ করত। নেক্সিয়ামের মোট ১৮ হাজার সদস্য ছিল। যাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী অ্যালিসন ম্যাক।
এ গোষ্ঠীর গুরু কিথ ধর্মাচরণ করার জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরি করছিলেন। এ বিশেষ জায়গায় মহিলা অনুগামীদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করা হত। এ জায়গায় কিথ নিজের মহিলা অনুরাগীদের সঙ্গে অবাধ যৌন মিলন করতেন এবং এ মহিলা অনুরাগীরা যাতে কখনও কারও কাছে মুখ না খোলেন তার জন্য তাদের নগ্ন ছবিও তুলে রাখতেন।
তবে একটা সময় পর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে কিথের বহু অনুরাগী প্রকাশ্যে কিথের সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ আনেন। ২০২০ সালে বহু মহিলা কিথের বিরুদ্ধে মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। মহিলা পাচার এবং শিশুদের নিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরিসহ একাধিক অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কিথকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। বন্ধ হয়ে যায় নেক্সিয়াম।
চিলড্রেন অব গড: ১৯৬৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার হান্টিংটন বিচে ধর্মদ্রোহী প্রচারক ডেভিড বার্জ ‘টিনস ফর ক্রাইস্ট’ নামে বিশেষ বিশ্বাস মতে চলা গোষ্ঠী শুরু করেন। ডেভিড যিশু খ্রিস্টের আদর্শের সঙ্গে ১৯৬০’র দশকের অবাধ প্রেমের তত্ত্বকে এক করে এমন এক মতাদর্শের প্রবর্তন করেন যা তরুণ-তরুণীদের আকৃষ্ট করেছিল।
সারা বিশ্ব জুড়ে এ গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার। ১৯৭০’র দশকে ধর্মাচরণের আড়ালে অবাধে যৌনচর্চার জন্য এ গোষ্ঠী কুখ্যাত হয়ে ওঠে। এমনকি এ গোষ্ঠীর মহিলা অনুগামীরা ধর্মীয় পতিতা’র তকমা পান।
গোষ্ঠীপ্রধান বার্জ শিশুদেরও যৌনমিলনের জন্য উৎসাহিত করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগও ওঠে যে গোষ্ঠীতে যোগ দেয়ায় প্ররোচনা দিতে তিনি মহিলা অনুরাগীদের অন্য পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গম করতে চাপ দিতেন।
বলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা জোয়াকিন ফিনিক্স এবং রোজ ম্যাকগোয়ানের পরিবারও এ গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তবে পরে তারা এ দল ছেড়ে বেরিয়েও আসেন।
এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলাকালীন ১৯৯৪ সালে বার্জ মারা যান। ‘টিনস ফর ক্রাইস্ট’-এর নাম বদলে রাখা হয় ‘চিলড্রেন অব গড কাল্ট ফ্যামিলি ইন্টারন্যাশনাল’। এখনও এ গোষ্ঠীর অস্তিত্ব রয়েছে। তবে এ গোষ্ঠী দাবি করে যে বর্তমানে তাদের সদস্যেরা আর যৌনাচার করেন না।
দ্য ম্যানসন ফ্যামিলি: কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর, দীর্ঘদিন জেল খাটা অপরাধী চার্লস ম্যানসন লস এঞ্জেলসে ‘ম্যানসন ফ্যামিলি’ নামে এক বিশেষ গোষ্ঠী শুরু করেন। মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলা মাদকসেবন, অবাধ যৌনাচার এবং মন নিয়ন্ত্রণ করা এ গোষ্ঠীর প্রধান আদর্শ হয়ে ওঠে। দলের সদস্যদের এ আদর্শ মেনে চলা ছিল বাধ্যতামূলক।
ম্যানসন নিজেকে দেবদূত হিসাবে জাহির করেছিলেন। তার সদস্যদের মানুষ খুন করার প্ররোচনা দিতেও শুরু করেন ম্যানসন। ১৯৬৯ সালের ৮ অগস্ট, এ গোষ্ঠীর সদস্যেরা আমেরিকার অভিনেত্রী শ্যারন টেট-সহ পাঁচ জনকে নির্মম ভাবে খুন করেন। ঘটনাচক্রে শ্যারন ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক রোমান পোলানস্কির স্ত্রী। এর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ৯ অগস্ট রাতে ম্যানসনের নির্দেশে ‘ম্যানসন ফ্যামিলি’-র সদস্যেরা রোজমেরি এবং লেনো লাবিয়ানকাকে খুন করেন।
১৯৭১ সালে, ম্যানসনকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর ৮৩ বছর বয়সে মারা যান ম্যানসন।
দ্য ফ্যামিলি: ‘দ্য ফ্যামিলি’ ছিল এক বিশেষ ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী, যা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় সক্রিয় ছিল। এ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন যোগগুরু অ্যান হ্যামিল্টন বাইর্ন। অ্যান নিজেকে জিশু খ্রিস্টের রূপ হিসাবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। তার দাবি ছিল যে, তার শরীরের মাধ্যমে জিশু খ্রিস্ট পুনর্জন্ম নিয়েছেন। অ্যান এ গোষ্ঠীর সদস্যদের ২৮ জন সন্তানকে দত্তক নেন এবং অন্য সদস্যদেরও তাদের সন্তানদের দত্তক দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
