Connect with us

বিনোদন

চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে কণ্ঠ নকলের অভিযোগ, আইনি পদক্ষেপ নিলেন স্কারলেট

Published

on

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের কণ্ঠস্বর নকলের অভিযোগ উঠেছে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে। যার ফলে বিতর্কিত সেই কণ্ঠটি চ্যাটবট থেকে সরিয়ে ফেলেছে ওপেনএআই।

বিষয়’টি নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন জোহানসন। কণ্ঠস্বরটি ‘স্কাই’ নামে পরিচিত, যা ব্যবহারকারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ দিত চ্যাটজিপিটি’কে। চ্যাটবটটির নতুন এআই টুলের মধ্যে থাকা বেশ কিছু ভয়েস অপশনের একটি ছিল এটি।

তবে জোহানসনের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে স্কাইয়ের কণ্ঠের মিল থাকায় সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সমালোচনা ও বিদ্রুপের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি। এটি নিয়ে সমালোচনা এতোটাই হয়েছে যে, ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এ বিষয়টি নিয়ে উপহাস করতে দেখা যায় অভিনেত্রীর স্বামী কলিন জস্টকেও।

অনেকের দাবি- এ কণ্ঠস্বরটির যোগসূত্র থাকতে পারে জোহানসনের অভিনীত ‘হার’ সিনেমার চরিত্রের সঙ্গে। এতে তিনি এমন এক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন, যার প্রেমে পড়ে যায় এক পুরুষ। এমন কি এর আগে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানও বলেছিলেন, এটি তার সবচেয়ে পছন্দের সিনেমা।

তবে অভিনেত্রী দাবি করেছেন, এর আগে চ্যাটবটের সিস্টেমে তার কণ্ঠস্বর ব্যবহারের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন অল্টম্যান। এই অভিনেত্রী জানান, ‘গেল বছরের সেপ্টেম্বরে, আমি স্যাম অল্টম্যানের কাছ থেকে একটি অফার পাই, যিনি ‘চ্যাটজিপিটি ৪.০’তে আমার কণ্ঠস্বর ভাড়া করতে চেয়েছিলেন।’

Advertisement

জোহানসন  আরও বলেন, ‘তিনি আমাকে বলেন, তার মনে হয়েছে, আমার কণ্ঠস্বর এ সিস্টেমে ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি ও সৃজনশীল ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে। তার মনে হয়েছে, আমার কণ্ঠস্বর লোকজনের কাছে আরামদায়ক অনুভূত হতে পারে।’

তিনি জানান, ‘কিন্তু আমাদের মধ্যে সংযোগ ঘটার আগেই সিস্টেমটি বের হয়ে গেছে। তাদের এমন পদক্ষেপের বিপরীতে আমি আইনি পরামর্শক ভাড়া করতে বাধ্য হয়েছি, যিনি অল্টম্যান ও ওপেনএআইকে দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এর পরপরই স্কাইয়ের কণ্ঠ সরিয়ে ফেলতে একপ্রকার বাধ্য হয় ওপেনএআই।’

এদিকে, স্কাইয়ের কণ্ঠ যে স্কারলেট জোহানসনের আদলে তৈরি, সেই অভিযোগ ক্রমাগতই নাকচ করে আসছে ওপেনএআই। এমনকি কণ্ঠস্বরটি সরিয়ে ফেলার ঘোষণা দেওয়ার সময়ও নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে মাইক্রোসফট সমর্থিত এআই স্টার্টআপ কোম্পানিটি।

এসআই/

Advertisement

বিনোদন

সংগীতজীবনে ছয় দশক পার করলেন নাচের সেই মেয়েটি

Published

on

গান রেকর্ডিংয়ের হিসাবে সংগীত জীবনের ৬০ বছর পার করলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী রুনা লায়লা। তবে তাঁর শুরুটা হয়েছিল নাচ দিয়ে। ছোট্ট রুনা লায়লার লম্বা সময় কেটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। বাবা এমদাদ আলী ছিলেন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। সেখানে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে মেয়েকে নাচ শেখার জন্য ভর্তি করেন মা আমিনা লায়লা। এই প্রতিষ্ঠানে চার বছর নাচ শিখেছেন রুনা। শিক্ষক ছিলেন আফরোজা বুলবুল। রুনা তাঁর কাছ থেকে শিখেছেন কত্থক আর ভরতনাট্যম।

