Connect with us

বাংলাদেশ

বৈদ্যুতিক গোলযোগেই ঢামেকে আগুন লেগেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বরাদ্দ নতুন ভবনের তৃতীয় তলার আইসিইউতে আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে হয়ে থাকতে পারে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুরে মহাখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ ফিজিশিয়ান ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

বুধবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধোয়াচ্ছন্ন হয়ে যায় পুরো কক্ষ। এ সময় আইসিইউতে থাকা ১৪ জন রোগীকে পুরাতন বার্ন ইউনিটের আইসিইউ, নতুন ভবনের সিসিইউ সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানান্তর করা ১৪ রোগীর মধ্যে মারা যান তিনজন।

এ সময় করোনা ইউনিটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক। ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

ডিএমসি পরিচালক জানান, যে তিনজন রোগী মারা গেছেন তাদের সবাই মুমূর্ষু অবস্থায় ছিলেন। আগুনে পুড়ে তাদের কারো মৃত্যু হয়নি বলেও দাবি তার।

Advertisement

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, এ ঘটনায় তিনজন মৃত্যুবরণ করেছেন। কারো অগ্নিদগ্ধের কোনো কারণ ঘটেনি। কোনো রোগী আগুনে পুড়ে বা আগুনের ধোয়া থেকে মারা গেছে এমন কোন ঘটনা আমরা দেখিনি। তবে এটা তদন্ত করে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারব। তারা সবাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে পুড়ে ছাই করোনার আইসিইউ ইউনিটের বিছানা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বহু মূল্যবান জিনিস।

শুভ মাহফুজ

জাতীয়

বাংলাদেশে মে মাসেই কেন বারবার তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়?

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে আসছে। এরই মধ্যে এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ রূপ ধারণ করেছে।  রোববার(২৬ মে) রাত ১২টা থেকে সকালের মধ্যে এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। রোববার মধ্যরাত নাগাদ উপকূলীয় এলাকা খুলনা, মংলা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন দেশ বাংলাদেশ। দেশটির ভৌগলিক অবস্থানের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিগত কয়েক বছরে বারবার আছড়ে পড়ছে আইলা, আমফান, ইয়াসসহ এক ডজনেরও বেশি প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়।

তবে অবাক করার বিষয় হলো বাংলাদেশে বেশির ভাগ ঘূর্ণিঝড় ছোবল মেরেছে মে মাসে। তাইতো মে মাস আসলেই্ জনগণের শঙ্কা জাগে-আবারও ধেয়ে আসছে কোনো ঘুর্ণিঝড়, হয়তো আরও শক্তিশালী হয়ে, আরও বিধ্বংসী রূপে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় আইলা সৃষ্টি হয় ২০০৯ সালে ২১ মে। এটি উপকূলে আছড়ে পড়ে ২৫ মে। ২০১৯ সালের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় ফণি এবং ২০২০ সালের মে মাসে এসেছিল আমফান। ২০২১ সালের মে মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে উৎপত্তি হয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর। ২০২২ সালের ৭ মে বাংলাদেশে ধেয়ে আসে অশনি। ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে ২০২৩ সালের ১৪ মে ।

Advertisement

এবার টক অব দ্য কান্ট্রি ‘ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। প্রলয়ংকারী এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ২৬ মে। সেক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন, বারেবারে এই মে মাসেই কেন তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড়? মে মাসে কেন ঘূর্ণিঝড়ের প্রবণতা এত বেশি? এর নেপথ্যে কি কোনো ভৌগলিক বা বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে?

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের উপযুক্ত মৌসুম হচ্ছে প্রাক বর্ষার মৌসুমে অর্থাৎ এপ্রিল ও মে মাস। এই দুই মাসের মধ্যে মে মাসে ঘূর্ণিঝড় সবথেকে বেশি হয়। এমাসে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ থাকে। বেশ কয়েকটি কারণের উপর এই ঘূর্ণিঝড় নির্ভর করে। সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রার উপর ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নির্ভর করে।

আবহাওয়াবিদদের মতে, সাধারণত ন্যূনতম তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেই তা ঘূর্ণিঝড়ের জন্য উপযুক্ত। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য তা অনুকূল।

হাওয়া উপরের দিকে উঠতে থাকলেও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, অনেক সময় দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরের উপরে এসে অনেক দুর্বল নিম্নচাপও ফের সজীব হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন মহাসাগর থেকে কোনো নিম্নচাপ বঙ্গোপসাগরের উপরে পৌঁছে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্যও অনেক সময় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত

Published

on

আগামীকাল অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের‌ কারণে এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রোববারের (২৬ মে) পরীক্ষার সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার (২৫ মে) রাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ মে রোববার অনুষ্ঠাতব্য অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত এ পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে। পরীক্ষার অন্যান্য সময় ও তারিখ অপরিবর্তিত থাকবে।

উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে-পরে কী কী করবেন আর করবেন না

Published

on

রোববার মধ্যরাতে উপকূল পার করবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, রোববার মধ্যরাতে ভারতের সাগরদ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূল পার করবে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়। আশঙ্কা রয়েছে নানা ধরনের বিপদের। এই সময়ে কী কী করবেন, তা আগেভাগেই জেনে নেয়া দরকার।

প্রথমেই দেখে নিন ঘূর্ণিঝড় আসার আগে কী কী করবেন বা করবেন না। বিশেষ করে বিদ্যুতের বিষয়ে এবং বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বিষয়ে আলাদা করে সতর্ক হতে হবে এই সময়ে। তাছাড়াও আছে অনেক কিছু। রইল তালিকা।

১. বাড়িতে ইলেকট্রিকের জিনিস সাবধানে রাখুন। ঝড় আসার আগেই প্লাগ থেকে যে যে যন্ত্রপাতি খুলে নেওয়া সম্ভব, সেগুলি খুলে ফেলুন। মোবাইল ফোন, টিভি, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ধরনের যন্ত্রপাতি প্লাগের সঙ্গে লাগিয়ে রাখবেন না। তাহলে এগুলির ক্ষতি হতে পারে।

২. মোবাইল ফোন যেমন এই সময়ে চার্জ দেবেন না। তেমনই সেটি ব্যবহারও করবেন না। তাহলে বজ্রপাতে সেটির ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়ি পাকা নয়, এই সময়ে তাঁধের মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা খুব দরকারি।

৩. ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পরেও অনেককক্ষণ বিদ্যুত না থাকতে পারে। তার জন্য আগাম সতর্ক থাকুন। ব্যাটারিচালিত যন্ত্রে চার্জ দিয়ে রাখুন। ইনভার্টার জাতীয় যন্ত্র থাকলে, তাতেও চার্জ দিয়ে রাখুন।

Advertisement

৪. এবার খাবারদাবারের প্রসঙ্গ। ঘূর্ণিঝড় আসার আগে থেকেই খাবার এবং পানি যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করে রাখুন। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু থাকলে, তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে রাখুন। কারণ ঝড় কেটে যাওয়ার কত ক্ষণ পরে খাবারের দোকান পাবেন, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এর পাশাপাশি বাড়িতে দরকারি ওষুধও রেখে দিতে হবে।

৫. ছাদ থেকে উড়ে যেতে পারে, এমন জিনিস রাখবেন না। গাছের টব বা অন্য ভারি জিনিসও ছাদের ভিতর দিকে রাখুন। না হলে সেগুলি নীচে পড়ে কারও বিপদ ঘটাতে পারে।

৬. খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা। বাড়িতে কাচের জানলা আছে? বা কাঠের জানলার ফ্রেমের মধ্যে কাচ লাগানো আছে? তাহলে আগে থেকে তার উপর পিচবোর্ড আটকে দিন। তাহলে কাচ সুরক্ষিত থাকবে।

৭. এবার আসা যাক ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন কী করবেন সেই প্রসঙ্গে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে, এই সময়ে বাড়ি থেকে বেরোতে যাবেন না। এর আগেও ঘূর্ণিঝড় চলাকালীন বাড়ি থেকে বেরোতে গিয়ে অনেকেই বিপদ ডেকে এনেছেন। ফলে সেটি এড়িয়ে চলুন। জমা পানিতে পা দেবেন না। তাহলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

৮. ঝড় কেটে যাওয়ার পরে কী করবেন, সেটিও জেনে নিতে হবে। প্রথমেই বলে রাখা দরকার, কোথাও আঘাত পেলে বা কেটে গেলে ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দরকার মতো টিকা নিন। আর প্রাথমিক চিকিৎসা করান।

Advertisement

৯. ঝড় থেমে যাওয়ার পরে এদিক ওদিকে নানা ধরনের নোংরা আবর্জনা জমা হয়, সে সব দ্রুত পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। এগুলি থেকে নানা ধরনের সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

১০. শেষে গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা। ঝড় থেমে যাওয়ার পরে বহু জায়গাতেই বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকে। তা থেকে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে। এই বিষয়ে সাবধান হন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version