ফিচার
গায়েব হওয়া বাসে কোথা থেকে এল পচাগলা দেহ!
Published
2 years agoon
By
অনন্যা চৈতীশীতের রাতেই নাকি গায়েব হয়ে গিয়েছিল আস্ত একটি বাস। দিন দুয়েক পরে বাসের খোঁজ পাওয়া গেলেও ওই ঘটনা ঘিরে উঠেছিল অজস্র প্রশ্ন। যার সঠিক উত্তর মেলেনি আজও।
বাসের ভিতর তিনটি পচাগলা দেহ কীভাবে এল? সারা দিন যাতায়াতের পর প্রায় পেট্রলহীন বাসটি গন্তব্য থেকে শত যোজন দূরে পৌঁছলই বা কী করে? চিনের “রুট নম্বর ৩৭৫”-এর শেষ বাসটির রহস্য আজও তাই কুয়াশামোড়া।
চিনে প্রায় লোকগাথায় পরিণত হয়েছে রুট ৩৭৫-এর শেষ বাসের গায়েব হওয়ার ঘটনাটি। এ নিয়ে নানা দাবি-পাল্টা দাবি শোনা যায়। অনেকে বলেন, ওই ঘটনার সাক্ষী ছিল নভেম্বরের হাড়কাঁপানো এক শীতের রাত। ঘন কুয়াশায় মোড়া সে রাতেই নাকি ঘটেছিল অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড। কী সেই ঘটনা?
১৯৯৫ সালের ১৪ নভেম্বর। হাঁড় কাঁপানো শীতের প্রায় মাঝরাতে ৩৭৫ নম্বর রুটের শেষ বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন এক বৃদ্ধা। ইউয়াং মিং হুয়ান নামে ওই বাসস্টপে অপেক্ষায় ছিলেন আরও এক অল্পবয়সি ছেলে। শেষ বাসটি কাছে এসে দাঁড়াতেই বৃদ্ধা এবং যুবকটি তাতে চড়ে বসেন। বাসে উঠে চালকের কাছের আসনে বসেছিলেন বৃদ্ধা। যুবকটি তার পিছনে কিছুটা দূরের আসনে ঠাঁই নেন।
বাসটির গন্তব্য ছিল শিয়াং শান শহর বা ফ্রেগরেন্ট হিল নামের এক জায়গা। ইউয়াং মিং হুয়ান বাসস্টপ থেকে যা মাত্র সাতটি স্টপ দূরে। একে একে অনেকেই ওই বাস থেকে তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে নেমে যেতে থাকেন। কয়েকটি স্টপ পরে ওই বাসে ছিলেন কেবলমাত্র বৃদ্ধা এবং ওই যুবকটি। এবং অবশ্যই বাসের চালক এবং এক মহিলা কন্ডাক্টর।
কিছুক্ষণ পর চালকের নজরে আসে, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে দু’জন ব্যক্তি বাস থামানোর ইশারা করছেন। ওই দুই যাত্রীর সামনে বাস থামান তিনি। বাসের দরজা খুলতেই দেখা যায়, দু’জন যাত্রী নন তাদের মাঝে আরও একজন রয়েছেন। চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকায় হয়তো তৃতীয় জনকে চোখে পরেনি চালকের। তৃতীয় ব্যক্তি ওই দুই যাত্রীর কাঁধে ভর করে বাসে উঠেছিলেন। অবিন্যস্ত ওই যাত্রীর মাথা নিচু করা। আধো অন্ধকারে ঠাওর করা যায় না তার মুখ। এক সময় ওই পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে আবারও চলতে শুরু করে বাসটি।
কয়েকটি স্টপ পরে বাসের ভিতরে চিলচিৎকার জুড়ে দেন বাসে থাকা বৃদ্ধা। পিছনের আসনে বসা যুবকটি নাকি পকেটমার। তার টাকার ব্যাগটি হাতিয়ে নিয়েছেন। এ দাবি করে বেজায় চেঁচামেচি করতে থাকেন বৃদ্ধা। শীতের রাতে এমন ঝামেলায় বিরক্ত হয়ে বাস থামিয়ে দেন চালক। বৃদ্ধা এবং যুবককে জোর করে বাস থেকে নামিয়েও দেন। এরপর দু’জনের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায় বাসটি।
বাস থেকে নেমে যুবককে নিয়ে কাছের একটি পুলিশ স্টেশনে যান বৃদ্ধা। সেখানে গিয়ে আরও অদ্ভুত দাবি করেন তিনি। পুলিশ অফিসারদের বৃদ্ধা জানান, ওই বাসের তিন যাত্রী আসলে অশরীরী। নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই যুবকের বিরুদ্ধে পকেটমারির অভিযোগ তুলে চেঁচামেচি জুড়েছিলেন। যাতে বাস থেকে তাদের নামিয়ে দেয়া হয়।
সহযাত্রী যুবকের নামে কোনও পুলিশি অভিযোগ করেননি বৃদ্ধা। উল্টে তাকে বলেন, ওই তিন যাত্রীরই পা দেখতে পাননি তিনি। বাসের জানলা দিয়ে হাওয়া এলে তা তিন জনেরই দেহ ভেদ করে চলে গিয়েছে।
বৃদ্ধার দাবি শুনে দু’জনের মানসিক স্থিতাবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন থানার পুলিশ অফিসরারা। এক সময় তাদের থানা থেকে বের করে দেন। তবে পরের দিন ওই বাস সংস্থার একটি নোটিস দেখে টনক নড়ে পুলিশদের। সেখানে লেখা, ‘গত রাতে আমাদের সংস্থার ৩৭৫ রুটের শেষ বাসটি চালক এবং এক মহিলা কন্ডাক্টর-সহ গায়েব হয়ে গিয়েছে।’
অনেকের দাবি, ওই নোটিস বেরোনোর পরের দিন গায়েব হওয়া বাসটির খোঁজ মেলে গন্তব্য থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে একটি পানির রিজার্ভারের কাছে।