রুনা লায়লা এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ‘এখন আর সেসব মনে নেই। তবে মঞ্চে যখন গান করি, নিজের অজান্তেই তখন নাচের কিছু মুদ্রা চলে আসে।’

১৯৬৪ সালের এই দিনে(২৪ জুন) ‘জুগনু’ সিনেমার গানে প্রথম কণ্ঠ দেন। ওই সময় ‘গুড়িয়া সি মুন্নি মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ উর্দু ভাষার গানটিতে অনিন্দ্য কণ্ঠ আর অনবদ্য গায়কি দিয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন ১২ বছর বয়সী রুনা লায়লা। গানটির কথা লিখেছিলেন তিসনা মেরুতি, আর সুর করেছিলেন মানজুর।  প্রথম গানেই বাজিমাত করেন সংগীতপ্রেমিদের।

দুই বছর পর উর্দু ভাষার হাম দোনো চলচ্চিত্রে “উনকি নাজরোঁ সে মোহাব্বত কা জো পয়গম মিলা” গান দিয়ে সংগীতাঙ্গনে আলোচনায় আসেন। আর গানের ভুবনে শুরু হয় তার দুর্বার পথচলা। দীর্ঘ সংগীত জীবনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই শিল্পী ১৮টি ভাষায় ১০ হাজারের বেশি  গান গেয়েছেন।

১৯৭৪ সালে তিনি কলকাতায় “সাধের লাউ” (সিলেটি গান) এর রেকর্ড করেন।  একই বছর মুম্বাইয়ে তিনি প্রথমবারের মত কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এসময়ে দিল্লিতে পরিচালক জয়দেবের সাথে পরিচয় হয়, যিনি তাকে বলিউড চলচ্চিত্রে এবং দূরদর্শনের উদ্বোধনী আয়োজনে গান পরিবেশনের সুযোগ করে দেন। `এক সে বাড়কার এক’ চলচ্চিত্রের শীর্ষ গানের মাধ্যমে তিনি সংগীত পরিচালক কল্যাণজি-আনন্দজির সাথে প্রথম কাজ করেন। এই গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি “ও মেরা বাবু চেল চাবিলা” ও “দামা দম মাস্ত কালান্দার” গান দিয়ে ভারত জুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। হিন্দি চলচ্চিত্রসহ বাংলা গানের গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পী লাহিড়ীর সঙ্গে প্লেব্যাক করেছেন বাংলা ও হিন্দি সিনেমায়।

Advertisement

সংগীত জীবনে দীর্ঘ ছয় দশক পার করার জন্য রুনা লায়লাকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন তার ভক্ত থেকে শুরু করে শোবিজ অঙ্গনের সবাই।  ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গায়িকার ভাই, মেয়ে ও স্বজনরাও।  সংগীত জীবনে ৬০ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে রুনা লায়লা বলেন, ‘আপনাদের দোয়া, আশীর্বাদ ও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আজ আমাকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। এই ভালোবাসা, আশীর্বাদ ও শ্রদ্ধা যেন চিরকাল থাকে আমার সাথে।’

রুনা লায়লার স্বামী ও ঢাকাই চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান অভিনেতা আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘রুনা কাজের ব্যাপারে ভীষণ সিরিয়াস। ৬০ বছর টিকে থাকা এরকম সিরিয়াস না হলে, এরকম প্র্যাকটিস না করলে কোনো দিন সম্ভব নয়। ’

আলমগীরের কন্যা  আঁখি আলমগীর গণমাধ্যমে বলেছেন,‘আমরা অনেক গর্বিত যে আমাদের একজন রুনা লায়লা আছেন। ‘

ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারতীয় জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সনু নিগাম বলেন, ‘আপনি এত ভালো কলাকার, আপনি এত সুন্দর, আপনার ব্যবহার এত ভালো। আপনার সাথে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। যখন থেকে আমার চোখ খুলেছে, তখন থেকে আপনাকে শুনছি। আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা। পৃথিবী আপনাকে ভালোবাসে, আমি আপনাকে ভালোবাসি।’

পাকিস্তানের অভিনেতা ইমরান আব্বাসও রুনা লায়লাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডলে বলেছেন, ‘আপনি বাকি জীবন গাইতে থাকুন, পৃথিবীকে সমৃদ্ধ করুন। পাকিস্তান থেকে ভালোবাসা জানাই।’

Advertisement

একসময়ে পাকিস্তানের উর্দু সিনেমার জনপ্রিয় প্লেব্যাক সিংগার ছিলেন শিল্পী রুনা লায়লা। বহু সিনেমায় করেছেন প্লেব্যাক। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-‘হাম দোনো’, ‘দিল আউর দুনিয়া’, ‘কমান্ডার’, ‘উমরাও জান আদা’, ‘আন্দালিব’, ‘নসীব আপনা আপনা’, ‘দিল আউর দুনিয়া’, ‘আনমোল’, ‘নাদান’, ‘রিশতা হ্যায় পেয়ার কা’,  ‘দিলরুবা’সহ বেশকিছু সিনেমা।

১৯৭০ সালের ২৯ মে মুক্তি পাওয়া নজরুল ইসলাম পরিচালিত সিনেমা ‘স্বরলিপি’তে প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা।  এটি তার প্রথম বাংলাদেশি সিনেমায় প্লেব্যাক করা।  এই সিনেমার ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’ গানটি  দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।  প্রথম প্লেব্যাক করেই ব্যাপক সাড়া ফেলেন। তখন থেকে উর্দুর পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্রের গানে রুনা লায়লার কণ্ঠের কদর বেড়ে যায়।

১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে এসে রুনা লায়লা একে একে ‘জীবন সাথী’, ‘টাকার খেলা’, ‘কাজল রেখা’, ‘সারেন্ডার’, ‘বিক্ষোভ’, ‘প্রিয়া তুমি সুখী হও’, ‘হারানো সুর’, ‘দাঙ্গা’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ ‘পাঙ্কু জামাই’, ‘দুই দুয়ারী’সহ বহু সিনেমায় গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন।

সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৭৭ সালে রুনা লায়লা স্বাধীনতা পদক পান।  এছাড়া, ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার-দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এবং পাকিস্তানের নিগার পুরষ্কারও পান উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

আপত্তিকর স্পর্শ, কুপ্রস্তাব; মুখ খুললেন ঈশা কোপিকার

Published

on

বলিউড অভিনেত্রী ঈশা কোপিকার। ফাইল ফুটেজ

বেশ কয়েকমাস নিরব থাকলেও আবারও যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় বলিউড পাড়া। এবার নিজের যৌন নিগ্রহের ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ঈশা কোপিকার।

চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আসা নবাগত অভিনেত্রীদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের হাতে কর্মক্ষেত্রে বা অন্য যেকোন জায়গায় যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঘটনা অনেকের জীবনে ঘটেছে। বছরের পর বছর চেপে রাখা ওই ঘটনা এক সময় প্রকাশ পায়। এই প্রকাশ পাওয়াটাই বিশ্বজুড়ে পরিচিত মি টু আন্দোলন।

হলিউড-বলিউডের  বেশ কয়েকজন প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নামজাদা শিল্পী এমন অনেকের বিরুদ্ধে উঠে আসে যৌন নিগ্রহের ঘটনা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে  বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত  অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন অসদচারণের অভিযোগ তোলেন। পরিচালক বিকাশ বলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন বলিউড  অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।