অ্যানের লক্ষ্য ছিল এমন একটি গোষ্ঠী তৈরি করা, যা পৃথিবীর ধ্বংসের পর বিশ্বকে নতুন করে শাসন করবে। আর সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তিনি এ শিশুদের উপর অত্যাচার করা শুরু করেন। শিশুদের মারধর করা থেকে শুরু করে তাদের অনাহারে রাখা, এমনকি এ শিশুদের উপর মাদকেরও প্রয়োগ করতেন বলে অ্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
১৯৮৭ সালে পুলিশ অ্যানের লেক ইলডনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বহু শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে অ্যান নিজের সব দোষ অস্বীকার করেন। ২০১৯ সালে ৯৮ বছর বয়সে ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
পিপলস টেম্পল: ১৯৫০-এর দশকে জিম জোনস নামে এক ব্যক্তি ‘পিপলস টেম্পল’ নামে এ গির্জা তৈরি করেন। তিনি দাবি করেন, খ্রিস্টান ধর্মের মূল তত্ত্বের সঙ্গে সমাজতন্ত্র এবং সমতা প্রচার করাই এ গির্জার প্রধান লক্ষ্য।
তবে জিম বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে পারমাণবিক যুদ্ধ আসন্ন। আর সেই কারণেই গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার ইউরেকাতে চলে যান। ভেবেছিলেন এর থেকে নিরাপদ জায়গা আর হতে পারে না। তবে এরপরেও ভয় জিমের পিছু ছাড়েনি। ১৯৭৭ সালে জিম আবার ‘দ্য পিপলস টেম্পল’কে দক্ষিণ আমেরিকার গুয়ানার একটি প্রত্যন্ত জায়গায় স্থানান্তরিত করেন। নাম দেন জোনসটাউন।
খুব শিগগিরই জোনসটাউন একটি বন্দি শিবিরে পরিণত হয়। কী হত না জোনসটাউনে! সদস্যদের প্রকাশ্যে মারধর থেকে শুরু করে কারাগারে বন্দি করে রাখা, এমনকি জোর করে মাদক নিতেও বাধ্য করা হত সদস্যদের। ১৯৭৮ সালে রাজনীতিবিদ লিও রায়ান এ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির তদন্ত করার জন্য জোনসটাউনে পৌঁছন। কিন্তু লিও সেখানে পৌঁছতেই পিপলস টেম্পলের নিরাপত্তারক্ষীরা তার উপর গুলি চালান।
বিপদ আসন্ন বুঝে সেদিনই গোষ্ঠীর সদস্যদের জিম সায়ানাইড বিষ এবং মাদক মেশানো শরবত পান করতে বাধ্য করেন। যারা এটি পান করতে রাজি হননি, তাদের শরীরে জোর করে এ বিষ ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। এ ঘটনায় মোট ৯১৮ জন মারা গিয়েছিলেন। আমেরিকার ইতিহাসে একসঙ্গে এতজন সাধারণ নাগরিক মারা যাওয়ার নিরিখে ৯/১১’র পরেই স্থান পায় এ ঘটনা।
এসি
অন্যরা যা পড়ছেন
-
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
-
ইউরোপে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি, যা জানালো ঢাকার ইইউ প্রধান
-
টিভিতে আজকের খেলা
-
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
-
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
-
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
-
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
-
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
-
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
জাতীয়
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
Published
12 hours agoon
April 27, 2024By
Anik Mahmudথাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক ব্যবসায়িক সভায় এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ-এলডিসি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
হাছান মাহমুদ আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। এসময়ে তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি শুরু করতে অভিপ্রায় পত্রে (এলওআই) সই করার কথাও উল্লেখ করেন। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো এবং বাণিজ্যঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এসময়ে থাই গ্লোবাল সুগার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি সুটেক লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস ফ্রেডেরিক বাংলাদেশ সরকারকে একটি বা দুটি বিদ্যমান চিনিকলকে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করার পরামর্শ দেন।
সভায় উপস্থিত বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সম্প্রতি অফশোর ব্যাংকিং অ্যাক্ট-২০২৪ প্রণয়ন করেছেন। ফলে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।