এ ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠেছিল, যা নাকি আরও রহস্যময়। সারা দিন চলাচলের পর বাসটির পেট্রল ফুরিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। তা সত্ত্বেও গন্তব্য থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বাসটি কী ভাবে পৌঁছল?
তদন্তকারীদের দাবি ছিল, বাসটির উদ্ধারের সময় জ্বালানীর ট্যাঙ্কে পেট্রলের বদলে তাজা রক্ত পাওয়া গিয়েছিল। ফ্রেগরেন্ট হিল এলাকায় ওই বাসটিতে নাকি পাওয়া যায় তিন ব্যক্তির পচাগলা দেহ।
পুলিশের দাবি, দেহগুলিতে এতটাই পচন ধরেছিল যে সেটা কোনও মতেই দিন দুয়েক আগেকার হতে পারে না। ময়নাতদন্তের পরেও এ বিষয়ে মেলেনি কোনো সঠিক উত্তর। এমনকি ওই রিজার্ভারের আশপাশের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজেও অস্বাভাবিক কিছু ধরা পরেনি। ফলে এ ঘটনা ঘিরে রহস্যের জট আজও খুলেনি ।
এসি
অন্যরা যা পড়ছেন
-
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
-
ইউরোপে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি, যা জানালো ঢাকার ইইউ প্রধান
-
টিভিতে আজকের খেলা
-
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
-
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
-
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
-
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
-
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
-
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
ফিচার
প্রিয় মানুষের আলিঙ্গনে বাড়ে আত্মবিশ্বাস
Published
4 months agoon
January 6, 2024By
অনন্যা চৈতীবলিউডের ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’ চলচ্চিত্রের কথা মনে আছে কি? যেখানে জনপ্রিয় অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ বলে জড়িয়ে ধরেন সামনের মানুষটিকে। মুন্না ভাই বিশ্বাস করেন এই আলিঙ্গন এনে দেয় প্রশান্তি, বাড়িয়ে দেয় নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস।
এ তো গেলো চলচ্চিত্রের কথা। বিভিন্ন গবেষণাতেও দেখা গেছে, প্রীতিপূর্ণ আলিঙ্গন মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এর মাধ্যমে নির্গত হয় অক্সিটোসিন হরমোন, যার ফলে মানসিক অবসাদ কমে গিয়ে মনে আনন্দের অনুভূতি তৈরি হয়। দুশ্চিন্তা কমে গিয়ে স্বস্তি আসে। শুধু তাই নয় আন্তরিক আলিঙ্গন রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। কমায় রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি, সেই সঙ্গে দূর করে নানা শারীরিক ব্যথাও।
আজ ৬ জানুয়ারি, আলিঙ্গন দিবস। আমেরিকায় দিনটি উদযাপিত হয়। অবশ্য কবে কীভাবে এই দিবসের চল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে আলিঙ্গন বলতে শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর রোমান্টিক আলিঙ্গনকে বোঝাচ্ছে না।
আত্মীয় বা বন্ধুর সঙ্গে আলিঙ্গনেও বাড়ে আন্তরিকতা। সম্পর্কগুলো আরও গভীর হয়, মজবুত হয়। সাধারণত, বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে শুভেচ্ছা জানানোর সময়, বিদায় জানানোর সময় বা কাউকে অভিনন্দন জানানোর সময় আমরা আলিঙ্গন করি। কাউকে সান্ত্বনা দিতে বা সহানুভূতি জানাতেও আমরা আলিঙ্গন করি।
তীব্র শীত মৌসুমে একটুখানি উষ্ণতার অভাবে কষ্ট পাচ্ছে কত অসহায় মানুষ। সেসব শীতার্ত মানুষের মধ্যে আলিঙ্গনের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিতে এ দিবসের যাত্রা শুরু। আজকের দিনটি কিন্তু পালন করতে পারেন নিজের যতটুকু সাধ্য আছে তা নিয়েই শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদা তুলে কিনতে পারেন কিছু লেপ-কম্বল। যারা শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের বিলিয়ে দিতে পারেন। এভাবেই ছড়িয়ে দিতে পারেন আলিঙ্গনের উষ্ণতা।
ফিচার
শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করেও ঠেকানো যায়নি যে নির্বাচন (ভিডিও)
Published
4 months agoon
