Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফের ঐতিহ্যবাহী জাদুঘর ফিরেছে মসজিদ রূপে

Published

on

আয়া সোফিয়ার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যায় ‘কারিয়ে জাদুঘরের’ ইতিহাস। তুরস্কের ইস্তানবুলে অর্থোডক্সের এই প্রাচীন গির্জাকে মসজিদে রূপান্তর করে সোমবার (০৬ মে) মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। চার বছর আগে এই গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান।

মঙ্গলবার (৭ মে) আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রায় এক হাজার বছরের পুরোনো এ ভবনটি ইস্তানবুলের পশ্চিমাংশে ফাতিহ জেলায় অবস্থিত। মধ্যযুগে বাইজেন্টাইন শাসকদের তৈরি এ গির্জাটি ‘দ্য হোলি সেভিয়ার ইন হোরা’ বা হোরার পবিত্র ত্রাণকর্তা নামে পরিচিত। চতুর্দশ শতকের দেয়াললিপি দিয়ে সজ্জিত ভবনটি খ্রিস্টান বিশ্বে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

অটোমান যোদ্ধাদের কনস্টানটিপোল জয়ের প্রায় অর্ধশতাব্দী পর ১৪৫৩ সালে গির্জাটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তুরস্কের ধর্মনিরপক্ষ হয়ে ওঠার চেষ্টা হিসেবে তৎকালীন সরকার এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে।

দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় ভবনটির যথাসম্ভব পুরোনো রূপ ফিরিয়ে ১৯৫৮ সালে তা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। তবে চলতি বছরের নভেম্বরেই জাদুঘরটিকে আবারও মসজিদে রূপান্তরিত করার অনুমতি দিয়েছেন তুরস্কের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক আদালত।

Advertisement

সোমবার আঙ্কারায় অবস্থিত প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কারিয়ে মসজিদটি নামাজের জন্য পুরনায় খুলে দেন এরদোগান।

২০২০ সালের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগান এই গির্জাকে মসজিদে রূপান্তর করার জন্য নির্দেশ দেন। এর আগেও আয়া সোফিয়া নিয়ে এরদোগান এমন একটি নির্দেশ দেন। ইউনেস্কোর স্বীকৃতি আয়া সোফিয়া গির্জাটিকে প্রথমে মসজিদ বানানো হয়। পরে এটিকে জাদুঘর ঘোষণা করে আবারও মসজিদে রূপান্তর করা হয়।

এরদোগানের এমন আদেশকে অধিক রক্ষণশীল এবং তুর্কিদের সমর্থন পাওয়ার জন্য করা হচ্ছে বলে দেখা হয়।

এর আগে গেলো জুলাইয়ে ৮৬ বছর পর জুমার নামাজের মাধ্যমে মসজিদ হিসেবে ফের যাত্রা শুরু করে ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক স্থাপনা আয়া সোফিয়া।

টিআর/

Advertisement

এশিয়া

মদপানে রাজি না হওয়ায় বন্ধুকে ছাদ থেকে ধাক্কা

Published

on

ভারতে মদপানে রাজি না হওয়ায় বন্ধুকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে আর এক বন্ধু। ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার পরে তাকে মারধরও করে নিচে থাকা বাকি ৩ বন্ধু।

মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে  ভারতের উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌয়ের রূপপুর খাদরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় গণমাধ্যমটাইমস অব ইন্ডিয়া। তবে ঘটনাটি কবের সেটি নিশ্চিত করে নি ভারতীয় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী যুবকের নাম রণজিৎ সিং। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার আরও চার বন্ধু। একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে রণজিতের বাড়ির ছাদে আড্ডা দিতে শুরু করেন। সেখানেই মদপান করার বিষয়টি বন্ধুদের সঙ্গে মতবিরোধ হয় রণজিতের। পরে বন্ধুরা তাকে ছাদ থেকে রাস্তায় ফেলে দেন। এতে আহত হন রণজিৎ। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রণজিতের বাড়ির বিপরীত পাশে লাগানো একটি সিসিটিভি ক্যামেরায় তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ভিডিওটি ধরা পড়ে। সেখানে দেখা গেছে, রণজিৎকে একজন ছাদ থেকে ফেলে দিচ্ছে। অপর তিনজন নিচে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি তিন বন্ধু মিলে রণজিৎকে মারধর করতে থাকে।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত চারজনের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো স্পেনসহ তিন দেশ

Published

on

অবশেষে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিলো ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড। যদিও এ সিদ্ধান্তের পরে ইসরায়েল বলছে সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ের এমন সিদ্ধান্ত হামাসের জন্য পুরস্কার।

মঙ্গলবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বৃটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ন্যায়বিচারের দিকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ এবং শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ’ হিসেবে ফিলিস্তিনকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন।

তিনি বলেন, এটি (ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি) সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়ার একমাত্র উপায়,যা শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ অর্জনের একমাত্র সম্ভাব্য উপায় হিসেবে আমরা সবাই স্বীকার করি। এর মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তায় ইসরাইলের সঙ্গে সহাবস্থান থাকবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের মধ্যে সুইডেন, সাইপ্রাস,হাঙ্গেরিসহ ৮ টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মাল্টা এবং স্লোভেনিয়াও এমন স্বিদ্ধান্ত দিতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

Advertisement

বৃটেন এবং অস্ট্রেলিয়া বলছে তাঁরা স্বীকৃতির বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছেন। কিন্তু ইইউ সদস্য দেশ ফ্রান্স বলছে এই মুহুর্তে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি নয়।