সভায় থাইল্যান্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরাসহ অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আই/এ
আমদানি-রপ্তানি
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
Published
13 hours agoon
April 27, 2024By
Anik Mahmudবাংলাদেশসহ বন্ধুত্বপূর্ণ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম দ্যা ইকোনমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।
আই/এ
এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি। আগামী মে মাসের ৯ থেকে ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এর মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৯,১০ ও ১১ মে—এই তিনটি তারিখের মধ্যে যেকোনো এক দিন ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির ওপর।
সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। সে হিসাবে, মে মাসের ১১ তারিখের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে। কারণ, এসব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। ফলে তিনি যেদিন সময় দিতে পারেন, সেদিনই ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়ার জন্য নিবন্ধন করে।
এএম/
জাতীয়
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক ব্যবসায়িক সভায়...
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
বাংলাদেশসহ বন্ধুত্বপূর্ণ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও যেসব দেশে ভারত...
এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড
এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তশিক্ষাবোর্ড...
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর ডেমরায় বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত হেলপাড়কে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িত তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)...
‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হবে। তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে...
‘হাসপাতালে না থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’
হাসপাতালে কেন ডাক্তার থাকে না- এ বিষয়ে মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে ও তাদের...
নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মের বাইরে গেলেই শাস্তি: ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতা মুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই...
‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার দুপুরে...
হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ ঘোষণা
আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে...
রাজধানীতে যে কারণে পুড়লো বাস
বনানীতে মোটরসাইকেলে পেছনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি চলন্ত বাস। এতে হঠাৎ মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্ক ফেটে আগুন ধরে যায়, যা একসময়...
সিলেটে সড়কে প্রাণ গেলো ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর
‘কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে জাপা, পরিষ্কার করতে হবে’
কম্বোডিয়ায় সেনাঘাঁটিতে বিস্ফোরণ, নিহত ২০ সেনা
‘হিট অ্যালার্ট’র মধ্যেই খুললো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
যুক্তরাজ্যের জাহাজে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আব্বাসের বৈঠক
সাবমেরিন কেবল ঠিক হওয়ার সময় জানা গেলো
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেটবাসী
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
-
বলিউড7 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
-
বাংলাদেশ4 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
-
দেশজুড়ে7 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
-
বাংলাদেশ6 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
-
ঢাকা4 days ago
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
-
টুকিটাকি4 days ago
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
-
দুর্ঘটনা2 days ago
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
-
বলিউড7 days ago
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!