January 4, 2024৮ম জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছিল ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর। এই হিসেবে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন।এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর প্রত্যাশা ছিল অনেক। আন্তর্জাতিক মহলেও ছিল ব্যাপক আগ্রহ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দিন আহমদের অধীনে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ৩৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। এতে আওয়ামী লীগ ২৩০টি আসন পায়। অন্যদিকে বিএনপি পায় মাত্র ৩০টি আসন। প্রাপ্ত ভোটের ক্ষেত্রেও ছিল বিশাল ব্যবধান। আওয়ামী লীগ পায় ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ভাগ ভোট এবং বিএনপি ৩২ দশমিক পাঁচ শূন্য ভাগ ভোট।
নির্বাচনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি আসন। সবচেয়ে বেশি ভরাডুবি হয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর। ৩৯টি আসনে লড়াই করে মাত্র দুটি আসন পায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের শরীক এই দলটি।
নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ পায় ৩টি আসন ।বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ ২টি করে আসন এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি একটি করে আসন পায়।০৪টি আসন পায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দ্বিতীবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সংসদের মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর।
নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে সংবিধানে একটি বড় সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার।আওয়ামী লীগের অভিযোগ ছিল-নিজেদের পছন্দের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে রেখে নির্বাচনের সময় সুবিধা আদায়ের জন্য বিএনপি এটি করেছে। তাই বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামী লীগ।
এই আন্দোলনের মাঝেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সমঝোতার জন্য একাধিক বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।কূটনৈতিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তৎপর ছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পেট্রেসিয়া বিউটেনিস।
তবে সমঝোতা না হওয়ায় সংঘাতময় এক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে সেনাবাহিনী।যেটি ওয়ান-ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত।জারি করা হয় জরুরী অবস্থা।এই জরুরি অবস্থার মধ্যেই সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকার।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের সরকার প্রশংসিত হলেও তাদের রাজনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল।অভিযোগ রয়েছে,মাইনাস-টু ফর্মূলা কার্যকর করতে অর্থাৎ শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে রাজনীতির বাইরে রেখে নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তাদের গ্রেপ্তার করার পরও ওই চেষ্টা সফল হয়নি।
এরপর মূল নেতৃত্বের বাইরে দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরেকটি অংশ সৃষ্টি করার চেষ্টা চলে।যারা ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন।কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরবর্তীতে সবদলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিএনপি-আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসে সফল হন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে পারেনি বিএনপি।দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়।অন্যদিকে আওয়ামী লীগে তখন উল্লাস আর উচ্ছ্বাস।
ওই সংসদ নির্বাচনকে বেশ দ্রুততার সাথে স্বীকৃতি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি নির্বাচনকে ‘বিশ্বাসযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন’ বলে বর্ণনা করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট -এনডিআই।
ফিচার
বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে মালিহা ফাইরুজের বিশ্ব রেকর্ড
Published
4 months agoon
December 20, 2023By
