Connect with us

আন্তর্জাতিক

হত্যার পর বুলডোজার দিয়ে বালুচাপা ২ ফিলিস্তিনিকে

Published

on

বালুচাপা-২-ফিলিস্তিনিকে

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। গেলো ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩২ হাজার নিরীহ মানুষ। এবার ইসরায়েল বাহিনীর এক নৃশংস আচারনের দৃশ্য সামনে এলো।

কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার হাতে এসেছে এক এক্সক্লুসিভ ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে সামরিক বুলডোজার দিয়ে মরদেহ দুটি বালুচাপা দেন তারা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার একটি সৈকতে এই ঘটনা ঘটেছে।

ভিডিও ফুটেজ দেখা যায়, সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে তাদের একজনকে বারবার একটি সাদা কাপড় নাড়তে দেখা যায়। কোনো হুমকি সৃষ্টি না করা সত্ত্বেও ওই দু’জনকে গুলি করে হত্যা করেন ইসরায়েলি সেনারা। পরে ইসরায়েলি সামরিক বুলডোজার এনে লাশ দুটি বালুচাপা দেন তারা।

Advertisement

এদিকে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটি বলছে, এই ঘটনা ইসরায়েলি ফ্যাসিবাদ ও অপরাধের মাত্রার আরও প্রমাণ হাজির করে। এটাই জায়নবাদী আচরণকে পরিচালিত করে।

আর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মুসলিম নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজার সৈকতে দুই নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি পুরুষকে হত্যা এবং বুলডোজার দিয়ে লাশ দুটি বালুর নিচে চাপা দেয়ার ঘটনার অবশ্যই জাতিসংঘকে তদন্ত করতে হবে।

এশিয়া

রাইসির হেলিকপ্টার সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে, বেঁচে নেই আর কেউই

Published

on

দুর্ঘটনার কবলে পড়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার উদ্ধারকারীরা খুঁজে পেয়েছেন। তবে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’ বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সেখানে কারও ‘বেঁচে থাকার বা জীবিত থাকার কোনও চিহ্ন’ নেই বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সিএনএন। প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর সেখানে কারও জীবিত থাকার ‘কোনও চিহ্ন’ নেই বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি বলছে। অন্যদিকে ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স আরও জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানি এই প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা বেঁচে আছেন কি না সেটি তখনও নিশ্চিত করে বলা হয়নি।

Advertisement

এর আগে রোববার একটি বাঁধ উদ্বোধন করে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে যাচ্ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এই সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন। তারবিজে ফেরার পথেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন।

ইরানি সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সে হিসেবে এখন পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত নিয়ে যা বললো হামাস

Published

on

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রোববার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হয়। এখন ওই হেলিকপ্টার ও তাঁকে খুঁজে বের করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

এতে তারা বলেছে, “এমন কষ্টদায়ক ঘটনায় আমরা আমাদের ইরানি ভাই, তাদের নেতা, সরকার এবং জনগণের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি। আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং তার দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আমাদের ইরানি ভাইদের সব ধরনের বিপদ থেকে মুক্ত রাখার দোয়া করছি। ”

রোববার আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন ইব্রাহিম রাইসি। এরপর সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে ইরানি প্রদেশ পূর্ব আজারবাইজানের তারবিজে আসছিলেন তিনি।

তার সঙ্গে ওই একই হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান। এছাড়া আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা একই হেলিকপ্টারে রাইসির সফর সঙ্গী হয়েছিলেন।

Advertisement

ইরানের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার থেকে সিগন্যাল শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডার। এছাড়া হেলিকপ্টারের এক ক্রুয়ের মোবাইল ফোন থেকেও সিগন্যাল পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহ এ ব্যাপারে আধা সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজকে বলেছেন, “আমরা সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যদের নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি এবং আমি আশা করি সাধারণ মানুষকে ভালো খবর দিতে পারব।”

ওই এলাকায় এত সংখ্যক সেনাকে জড়ো করা হয়েছে যে আর কোনো সেনার সেখানে জায়গা হবে না বলে জানিয়েছেন এই কমান্ডার। তিনি বলেছেন, “আর সেনার জায়গা এখানে নেই।”

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইরানে ৪৭ বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারীকে পাঠাচ্ছে রাশিয়া

Published

on

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর এখনো খোঁজ মেলেনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যদের। এরই মধ্যে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্ব শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে, বৈরী আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য ইরানে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাচ্ছে রাশিয়া।

সোমবার (২০ মে) ভোরে রাশিয়ার জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

আলজাজিরা খবরে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানে সহযোগিতা করার জন্য ৪৭ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দল এবং একটি হেলিকপ্টার পাঠাচ্ছে রাশিয়া। বিষয়টি এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে দেশটির জরুরি পরিস্থিতি মন্ত্রণালয়।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে সহমর্মিতা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এছাড়া ঘটনার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য সৌদি আরব, তুরস্ক, আর্মেনিয়া, রাশিয়া, ইউরোপীয় কমিশনসহ উপসাগরীয় বিভিন্ন দেশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

আলজাজিরা বলছে, হেলিকপ্টারটি উদ্ধারে অনুসন্ধান চলছে। ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকাজ পরিচালনার পরিকল্পনা কাজে আসেনি।

Advertisement

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরের কাছাকাছি একটি এলাকায় দুর্ঘটনারকবলে পড়ে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ওয়াহিদ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনারকবলে পড়া হেলিকপ্টারটিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতিসহ আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন।

টিআর/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version