Connect with us

আন্তর্জাতিক

পুলিৎজার পেল রয়টার্স, ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমস

Published

on

গাজায় চলমান যুদ্ধের ভয়াবহ চিত্র ছবির মাধ্যমে তুলে ধরে এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্যও পুরস্কার পেয়েছে বার্তা সংস্থাটিকে। তিনটি করে পুরস্কার পেয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

সোমবার (৬ মে) এবারের পুলিৎজার পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেছে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির পুলিৎজার বোর্ড।

সাংবাদিকতার ‘নোবেল’ হিসেবে খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পুলিৎজার পুরস্কার। ১৯১৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা ছাড়াও সাহিত্য, সংগীত ও নাটকে বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এবার পুলিৎজারের ‘ব্রেকিং নিউজ ফটোগ্রাফি’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে গাজা সংঘাত নিয়ে রয়টার্সের বেশ কয়েকটি ছবি। এর মধ্যে একটি তোলা আলোকচিত্রী মোহাম্মদ সালেমের। তাতে দেখা যায়, গাজায় নিহত পাঁচ বছরের এক শিশুর মরদেহ জড়িয়ে ধরে আছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। ছবিটি এ বছর সম্মানজনক ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও পেয়েছে।

এছাড়া, ইলন মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘ন্যাশনাল রিপোর্টিং’ বা ‘জাতীয় বিষয়াদি নিয়ে প্রতিবেদন’ বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে রয়টার্স। ‘দ্য মাস্ক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স’ শিরোনামে ধারাবাহিক ওই প্রতিবেদনে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্স, নিউরালিংক ও টেসলায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।

Advertisement

রয়টার্সের পাশাপাশি ন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। যুক্তরাষ্ট্রের এআর-১৫ রাইফেল এবং দেশটিতে বিভিন্ন বন্দুক হামলায় এই অস্ত্রের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সংবাদমাধ্যমটি। এছাড়া, ‘এডিটোরিয়াল রাইটিং’ (সম্পাদকীয়) ও ‘কমেন্টারি’ (মতামত) বিভাগেও পুরস্কার জিতেছে।

এদিকে, ‘ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং’ (অনুসন্ধানী প্রতিবেদন), ‘ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং’ (আন্তর্জাতিক বিষয়ে প্রতিবেদন) ও ‘ফিচার রাইটিং’ বিষয়ে পুরস্কার জিতেছে নিউইয়র্ক টাইমস। ইসরায়েলে হামাসের হামলা, ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ও ইসরায়েলের পাল্টা হামলা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ইন্টারন্যাশনাল রিপোর্টিং বিভাগে সেরা হয়েছে তারা।

পাবলিক সার্ভিস (জনসেবা) অ্যাওয়ার্ডকে পুলিৎজারে সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয়। এ বছর এই অ্যাওয়ার্ড নিজেদের দখলে রেখেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নিয়ে কাজ করা নিউইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা প্রোপাবলিকা। আর ‘ব্রেকিং নিউজ’ বিভাগে এবার পুলিৎজার পেয়েছে লুকআউট সান্তা ক্লজ।

এবারের পুলিৎজারে অভিবাসীদের নিয়ে ছবি প্রকাশ করে ‘ফিচার ফটোগ্রাফি’ বিভাগে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। ‘এক্সপ্লেনেটরি রিপোর্টিং’ (বিষদ ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন) ও ‘ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি’ বিভাগে পুরস্কার জিতেছেন দ্য নিউইয়র্কারের সাংবাদিকরা। আর ‘ক্রিটিসিজম’ (সমালোচনা) বিভাগে পুরস্কার নিজেদের করে নিয়েছে দ্য লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।

টিআর/

Advertisement

আন্তর্জাতিক

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরে র‍্যাম্পে হাঁটলেন মডেলরা

Published

on

সৌদি আরবে মহিলাদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধিনিষেধ উঠে যাচ্ছে ধাপে ধাপে। এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় সৌদির ২৭ বছরের মডেল রুমি আলকাহতানি বোরখা খুলে বিকিনি পরে র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন। সেই আবহেই এ বার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। এই প্রথম সেই দেশে স্নানপোশাক পরে ফ্যাশন শোয়ে হাঁটলেন মডেলরা।