অনন্যা চৈতীএকে তো বিশ্বর সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্টের অধিকারী, তার উপর তিনি আবার নারী। সঙ্গে গায়ের রঙও ছিলো একটি বড় বিষয়। ইমিগ্রেশন অফিসার , পুলিশ খারাপ ব্যবহার করেছেন তার সঙ্গে। কিন্তু এ বিষয়গুলো রুখতে পারেনি তাকে। এসব প্রতিবন্ধকতা জয় করে ইতোমধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
যার কথা এতক্ষণ বলছিলাম, নাম তার মালিহা ফাইরুজ।
জানেন কি সেই দুর্বল পাসপোর্টটি কোন দেশের?
এটি বাংলাদেশের পাসপোর্ট। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স সূচক অনুযায়ী, বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট র্যাংকিয়ে অষ্টম অবস্থানে আছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট।
এই পাসপোর্ট নিয়েই এতগুলো দেশ ভ্রমণ করায় গত অক্টোবরে মালিহা ফাইরুজকে ‘নোমাডম্যানিয়া অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করা হয়। মূলত ভ্রমণে ব্যতিক্রম কোনো কিছু করে দেখানোর কৃতিত্বস্বরূপ প্রতিবছর এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এবার নানা কারণে ১১ জনকে এ পুরস্কারটি দেয়া হলেও মালিহাকে দেয়া হয়েছে তার বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য।
বাংলাদেশি পাসপোর্টকে পৃথিবীর সপ্তম ‘বাজে’ পাসপোর্ট আখ্যা দিয়ে নোম্যাডমেনিয়া কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘এই পাসপোর্ট নিয়ে দেশে দেশে ঘুরতে গিয়ে এমনও হয়েছে যে মালিহাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিবাসন কারাগারে রাখা হয়েছে, তল্লাশি করা হয়েছে, এমনকি লাঞ্ছিতও করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই তার ভ্রমণের চেতনাকে ম্লান করেনি।’
সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ৪০টি দেশে ভ্রমণ করা যায়। অন্যদিকে পাসপোর্টের র্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে থাকা সিঙ্গাপুরিয়ান পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়াই পৃথিবীর ১৯৩টি দেশে প্রবেশ করা যায়।
ভ্রমণে গায়ের রং একটি বড় ইস্যু। মালিহার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের নিয়ে বিভিন্ন দেশের একটি বদ্ধমূল ধারণা যে—তারা অবৈধ অভিবাসী।
আফ্রিকার দেশ ক্যাপ ভার্দ, যেটি মূলত একটি ছোট দ্বীপ মাত্র। সেখানে ভ্রমণ করতে গেলে মালিহাকে দেশটির বিমানবন্দরে আটকে রাথা হয়েছিল ১৭ ঘন্টা। প্রয়োজনীয় ভিসা এবং কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধু পাসপোর্টের জন্য তাকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় দেশটিতে। শুধু তা-ই নয়, যে দেশ থেকে তিনি উড়োজাহাজে উঠেছিলেন সেই সেনেগালে ফেরত পাঠানোরও হুমকি দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের যুক্তি ছিল, মাত্র তিন-চার দিনের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে কেউ ক্যাপ ভার্দে ভ্রমণ করে না। ১৭ ঘণ্টা আটক রাখার পর শেষ পর্যন্ত মালিহাকে ঢুকতে দিয়েছিল তারা। কারণ, জাতিসংঘে কর্মরত তার মা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
কিরগিজস্তানে ফাইরুজের ভিসার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে ঐ দেশের একটি ট্রাভেল এজেন্সির কাছ থেকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্রের প্রয়োজন পড়ে। আর ঐ আমন্ত্রণপত্রটি পেতে, তাকে আগে প্রথমে বাংলাদেশি ট্রাভেল এজেন্সি থেকে একটি ভ্রমণ প্যাকেজ কিনতে হয়। এর পরে আরো পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে অপেক্ষা করতে হয়– ভিসার অনুমোদন পেতে।
ভ্রমণের ক্ষেত্রে ফাইরুজের প্রধান বাঁধা ছিলো বাংলাদেশি হওয়ায় বিভিন্ন গৎবাঁধা আচরণ এর সম্মুখীন হওয়া। অন্যান্য দেশের শক্তিশালী পাসপোর্টধারী নাগরিকদেরকে ধনী পর্যটক মনে করার বিপরীতে বাংলাদেশিদের ধরে নেয়া হয় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে। এ ছাড়া, নারী ভ্রমণকারী হিসেবেও তাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ফাইরুজ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং তার মায়ের সাথে পূর্ব আফ্রিকা, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বার্লিনে বাস করছেন। সেখানে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাজ করা একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করছেন।