জার্মানি ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সাথেই যুক্ত হয়েছে।

এদিকে আমেরিকা স্বীকৃতি বিষয়টিকে একতরফা পদক্ষেপ বলে এটিকে বাতিল করে দিয়েছে। তাঁরা কেবল আলোচনার মাধ্যমেই দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে জোর দিচ্ছে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

বিয়ের পর স্বামী জানলেন, স্ত্রী আসলে পুরুষ

Published

on

প্রেমের সম্পর্ক  যখন বিয়েতে পরিণত হয় তখন শুরু হয় সুখের দিন। কিন্তু হায়! এক স্বামী তার বিয়ের কয়েকদিন পর জানলেন তার স্ত্রী আসলে পুরুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে-অপরের পরিচয়। ধীরে ধীরে পরিচয় পরিণত হয় ভালোবাসায়। এরপর এক বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর অবশেষে হলো বিয়ে।

বিয়ের দিন কয়েকের মাথায় স্বামী জানলেন, তার স্ত্রী আসলে একজন পুরুষ। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়।

সোমবার (২৭ মে)  হংকং-ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’র প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ান এক ব্যক্তি সম্প্রতি বিয়ে করেছেন এবং এরপরই নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট অনুসারে, ২৬ বছর বয়সী ওই স্বামী জানতে পারেন, ভালোবেসে বিয়ে করলেও এর ১২ দিনের মাথায় তিনি জানতে পারেন, তার স্ত্রী আদিন্দা কানজা আসলে নারীর ছদ্মবেশে থাকা একজন পুরুষ।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, ভুক্তভোগী ওই স্বামীর নাম এ কে (ছদ্মনাম)। তিনি ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের নারিঙ্গুল অঞ্চলের বাসিন্দা। ২০২৩ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৬ বছর বয়সী আদিন্দা কানজার সাথে তার পরিচয় হয়।

Advertisement

পরে দুজনেই দ্রুত সামনা-সামনি দেখা করার পরিকল্পনা করেন। এ কে বলেন, কানজা সর্বদা ঐতিহ্যবাহী মুসলিম পোশাক পরতেন যার ফলে তাদের দেখা করার সময় তার পুরো মুখ ঢেকে থাকত এবং সে নিজেকে একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান বলে দাবি করত।

একে বলেন, কানজার নেকাব পরার বিষয়টি তার খারাপ লাগেনি এবং এটিকে তার ইসলামের প্রতি ‘ওই তরুণীর’ ভক্তির চিহ্ন হিসেবেই দেখেছিলেন তিনি।

এর প্রায় এক বছর তারা দুজনেই তাদের বিয়ের পরিকল্পনা শুরু করেন। তবে কানজা সেসময় জানান, তার বিয়েতে কেউ থাকতে পারবে না, কারণ বিয়েতে যোগ দেয়ার জন্য তার পরিবারের কোনও সদস্যই নেই। এরপর তারা গেলো ১২ এপ্রিল একে-এর বাড়িতে বিয়ে করেন।

কানজা এমনকি বিয়ের দিন যৌতুক হিসাবে ৫ গ্রাম (প্রায় আধা ভরি) স্বর্ণও সঙ্গে এনেছিল, তবে এই দম্পতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহের নিবন্ধন করেননি।

যাইহোক, বিয়ের পরেও আদিন্দা ক্রমাগত তার স্বামীর কাছ থেকে নিজের মুখ লুকিয়ে রাখতে থাকে এবং গ্রামে স্বামীর পরিবার এবং বন্ধুদের সাথেও মেলামেশা করতে অস্বীকার করে। এমনকি ঋতুচক্রের মতো মাসিক অসুস্থ বোধ করার কারণ উল্লেখসহ নানা অজুহাতে স্বামীর ঘনিষ্ঠতা এড়ানোর চেষ্টাও চালাতে থাকেন তিনি।

দিনের পর দিন নববিবাহিতা স্ত্রীর এমন সন্দেহজনক আচরণের পর, একে তার স্ত্রীর বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানতে পারেন, আদিন্দার বাবা-মা এখনও জীবিত আছেন এবং তারা তার সন্তানের বিয়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না।

একে আরও আশ্চর্য হন যখন জানতে পারেন, তার স্ত্রী আদিন্দা আসলে একজন পুরুষ এবং তার প্রকৃত নাম ‘ইএসএইচ’, যিনি ২০২০ সাল থেকে নারীদের মতো পোশাক পরছেন।

পুলিশের তদন্তের সময় ইএসএইচ নামের ওই যুবক জানিয়েছে, সে তার ‘স্বামীর’ পরিবারের সম্পদ চুরি করার জন্য এই বিয়ে করেছে। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তার কণ্ঠস্বরকে ‘নারীর মতো’ বলে বর্ণনা করেছে এবং বলেছে, ‘নারী হিসেবে’ সে সত্যিই ভালো অভিনয় করেছে।

Advertisement

পুলিশ বলেছে, ‘আপনি যদি তাদের বিয়ের ছবি দেখেন, তাহলে দেখবেন- আদিন্দাকে দেখতে একেবারে সত্যিকারের নারীর মতো দেখাচ্ছে। তার বেশ কোমল ও মৃদু কণ্ঠস্বরও রয়েছে, তাই তাকে নারী বলে সন্দেহ করার কোনও কারণ ছিল না।’

এদিকে স্থানীয় আইনের অধীনে আদিন্দা প্রতারণার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং এই অভিযোগে তার চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version