শুক্রবার সৌদিতে রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল, আর সেখানেই কার্যত বিপ্লব ঘটে গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের ধারে আয়োজিত হয়েছিল সেই ফ্যাশন শোটি। সেই শোয়ের ভিডিও এখন সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।

এতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাকশিল্পী ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রংবেরঙের স্নানপোশাকে একে একে হেঁটে চলেছেন সুন্দরী মডেলরা। মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট, কেউ কেউ আবার নিম্নাঙ্গে সারং বেঁধেছিলেন। স্নানপোশাক পরলেও, অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেল তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথম বার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শোয়ের দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল স্নানপোশাকগুলি নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিতে পেরে সম্মানিত।’’

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

চীনের ২৬টি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

উইঘুর ইস্যুতে চীনের ২৬টি টেক্সটাইল কোম্পানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ওয়্যারহাউজ ফ্যাসিলিটি থেকে আর চীনের তুলা আমদানি করবে না দেশটি।

শনিবার (১৮ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে হোয়াইট হাউস এসব কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, চীনের উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে চীনের টেলিকম সরঞ্জাম ও বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার নিষেধাজ্ঞা দিল টেক্সটাইল খাতের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদেন বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্টে এবার চীনের ২৬টি কোম্পানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে এসব কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

Advertisement

এর আগেও ওয়াশিংটন বলেছে, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের এটি একটি কৌশলমাত্র।

২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন

Published

on

ক্রমেই বড় হয়ে চলেছে পরিবার। স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে কী ভাবে ভাল ভাবে দিন কাটাবেন, তা নিয়েই সর্বদা চিন্তায় থাকতেন সহদেব। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাড়ি থেকে তার দুই নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপরেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।

পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রথমে জানতে পারে যে, কোনও দুই অচেনা ব্যক্তি ঘরের ভিতর ঢুকে সহদেবের দুই কন্যাকে খুন করেছেন। কিন্তু তদন্ত এগিয়ে চললে জানা যায়, দুই নাবালিকাকে খুন করেছে তাদের বড় বোনই। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের গোহাওয়ার জাইত গ্রামে ঘটেছে। ১৩ বছরের কিশোরীর বিরুদ্ধে দুই নাবালিকাকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতদের নাম রিতু (৭) এবং পবিত্রা (৫)।

পুলিশ সূত্রে খবর, সহদেব তার স্ত্রী সবিতা এবং পাঁচ সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। সবিতার ১৩ এবং ন’বছরের দুই কন্যা রয়েছে। সবিতা এবং তার প্রাক্তন স্বামী পুখরাজের দুই সন্তান তারা। পুখরাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সহদেবের সঙ্গে বিয়ে হয় সবিতার। সহদেব এবং সবিতার তিন সন্তান— সাত এবং পাঁচ বছর বয়সি দুই কন্যা এবং দেড় বছরের এক পুত্রসন্তান রয়েছে তাদের।

সহদেবের বাড়ি থেকে দুই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সবিতার ১৩ বছরের কন্যা পুলিশকে জানায়, দু’জন অচেনা ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তার দুই বোনকে গলা টিপে খুন করে পালিয়ে যান। পরে অবশ্য সে নিজেই পুলিশকে আসল ঘটনাটি জানায়। কিশোরীর দাবি, পাঁচ সন্তানকে কী ভাবে বড় করবেন, এত বড় সংসার একা হাতে কী করে সামলাবেন— তা নিয়ে সব সময় চিন্তায় থাকতেন সহদেব। পরিবারের সদস্যসংখ্যা কমে গেলে বাবার চিন্তাও কমে যাবে— এমন ভেবে দুই বোনের গলায় কাপড় জড়িয়ে তাদের গলা টিপে মেরে ফেলে কিশোরী। পুলিশের কাছে এমনটাই জানায় সে। দুই নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version