দূর্বল পাসপোর্টের নানা প্রতিবন্ধকতার কাছে অদম্য মালিহা বিশ্বাস করেন, তার ভ্রমণে নেতিবাচক বিষয়গুলোর চেয়ে ইতিবাচকের পাল্লাই ভারী।
জাতীয়
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে এক ব্যবসায়িক সভায়...
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
বাংলাদেশসহ বন্ধুত্বপূর্ণ ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও যেসব দেশে ভারত...
এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড
এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য তিন দিনের সম্ভাব্য তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় আন্তশিক্ষাবোর্ড...
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর ডেমরায় বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত হেলপাড়কে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় জড়িত তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)...
‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করা হবে। তবে নিয়ম মেনে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনে চলতে পারবে...
‘হাসপাতালে না থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’
হাসপাতালে কেন ডাক্তার থাকে না- এ বিষয়ে মহাপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে ও তাদের...
নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মের বাইরে গেলেই শাস্তি: ইসি রাশেদা
নির্বাচন কমিশন চায় সহিংসতা মুক্ত সুষ্ঠু একটি নির্বাচন। তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে। এর বাইরে গেলেই...
‘বিয়ে না করানোয় মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন ছেলে’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার দুপুরে...
হজ ফ্লাইট শুরুর তারিখ ঘোষণা
আগামী ৯ মে শুরু হচ্ছে চলতি মৌসুমের হজ ফ্লাইট। হজযাত্রীদের নিয়ে ওইদিন প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। তবে...
রাজধানীতে যে কারণে পুড়লো বাস
বনানীতে মোটরসাইকেলে পেছনে থেকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি চলন্ত বাস। এতে হঠাৎ মোটরসাইকেলের ট্যাঙ্ক ফেটে আগুন ধরে যায়, যা একসময়...
যুক্তরাজ্যের জাহাজে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আব্বাসের বৈঠক
সাবমেরিন কেবল ঠিক হওয়ার সময় জানা গেলো
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো সিলেটবাসী
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত
এসএসসির ফলাফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানালো বোর্ড
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওতে বন্ধ হচ্ছে মোটরসাইকেল’
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
ধোনি-সাক্ষীর চরম প্রেমের কাহিনী, শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে!
র্যাবের নতুন মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
-
বলিউড6 days ago
বিচ্ছেদের দীর্ঘ জল্পনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া
-
বাংলাদেশ3 days ago
শাকিবকে বিয়ের আগেই বুবলী বিবাহিত ও এক সন্তানের জননী, বোমা ফাটালেন সুরুজ বাঙালি
-
দেশজুড়ে6 days ago
সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা
-
বাংলাদেশ5 days ago
তীব্র তাপদাহের মধ্যে যেসব এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে
-
ঢাকা4 days ago
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
-
টুকিটাকি3 days ago
ঋণ পেতে মৃত চাচাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন ভাতিজি
-
বলিউড6 days ago
শাহিদ কাপূরের বিলাসবহুল ভ্রমণের তালিকা ফাঁস!
-
দুর্ঘটনা1 day ago
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই