Connect with us

লাইফস্টাইল

সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস

Published

on

প্রসনজিৎ,-ঋতুপর্ণা

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক এক সময়ে ক্লান্তির ছাপ পড়ে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কেও। একে অপরের প্রতি উত্তেজনা, আবেগে মরচে পড়তে শুরু করে। তখন সম্পর্কে উদাসীনতা আসে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, প্রেম যেন কোথাও হারিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের প্রতি অহংবোধ তৈরি হওয়া, আকর্ষণ কমে যাওয়া- এই সব সমস্যার সঙ্গেই চোরাপথে হাজির হয় অশান্তি। মতের অমিল থেকে ছোটখাটো কথাতেও যেন জোর করে অশান্তি ডেকে আনা।

যতই ভিতরে ভিতরে ভালবাসা থাক, প্রকাশের অভাবটাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ আর টের পাওয়া যায় না তখন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে কিন্তু সম্পর্ককে টেনে আনতেই হবে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ভাল আছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ভাল থাকতে হলে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকেও।  অশান্তি এড়াতে ও আগের মতো সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে মেনে চলুন কিছু  বিষয়-

সময়

এখন আমরা সঙ্গীর থেকে ফোনের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও হাতে সেই ফোন! সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন, আর ফোনটাকে সেই সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।

রোম্যান্স

একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ দেয়া, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি এনেই দেখুন না!

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাই না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।

Advertisement

মিলেমিশে কাজ

একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজে নিন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।

পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া

পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। একসঙ্গে থাকতে গেলে কথা কাটাকাটি হবেই। কিন্তু সেই জের সঙ্গে নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন না। যাকে ভালবাসছেন, তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য জীবন।

 

এসি//

Advertisement

লাইফস্টাইল

খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চল্লিশেও চালশে…

Published

on

শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে মেয়েরা যতটা সচেতন, পুরুষেরা ঠিক ততটাই উদাসীন। শরীরের খেয়াল রাখার বিষয়টি অনেক পুরুষেরই সিলেবাসের বাইরে। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায় চরম অবহেলা করেন অনেকেই। সময়ে খাবার খাওয়া তো দূর, কাজ আর ব্যস্ততার কারণে অনেকে খেতেই ভুলে যান। সেই সঙ্গে অন্যান্য অনিয়ম তো আছেই। একটা বয়স পর্যন্ত অনিয়ম আর অবহেলা শরীর সহ্য করে নেয়। কিন্তু বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোনোর পর খাওয়াদাওয়া নির্দিষ্ট রুটিন মেনে করা জরুরি বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ এবং চিকিৎসকেদের।

চলুন জেনে নেই চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষের ডায়েট রুটিন কেমন হবে-

প্রোটিন বেশি খেতে হবে

৪০ পেরনো মানেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হয়। সেই ঘাটতি পূরণ করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। মুরগির মাংস, গ্রিক ইয়োগার্ট, ডিম, বাদাম হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। এই খাবারগুলি খেলে প্রোটিনের শূন্যস্থান তৈরি হবে না।

ফল এবং শাকসব্জি খাওয়া জরুরি

সুস্থ থাকতে যেকোনও বয়সে ফল, শাকসব্জি খাওয়া জরুরি। তবে ৪০-এর পর বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। একটা করে ফল এবং সবুজ শাকসব্জি প্রায় প্রতিদিনই খাওয়া প্রয়োজন। ফল-সব্জিতে থাকা নানা স্বাস্থ্যকর উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে অনেক রোগবালাই থেকে দূরে থাকা যায়।

হোল গ্রেন খেতে পারলে ভাল

ফাইবার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস হল বিভিন্ন ধরনের শস্য। সেই ধরনের খাবার বেশি করে খেতে হবে। ফাইবার হজমের গোলমাল দূর করে। তা ছাড়া রক্তচাপের মাত্রা বশে থাকে। ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে এমনকি হার্টও ভাল থাকে। ব্রাউন রাইস, ওট্স, বার্লির মতো খাবার খেতে পারলে ভাল।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রূপচর্চা

ফেইস শেইপ অনুযায়ী বেছে নিন পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল

Published

on

পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল ছাড়া আপনার ওভারঅল লুকটা কিন্তু ইনকমপ্লিট থেকে যায়। নিজের ব্যক্তিত্বকে পুরোপুরিভাবে ফুটিয়ে তুলতে মানানসই হেয়ার স্টাইলিং কিন্তু মাস্ট। আমরা জানি যে, মুখের গড়নের সাথে ঠিকঠাক হেয়ার কাট বা স্টাইল সিলেকশনের একটা সম্পর্ক আছে। কোন বিষয়গুলো মাথায় রেখে নিজের জন্য মানানসই হেয়ার কাট সিলেক্ট করতে হয়, সে বিষয়ে কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না! ফেইস শেইপ অনুযায়ী পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল বেছে নেয়াটা কিন্তু বেশ জরুরি। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

মুখের গড়নের সাথে মানানসই হেয়ার স্টাইল

এই বিষয়টি একদমই পারসোনাল চয়েজ। কিন্তু ফেইসের শেইপ অনুযায়ী হেয়ার কাট সিলেক্ট করলে সেটা আপনার ন্যাচারাল বিউটিকে আরও এনহ্যান্স করবে। হালের ফ্যাশনে তাল মেলাতে কিংবা ট্রেন্ডি স্টাইলে নিজেকে প্রেজেন্ট করতে, যেটাই আপনার করতে ইচ্ছা হোক না কেন; সেটা হওয়া উচিত ফেইস শেইপের সাথে মিলিয়ে! এর জন্য প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ফেইস শেইপ কেমন।

ফেইস শেইপ ও হেয়ার কাট

প্রথমেই আপনার সমস্ত চুল মুখের উপর থেকে সরিয়ে আঁচড়ে বেঁধে নিন। এবার আয়নার সামনে সোজা হয়ে দাঁড়ান, আর খেয়াল করুন আপনার মুখের আকৃতি কেমন। পারফেক্ট হেয়ার স্টাইল পাওয়ার প্রথম শর্তই হচ্ছে মানানসই হেয়ার কাট করানো। চুলের ভলিউম এবং লেন্থ কেমন, সেটার উপরও হেয়ার কাট ডিপেন্ড করে। জেনে নিন কোন ধরনের ফেইসে কোন হেয়ার কাট মানাবে।

Advertisement

১. রাউন্ড শেইপের জন্য

গোল শেইপের ফেইসের সাথে মিডিয়াম টু লং লেন্থের হেয়ার সবথেকে ভালো মানায়। এমন হেয়ার কাট সিলেক্ট করুন যাতে মুখের দুই পাশের অংশ কম ফোলা লাগবে। আপনার যদি রাউন্ড শেইপের ফেইস কাটিং হয় তাহলে লং বব কাট, সাইড লেয়ার, ব্যাংস কাট খুব ভালো মানাবে।

২. ওভাল শেইপের জন্য

ওভাল বা ডিম্বাকৃতির ফেইস শেইপে প্রায় সব ধরনের হেয়ার কাট স্যুট করে। আপনার চুল যদি স্ট্রেইট হয়, সেক্ষেত্রে বব কাট, ভলিউম লেয়ার, ফ্রন্ট ব্যাংস বা ফুল লেয়ার কাট দিতে পারেন। আর যদি কার্লি হেয়ার হয়, তাহলে পেছনের দিকে স্টেপ কাট বা ইউ শেইপে চুল ছেঁটে নিতে পারেন।

৩. স্কয়ার শেইপের জন্য

Advertisement

স্কয়ার শেইপের ফেইসে চুল একদম ছোট করে ফেললে মুখ আরও বেশি চওড়া দেখাবে। শোল্ডার লেন্থ যেকোনো কাটের সাথে সাইড ব্যাংস কাট দিন। এটা আপনার জ-লাইনকে ঢেকে দিতে সাহায্য করবে। লং লেয়ার বা ব্লান্ট কাট ইজিলি ক্যারি করতে পারেন, এতে মুখের স্কয়ার ভাবটা কম দেখাবে।

৪. লম্বাটে ফেইস শেইপের জন্য

লম্বাটে মুখ এমনিতেই একটু শুকনো দেখায়, গালে ফোলাভাব থাকে না। সেজন্য হেয়ার কাটিং এমন হতে হবে যাতে করে মুখ কিছুটা ভারী লাগে। এক ছাটের লম্বা চুলে এই ধরনের ফেইস আরও বেশি ফ্ল্যাট লাগবে। সাইড সোয়েপ্ট লং হেয়ার এড়িয়ে চলুন। আপনার চুল শোল্ডার লেন্থে রেখে সাথে লেয়ার বা স্টেপ কাট দিয়ে নিতে পারেন।

এগুলো সাধারণ কিছু গাইডলাইন মাত্র। আপনি যেকোনো হেয়ার কাট-ই ট্রাই করতে পারেন। কনফিডেন্টলি ক্যারি করতে পারলে সব কিছুই মানিয়ে যাবে।

হেয়ার স্টাইলিং টিপস

Advertisement

আপনার রুচি ও আভিজাত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে আপনি নিজেকে কীভাবে উপস্থাপন করেছেন সেটার মাধ্যমে। কোন কোন বিষয় খেয়াল রেখে চুল বাঁধবেন বা আপনার ওভারঅল লুকটাকে কমপ্লিট করবেন, সেটা এখন জেনে নিন। স্টাইলিংটা এমন হওয়া উচিত যেটা আপনার পারসোনালিটিকেও পুরোপুরি কমপ্লিমেন্ট করবে। আপনি কোন প্রফেশনে আছেন, বয়স, আপনার আশেপাশের পরিবেশ সবকিছুই বিবেচনায় রাখবেন।

পারসোনালিটি অনুযায়ী হেয়ার কাট দিয়েছেন

ইউনিভার্সিটি বা অফিসে যাওয়ার জন্য পনিটেল ও ফ্রন্ট পাফ অনেকেই প্রিফার করেন। একটু ক্যাজুয়াল থাকতে চাইলে মেসি বান বা সাইড ব্রেইড করে নিতে পারেন। আবার ছোট চুল থাকলে ছেড়েও রাখতে পারেন। আপনি যেই স্টাইলই পিক করুন না কেন, সেটা যেন আপনার কাজে বাঁধা সৃষ্টি না করে, বরং আপনার নিজস্ব স্টাইল ও ব্যক্তিত্বকে যাতে ফুটিয়ে তোলে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে এটি যেন কমফোর্টেবল হয়! এই ছোটখাটো বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে এলিগেন্ট ও ক্ল্যাসি ওয়েতে আপনি নিজেকে প্রেজেন্ট করতে পারবেন।

বিবেচনায় রাখুন আপনার বয়স

হেয়ার সেটিং করার সময় আপনার বয়সকে সবসময়ই প্রাধান্য দিতে হবে। টিনেজের হেয়ার স্টাইলের সাথে মধ্যবয়সী একজনের হেয়ার সেটিং কিছুটা হলেও আলাদা হওয়া উচিত। টিনেজাররা হেয়ার নিয়ে বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট বা ফিউশন স্টাইলিং করতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে একটু মোডেস্ট লুকে বেশি ক্ল্যাসি লাগে।

Advertisement

পোশাকের সাথে মানানসই হেয়ার স্টাইল

আউটফিটকে কমপ্লিমেন্ট করে এমন হেয়ার মেকওভার সিলেক্ট করতে হবে। শাড়ীর সাথে বা ট্র্যাডিশনাল লুকের সাথে খোঁপা, ব্রেইড হেয়ার স্টাইল খুব ভালো মানায় অথবা চুল স্ট্রেইট করে ছেড়েও রাখতে পারেন। কামিজ ও ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সাথে লুজ কার্ল, সাইড বান, ফ্রেঞ্জ বেনি করতে পারেন কিংবা সুন্দর একটা হেয়ার কাট দেওয়া থাকলে খোলা চুলেই ভালো লাগে দেখতে।

অকেশন বুঝে হেয়ার সেটিং

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে কোন অকেশনের জন্য আপনি হেয়ার স্টাইলিং করছেন, সেটাও বিবেচনায় রাখুন। কোনো গ্ল্যামারাস পার্টি হলে হেয়ার ড্রেসিংয়ে আপনি আপনার লুকে ইনোভেশন বা বৈচিত্র্য আনতে পারেন। আপনার যদি স্টেইট হেয়ার হয়, তাহলে কার্ল করে নিয়ে স্টাইলিং করুন আর যদি এমনিতেই আপনার চুল কোঁকড়া হয়, তাহলে স্টেইটনার দিয়ে একটু টেনে নিন, চটজলদি লুকে একটা চেঞ্জ চলে আসবে।

ফ্রন্ট হেয়ার কীভাবে সেট করবেন?  

Advertisement

ফ্রন্ট হেয়ার সেটিং কিন্তু খুবই ইম্পরট্যান্ট। সময় কম থাকলে পাফ করে নিয়ে ছেড়ে রাখুন বা ব্লো ড্রাই করে নিন। নানা ধরনের স্টাইলিশ হেয়ার ব্যান্ড বা অ্যাকসেসরিজ দিয়েও চুলের সাজে ভিন্নতা আনা যেতে পারে। তবে ফেইস শেইপ অনুযায়ী ফ্রন্ট হেয়ার সেট করুন। যেমন রাউন্ড শেইপের ফেইস হলে সামনের চুল পাফ করে বাঁধলে, এতে মুখ আরও গোল লাগবে। সেক্ষেত্রে জাস্ট এক সাইডে সিঁথি করে চিরুনি দিয়ে সামনের চুল সেট করে নিতে পারেন, অপরদিকে টুইস্ট করে ক্লিপ দিয়ে আটকিয়ে নিলে বেশ ভালো লাগবে। কপাল ছোট হলে ফ্রন্ট পাফ করতে পারেন, কপাল যদি চওড়া হয় তবে ব্যাংস কাট দিয়ে চুল খোলা রাখুন। এতে কপালের কিছু অংশ ঢেকে থাকবে, তার দেখতেও ভালো লাগবে।

তাহলে জেনে নিলেন, ফেইস শেইপ অনুযায়ী পারফেক্ট হেয়ার কাট ও স্টাইল নিয়ে দারুণ কিছু টিপস! যেকোনো স্টাইলই ট্রাই করতে পারেন, কনফিডেন্টলি ক্যারি করতে পারলে তাতেই আপনাকে লাগবে গর্জিয়াস। আর অন্যদের কাছেও হয়ে উঠবেন ফ্যাশন আইকন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ঘড়ি ধরে ওজন কমানোর সহজ উপায়

Published

on

বাঙালি হিসেবে জন্ম থেকেই আমরা ভোজনরসিক! একটা ছুটির দিন বা একটা উৎসব পেলেই হলো, হাজারটা আইটেমের লিস্ট তৈরি হয়ে যায় মাথায়। কিন্তু শুধু পেট আর মন ভরলে আর কি হবে, ওদিকে পকেট তো ফাঁকা হয়ে যায়! এই রোগ ঐ রোগের জন্য ওষুধ কিনতে কিনতে অবস্থা হয়ে যায় আরো ভঙ্গুর! এর থেকে বাঁচার আর প্রিয় শরীরটাকে বাড়তি ওজন নামের দানবটার থেকে বাঁচানোর তাহলে উপায় কী? খুব সোজা, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং! ঘড়ি ধরে ওজন কমানোর সহজ এই উপায়টি সম্পর্কেই জানাবো আজ।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ব্যাপারটা খুবই ইন্টারেস্টিং, তবে তার আগে চলুন কিছু ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্টস জেনে নেই এই সম্পর্কে। ২০১৯ সালে ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি খোঁজা শব্দগুলোর মধ্যে বেশ উপরের দিকেই জায়গা করে নিয়েছিলো এই শব্দটি। কী পরিমাণ সাড়া পড়েছিল তাহলে বুঝতেই পারছেন! তবে ২০১৯ সালের আরো আগে থেকেই এই নিয়ে কথা চলছিলো। ইংল্যান্ডের জার্নাল অব মেডিসিন এ নিয়ে একটা গবেষণাপত্রই বানিয়ে ফেললো শুধু একটা ডায়েট স্টাইলের উপর ভিত্তি করে। এছাড়াও ২০১২ সালে বিবিসি-তে একটি প্রোগ্রাম হতো, যার নাম ছিলো ‘Eat Fast, Live Longer’। বুঝতেই পারছেন জ্ঞানীগুণী মহলে এই বস্তুর ভক্তের অভাব নেই।

এই ফাস্টিং আসলে কীভাবে করে? ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হলো সবিরাম উপোস। এটি এমন একটি খাদ্যাভ্যাস যেখানে আপনি কী খাচ্ছেন, কতটুকু খাচ্ছেন সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং আপনি কোন সময়ে খাচ্ছেন আর কোন সময়ে খাচ্ছেন না সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটো ইন্টারমিটেন্ট পদ্ধতি হলো ১৬:৮ আর ৫:২।

১৬:৮ মানে হলো আপনি দিনের মধ্যে যেকোনো সময়, আপনার সুবিধা অনুযায়ী, ৮ ঘন্টা খাবেন আর বাকি ১৬ ঘন্টা কোনো রকম ক্যালরি গ্রহণ করতে পারবেন না। অনেকটাই আমাদের মুসলমানদের রোজা রাখার মতো। তবে ভয় নেই, আপনাকে একেবারে না খেয়ে থাকতে কেউ বলবে না, বরং চাইলে আপনি একেবারে লো ক্যালরি যুক্ত কিছু যেমন- ফলের ফ্লেভারযুক্ত পানি, শসা বা কম ক্যালরির যেকোনো ফল একেবারে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। ৫:২ হলো সপ্তাহে ৫ দিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করা এবং দুইদিন উপবাস থাকা। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার ক্যালরি ইনটেক যেন কোনোভাবেই আপনার ওজন কমানোর অন্তরায় না হয়ে যায়!

Advertisement

ওজন কমাতে কি আসলেই এটা কাজে দিবে?

মোটামুটি আমরা বুঝলাম যে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ব্যাপারটা আসলে কী, এবার চলুন আরেকটু কাঁটাছেড়া করি পুরো জিনিসটাকে। জেনে নেই ঠিক কীভাবে এই প্রক্রিয়ায় আপনি ওজন কমাতে পারেন।

আমরা যেসব খাবার খাই, কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন বা ফ্যাট যাই হোক, সেগুলোকে বডি দুইভাবে ভেঙে ফেলে। একভাগে থাকে গ্লুকোজ, এই গ্লুকোজ আমাদের দেহের সব কোষের মধ্যে যায় এবং অক্সিডেশনের মাধ্যমে সেখানে শক্তি দেয়। বলাবাহুল্য, সেই শক্তি দিয়েই আমরা কাজ করি। এখন ধরে নিন, আপনি খাবার বেশি খেয়েছেন বা যে পরিমাণ কাজ করলে আপনার প্রতিদিনের এনার্জি বার্ন হবে সেই পরিমাণে আপনি কাজ করেননি। তাহলে কী হবে? খুব স্বাভাবিকভাবেই শরীরে শক্তি জমা থাকবে। এখানে আসছে আমাদের দ্বিতীয় ভাগ, আমাদের শরীরে যত বাড়তি শক্তি আছে বা গ্লুকোজ আছে সেগুলোকে ফ্যাট আমাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মাংসপেশির নিচে জমিয়ে রাখে। আর আমরা মোটা হয়ে যাই এভাবেই!

এবার ভাবুন তো, যখন আমরা রমজান মাসে রোজা থাকি বা সারাদিনের একটা লম্বা সময় না খেয়ে থাকি তখন কই থেকে আসে আমাদের কাজ করার শক্তি? আর শুধু তো কাজ করার শক্তি নয়, বরং আমাদের হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, ব্রেইন এসব ইন্টার্নাল অর্গানগুলোর নিজেদের কাজ চালিয়ে নিতেও তো শক্তি লাগে, তাই না? সেগুলো আসে কোথা থেকে? আমাদের শরীরে জমে থাকা ফ্যাট তখন প্রয়োজন অনুযায়ী গ্লুকোজে ভেঙে যায় এবং শক্তির জোগান দেয়। এভাবেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আমাদেরকে শক্তি দেয় এবং শরীরের জমানো ফ্যাটগুলোকে ভেঙে শরীরকে আরেকটু হালকা বানায়।

এই ফাস্টিং এর সুবিধা কী?

Advertisement

কিছুটা আদ্যোপান্ত তো জানা হলো ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে, এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক এটি কি শুধু ওজনই কমায় নাকি আরো কিছু উপকারও দেয় সে সম্পর্কে। এই ফাস্টিং এর সুবিধা-

১. আমাদের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে

২. শরীরে ইনসুলিন প্রোডাকশন বাড়িয়ে দেয়, যার জন্য শরীরের অতিরিক্ত শর্করা ভেঙে যায়

২. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

৩. স্ট্রেস হরমোন ক্ষরণ কমিয়ে দেয়

Advertisement

৪. হরমোন ব্যালেন্সিং এর ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে

৫. স্কিনের গ্লো বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রেও এর কিছুটা প্রভাব আছে বলে ধারণা করা হয়

কাদের জন্য এই ফাস্টিং নয়?

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর প্রচুর উপকারী দিক থাকলেও এটা সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য নয়। কারা এই ফাস্টিং করতে পারবেন না চলুন জেনে আসি।

১. যারা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করছেন

Advertisement

২. গর্ভবতী নারী

৩. স্তন্যদাত্রী

৪. ডায়াবেটিস রোগী

৫. নিম্ন ওজন আছে এরকম মানুষ

৬. নিম্ন রক্তচাপ আছে এমন কেউ

Advertisement

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর সময়ে আপনার শরীর যেন কোনোভাবেই পানিশূন্যতায় না ভোগে এটা খেয়াল রাখা কিন্তু অবশ্য কর্তব্য! আর খাবার তালিকায় এই সময়টায় প্রসেসড ফুড আর বেশি ভাজাপোড়া জিনিস না রাখাই ভালো। এত সাধ করে যে ওজন কমানোর মিশনে নেমেছেন খেয়াল রাখবেন যেন নিজের ছোট ছোট ভুলের জন্য এই মিশনটা ব্যর্থ না হয়! আর সবচেয়ে ভালো হয় যদি কয়েকজন মিলে একসাথে এই মিশনে নামেন। আজকাল অনেকগুলো ফেইসবুক গ্রুপে এই ধরনের কার্যক্রম চলমান, আগ্রহী হয়ে একটু সার্চ করে যুক্ত হয়ে যেতে পারেন! সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version