লাইফস্টাইল
সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস
![প্রসনজিৎ,-ঋতুপর্ণা](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/05/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%A8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A7%8E-%E0%A6%8B%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A3%E0%A6%BE.jpg)
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক এক সময়ে ক্লান্তির ছাপ পড়ে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কেও। একে অপরের প্রতি উত্তেজনা, আবেগে মরচে পড়তে শুরু করে। তখন সম্পর্কে উদাসীনতা আসে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, প্রেম যেন কোথাও হারিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের প্রতি অহংবোধ তৈরি হওয়া, আকর্ষণ কমে যাওয়া- এই সব সমস্যার সঙ্গেই চোরাপথে হাজির হয় অশান্তি। মতের অমিল থেকে ছোটখাটো কথাতেও যেন জোর করে অশান্তি ডেকে আনা।
যতই ভিতরে ভিতরে ভালবাসা থাক, প্রকাশের অভাবটাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ আর টের পাওয়া যায় না তখন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে কিন্তু সম্পর্ককে টেনে আনতেই হবে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ভাল আছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ভাল থাকতে হলে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকেও। অশান্তি এড়াতে ও আগের মতো সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে মেনে চলুন কিছু বিষয়-
সময়
এখন আমরা সঙ্গীর থেকে ফোনের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও হাতে সেই ফোন! সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন, আর ফোনটাকে সেই সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
রোম্যান্স
একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ দেয়া, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি এনেই দেখুন না!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাই না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
মিলেমিশে কাজ
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজে নিন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।
পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া
পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। একসঙ্গে থাকতে গেলে কথা কাটাকাটি হবেই। কিন্তু সেই জের সঙ্গে নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন না। যাকে ভালবাসছেন, তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য জীবন।
এসি//
লাইফস্টাইল
বর্ষাকালে গাছ ভালো রাখার ৯টি উপায়
জায়গার যথেষ্ট অভাব থাকার কারণে নগরের বাসিন্দারা ছোটখাটো পরিসরে বারান্দায়, কেউবা ছাদে গাছ লাগিয়ে থাকেন। তবে বিভিন্ন ঝামেলা এড়াতে অধিকাংশ মানুষকে বারান্দায় গাছ লাগাতে দেখা যায়। তবে যখন অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ভিজে গাছগুলো মরে যায়, এলোমেলো ও কাদা কাদা হয়ে থাকে, পোকামাকড় বা পিঁপড়ায় একাকার হয়ে যায়। তবে উইকেন্ডে টুকটাক যত্ন আর টিপস মেনে চললে আপনার বারান্দায় থাকা গাছগুলো বেশ সতেজ থাকবে এবং সহজে মরে যাবে না। চলুন জেনে নেয়া যাক এই বর্ষাকালে গাছ ভালো রাখতে কীভাবে পরিচর্যা করবেন।
বর্ষাকালে গাছের যত্ন
বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্ষায় গাছের যত্ন নেয়ার ধরন কিছুটা আলাদা। এ সময় কীভাবে গাছের পরিচর্যা করবেন চলুন জেনে নেয়া যাক।
১) অতিরিক্ত পানি না দেয়া
বৃষ্টির পানিতে থাকা পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফেট ও নাইট্রেট আয়রন গাছের জন্য খুবই উপকারী। তাই আলাদা করে এই সময়ে পানি না দেয়াই ভালো। এতে গাছের গোড়া পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু গাছের আবার পানির প্রয়োজন বেশি। সেক্ষেত্রে খেয়াল করুন আপনার বারান্দার কোথায় বেশি পানি আসে আর কোথায় কম। সেটা বুঝে গাছগুলো সেভাবে সেট করুন। এতে গাছ প্রয়োজন অনুযায়ী পানি পাবে।
তবে ক্যাকটাস বা সাকুলেন্টের ক্ষেত্রে আবার উল্টো। বর্ষার দিনে এগুলো বাসার ভিতরে বা বারান্দায় যদি শেলফ রাখেন, তাহলে এমন জায়গায় তুলে রাখবেন যেন পানি না পড়ে। কারণ মরুভূমির গাছ হওয়াতে অতিরিক্ত পানি পড়লেই এগুলো মরে যায়।
২) পানি নিষ্কাশন
বারান্দায় গাছ রাখার আগে টবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে কিনা সে ব্যাপারে খেয়াল রাখা বেশ জরুরি। এখন তো সবাই টব কিনে নেন। সেগুলোতে আগে থেকেই ফুটো করা থাকে। যারা বাসায় থাকা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে টব বানান, তাতে ছোট ছিদ্র রাখতে ভুলবেন না। আর বর্ষার এই সময় আপনার বারান্দা অবশ্যই ক্লিন করবেন। খেয়াল রাখবেন, বারান্দায় পানি বের হওয়ার যে ছিদ্র রাখা হয় তাতে যেন পাতা বা অন্য কিছু আটকে না যায়। এতে অনেক বৃষ্টি পড়লেও পানি তাড়াতাড়ি সরে যাবে। অনেক সময় এত বৃষ্টি হয় যে গাছের টব সরিয়ে আনতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনি একটি ট্রান্সপারেন্ট পলি ব্যবহার করতে পারেন। যখনই বেশি বৃষ্টি হবে সেটি নামিয়ে নিলেন। তাছাড়া মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পানি যেন না জমে সে ব্যাপারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। খেয়াল রাখবেন, টবের নিচে রাখা ট্রেগুলোতে পানি যেন না জমে।
৩) টবে মাটি প্রয়োগ
গাছে প্রতিদিন পানি দেয়ার ফলে মাটির লেভেল নিচের দিকে নামতে থাকে। ফলে যখন বেশি বৃষ্টি হয়, তখন পানি এতটাই জমে যে ফেলতে গেলে পানির সাথে মাটিও ধুয়ে যায়। তাতে গাছ মরে যায়। তাই বর্ষা আসার আগে মাটির লেভেল বাড়িয়ে দিন। আর গাছের জন্য অবশ্যই ভালো মাটি নিবেন। এক্ষেত্রে এঁটেল মাটি বেশ ভালো, কারণ এই মাটির পানি শোষণের ক্ষমতা বেশি। নারিকেলের ছোবড়াও ভালো পানি শোষণ করে। এছাড়া মাটির উপরে আপনি ছোট নুড়িপাথর দিতে পারেন। এতে টব দেখতে সুন্দর লাগে, আবার পানিও বেশি শোষণ হয় না।
৪) সার প্রয়োগ
বৃষ্টির পানিতে থাকা প্রয়োজনীয় নিউট্রিয়েন্ট গাছের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। তাই আলাদা করে সারের প্রয়োজন হয় না। তবে অর্গানিক সার যেমন- চা পাতা, ডিমের খোসা, তরকারির খোসা এসব দিতে পারেন। যে ঋতুতেই গাছের যত্ন নেন না কেন, মাটি যখন ধরবেন হাতে গ্লাভস পরে নিবেন। কারণ পোকামাকড় বা কেঁচো থেকে হাতে ইনফেকশন হতে পারে। আর এই সিজনে গাছে নিড়ানি না দেয়াই ভালো। কারণ মাটি প্রায়ই ভেজা থাকে এবং গোড়াও নরম থাকে। এতে নিড়ানি দেয়ার সময় গাছ শিকড়সহ উঠে আসতে পারে।
৫) অর্গানিক উপাদানের ব্যবহার করা
বারান্দায় থাকা রঙবেরঙের গাছ যেমন মন ভালো করে দেয়, আবার বর্ষায় পোকামাকড় বিশেষ করে পিঁপড়াদের উপদ্রবও বেশ বাড়ে। দেখা যায়, বাসায় বেশি গাছ থাকলে পোকামাকড়ও বেড়ে যায়। অনেক সময় বিভিন্ন রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করেও এসবের উপদ্রব কমানো যায় না। তবে অর্গানিক উপাদান যেমন- কমলার খোসা, নিমের তেল, রসুন, হলুদ রেখে দিলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি বেশি ঘন করে টব রাখবেন না। এতে পোকামাকড় বেশি আক্রমণ করে। তাই গাছের অবস্থা বুঝে সেই অনুযায়ী গাছে কীটনাশক প্রয়োগ করুন।
৬) ট্রিম করা
বর্ষার কিছু আগেই গাছগুলো ট্রিম করে নিন। এতে বর্ষায় গাছ বাড়বে এবং দ্রুত ফুলও আসবে। আর গাছ যদি ঠিক থাকে তাহলে তো সমস্যাই নেই। তবে পাশাপাশি গাছ বেশি থাকলে এবং একটার উপর অন্য গাছের পাতা থাকলে তা ছেঁটে দিন। এতে পোকামাকড়ের আনাগোনা কমে।
৭) চারকোল গুঁড়ার ব্যবহার
এই বর্ষায় গাছে আরেকটা সমস্যা দেখা যায়। সেটি হলো শ্যাওলা জমা। এটিও কিন্তু টবের মাটি থেকে খাদ্য রস শুষে নেয়, ফলসরূপ গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর সমাধান হচ্ছে, চারকোল গুঁড়া টবের মাটির উপরে দিয়ে দেয়া।
৮) খুঁটি দেয়া
বেশি বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসে নরম গাছগুলো হেলে পড়ে। তাই খুটিঁ দিয়ে বেঁধে রাখুন। এতে গাছ সঠিকভাবে বেড়ে উঠবে। হেলে পড়ে যাবে না।
৯) গাছে রোদ লাগানো
টানা অনেকদিন বৃষ্টির পরে আবার রোদ ওঠে। তখন গাছ যেন পর্যাপ্ত রোদ পায় তা খেয়াল রাখবেন। বেশিদিন ধরে গাছের গোড়া ভেজা থাকলে গাছ পঁচে যায়। রোদ উঠলে গাছের টবগুলো ছাদে নিতে পারেন অথবা বাসায় যেখানে রোদ বেশি পড়ে সেখানে রাখতে পারেন।
গাছে রোদ লাগানো
সুস্থ পরিবেশের জন্য গাছ যেমন উপকারী, তেমনই সারাদিনের অবসাদ কাটাতে বারান্দায় একটু সবুজের ছোঁয়া কিন্তু মন্দ নয়। তবে উপযুক্ত পরিচর্যার অভাবে আপনার কষ্টের গড়ে তোলা শখের বারান্দা কিন্তু নষ্ট হতে সময় নিবে না। তাই এই বর্ষায় গাছের যত্ন নিতে ভুলবেন না।
কেএস/
রেসিপি
স্পাইসি ফ্রায়েড চিকেন রেসিপি
চিকেন ফ্রাই আমাদের সবারই খুব ফেবারিট, তাই না? রেস্টুরেন্টে গেলে এই আইটেমটা তো কম বেশি খাওয়া হয়ই। যারা ঝাল খেতে ভালোবাসে, তাদের তো স্পাইসি ফ্রায়েড চিকেন একটু বেশিই পছন্দের! ক্রিস্পি চিকেন ফ্রাই তো বাসাতে বানিয়ে খাওয়া হয়, কিন্তু স্পাইসি ফ্রায়েড চিকেন ট্রাই করেছেন কি? আজ দেখে নিন কীভাবে খুব সহজে অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে মুচমুচে ঝাল ঝাল চিকেন ফ্রাই বানিয়ে নেয়া যায়।
স্পাইসি ফ্রায়েড চিকেনের উপকরণ
মুরগির মাংস- ৮ পিস
আদা ও রসুন বাটা- ১ চা চামচ
সয়াসস- হাফ চা চামচ
টমেটো কেচাপ- ১ চামচ
মরিচ বাটা বা লাল মরিচের গুঁড়া- ২ চা চামচ
গোল মরিচের গুঁড়া- হাফ চা চামচ
লবণ- সামান্য
ময়দা- ৩ টেবিল চামচ
কর্ন ফ্লাওয়ার- ২ চা চামচ
সয়াবিন তেল- ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রণালী
১. প্রথমে চিকেন পিসগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।
২. সব উপকরণ একসাথে মিক্স করে চিকেন ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করুন।
৩. একটি বড় প্যানে তেল গরম করে নিন। এক এক করে ডুবো তেলে চিকেন পিসগুলো দিয়ে দিতে হবে।
৪. এবার চুলার জ্বাল মিডিয়াম রেখে চিকেন ফ্রাইগুলো গোল্ডেন কালার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৫. ভাজা হয়ে গেলে এগুলো তেল থেকে তুলে নিয়ে কিচেন টিস্যুতে রাখুন। ব্যস, স্পাইসি ফ্রায়েড চিকেন রেডি টু সার্ভ।
টিপস ও ট্রিকস
পারফেক্টলি স্পাইসি ফ্রায়েড চিকেন বানাতে হলে কিছু সিম্পল ট্রিকস আপনাকে ফলো করতে হবে। দেখে নিন সেগুলো কী-
# মুরগীর মাংসগুলো মসলা দিয়ে মাখিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ম্যারিনেট করুন।
# মাঝারি আঁচে সময় নিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে ফ্রাই করুন।
# তেল গরম হওয়ার আগেই চিকেনের পিসগুলো দিবেন না
# সয়াসস ও কেচাপে লবণ থাকে, তাই এক্সট্রা লবণ দেওয়ার সময় সাবধান থাকবেন।
# পিসগুলো ছোট ছোট করে কাটবেন, এতে মাংস সুসিদ্ধ হবে।
# একটু বেশি স্পাইসি খেতে চাইলে ম্যারিনেট করার সময় চিলি ফ্লেক্স অ্যাড করতে পারেন।
জেএইচ
রেসিপি
হাঁসের মাংসের স্পাইসি কোরমার রেসিপি
বিশেষ কোনো দিনে বা অতিথি আপ্যায়নে মাংসের পদ না থাকলেই যেন নয়। হাঁসের মাংস বিভিন্নভাবে রান্না করা হয়, কখনো নারিকেল দুধ দিয়ে, কখনো হয়তো আলু দিয়ে ঝোল। আর সেটা যদি হয় হাঁসের মাংসের ঝাল ঝাল কোরমা, তাহলে তো সবাই চেটেপুটে খাবেই! আর এটা বেশ তাড়াতাড়ি ও ঝামেলাবিহীনভাবে রান্না করা যায়। চলুন তাহলে জেনে নেই, হাঁসের মাংসের স্পাইসি কোরমার সবচেয়ে সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ
হাঁসের মাংস- ১ কেজি
আলু- ৩টি
তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি- ২টি করে
গোটা গোলমরিচ- ১ চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা- ৩ চা চামচ
রসুন থেঁতো করা- ৪ কোঁয়া
রসুন বাটা- ২ চা চামচ
আদা বাটা- ২ চা চামচ
জিরা বাটা- ১ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া- ১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া- ২ চা চামচ
লালমরিচ গুঁড়ো- ২ চা চামচ
কাঁচামরিচ বাটা- ১ চা চামচ
টকদই- ১ কাপ
লবণ- স্বাদ অনুযায়ী
কাজুবাদাম পেস্ট- ২ চা চামচ
টমেটো পিউরি- ২ চা চামচ
জায়ফল ও জয়িত্রী গুঁড়ো- সামান্য
শুকনো খোলায় টেলে নেয়া জিরা গুঁড়ো- ১ চা চামচ
তেল- ১/২ কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
১. প্রথমে হাঁসের মাংস ধুয়ে নিয়ে কাঁচামরিচ বাটা, টকদই ও লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য।
২. এবার একটি বড় প্যানে তেল গরম করে তাতে গোটা গোলমরিচ, তেজপাতা, এলাচ ও দারচিনি ফোঁড়ন দিয়ে থেঁতো করা রসুন ও পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিন।
৩. তারপর একে একে রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। সামান্য পানি দিতে হবে, যাতে মসলা না পুড়ে যায়।
৪. মসলা কষানো হলে তাতে ধনিয়া গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, লালমরিচ গুঁড়ো ও লবণ দিতে হবে।
৫. এরপর মেরিনেট করে রাখা হাঁসের মাংস ও টুকরো করে রাখা আলু দিয়ে দিন। মাঝারী আঁচে মাংস ও আলু মসলাগুলোর সাথে খুব ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
৬. এবার টমেটো পিউরি, কাজুবাদাম পেস্ট আর বাকি টকদইটুকু দিয়ে নেড়ে নিন।
৭. মাংস ও আলু সেদ্ধ হওয়ার জন্য পরিমাণমতো পানি দিন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ২০ মিনিট মাঝারী তাপে রান্না করুন।
৮. ঝোল একটু ঘন হয়ে গেলে জায়ফল-জয়িত্রী গুঁড়ো ও শুকনো খোলায় টেলে নেয়া জিরা গুঁড়ো দিয়ে দিতে হবে।
৯. ব্যস, ৫ মিনিট দমে রাখলেই রান্না শেষ! অনেকেই বলেন, হাঁসের মাংস সেদ্ধ হতে একটু সময় লাগে। কিন্তু কোরমার এই রেসিপিতে টকদই ব্যবহার করা হয়। আর এতেই মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে।
দেখলেন তো, স্পেশাল মেন্যু হলেও হাঁসের কোরমা রান্না করা কিন্তু কঠিন না! খুব সহজেই বাসায় মজাদার এই আইটেমটি রান্না করতে পারেন। পোলাও, খিচুড়ি কিংবা নানের সাথে দারুণ মানিয়ে যাবে হাঁসের মাংসের ঝাল কোরমা।
জেএইচ
-
বাংলাদেশ4 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
-
আন্তর্জাতিক4 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
-
বলিউড3 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
-
আইন-বিচার6 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
-
বাংলাদেশ2 days ago
রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের ছাগলকাণ্ড নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বক্তব্য
-
বাংলাদেশ7 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
-
আন্তর্জাতিক7 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
-
অপরাধ3 days ago
পার্কিংয়ে স্বামীর রক্তাক্ত মরদেহ, শোয়ার ঘরে স্ত্রীর