তনুশ্রী ও কঙ্গনার প্রতিবাদের আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে।  বেশ কয়েক বছর বলিউড পাড়া নিরব থাকলেও এবার বোমা ফাটালেন ইশা কোপিকার। ঈশার অভিনয় ক্যারিয়ারের যাত্রা খুব একটা মসৃণ ছিল না। নানারকম প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। অভিনেতারা যেমন কুপ্রস্তাব দিয়েছেন, তেমনি অনেক পরিচালকরাও আপত্তিকরভাবে তার শরীর স্পর্শ করেছেন বলে অভিযোগ তার।

সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সমালোচকও টেলিভিশন উপস্থাপক সিদ্ধার্থ কানানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ঈশাকোপিকার। ঈশা কোপিকার বলেন, “আপনি ‘মি টু’র বিষয়টি শুনেছেন? যদি এর মূল্যটা বুঝেন, তবে এটি খুবই কঠিন ছিল। আমার সময়ের অনেক অভিনেত্রী ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছেন। খুব কম মেয়ে রয়েছেন, যারা হাল ছাড়েননি। হাল না ছাড়ার তালিকা খুবই ছোট। তবে তাদের মধ্যে আমি একজন।’

Advertisement

মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন এই অভিনেত্রী। এসময়ই কুপ্রস্তাব পেয়েছিলেন ঈশা। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন একজন অভিনেতার ব্যক্তিগত সহকারী ও একজন অভিনেতা আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, যদি কাজ করতে চাও তবে অভিনেতাদের সঙ্গে ‘ফ্রেন্ডলি’ হতে হবে। আমি খুবই ‘ফ্রেন্ডলি’ মানুষ। কিন্তু তারা ‘ফ্রেন্ডলি’ দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন?’

একটি ঘটনা বর্ণনা করে ঈশা বলেন, ‘আমার বয়স যখন ২৩ বছর, তখন একজন অভিনেতা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কি একা আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে? ড্রাইভার বা অন্য কাউকে সঙ্গে আনতে পারবে না। কারণ আমাকে নিয়ে এমনিতেই অনেক গুঞ্জন উড়ছে। অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে।’ কিন্তু এই প্রস্তাব আমি প্রত্যাখান করি। তাকে বলি, আমি একা আসতে পারব না।

অভিনেতার ব্যক্তিগত সহকারী ও পরিচালকরা আপত্তিকরভাবে ঈশার শরীর স্পর্শ করতেন। এ তথ্য উল্লেখ করে ঈশা বলেন, “তারা কেবল আপত্তিকরভাবে স্পর্শই করতেন না, বরং হাত চেপে ধরে বলতেন, ‘নায়কদের সঙ্গে ‘ফ্রেন্ডলি’ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।’

মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন ঈশা। ১৯৯৭ সালে তেলেগু সিনেমা ‘ডাব্লিউ বাই ভি. ভারা প্রসাদ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপরের বছরই দেখা যায় হিন্দি ভাষার ‘এক থা দিল, এক থি ধড়কন’ সিনেমায়।

২০০২ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘কোম্পানি’ সিনেমার আইটেম গান ‘খাল্লাস’ দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। সেটা আরো ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি আইটেম নাম্বার ‘ইশক সমন্দর’-এর পর। ঈশা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘আয়ালান’। তেলেগু ভাষার এ সিনেমা চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায়।

Advertisement

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢালিউড

মেহজাবীন আমার জীবনে বেস্ট পার্ট : আদনান আল রাজীব!

Published

on

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আদনান আল রাজীব। দীর্ঘদিন ধরে ছোটপর্দায় নির্মাণের মুন্সিয়ানা দেখিয়ে আসছেন। এবার বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। তার সঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর সম্পর্কের গুঞ্জন আরও আগে থেকেই চর্চিত। সম্প্রতি মেহজাবীনকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেছেন রাজীব।

আদনান আল রাজীবের হাত ধরেই সিনেমায় নায়িকা হিসেবে পা রাখতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। সিনেমা নির্মাণের বিষয়ে রাজীব বলেন, ‘সিনেমা বানানোর স্বপ্ন প্রতিটি নির্মাতারই থাকে। আমারও আছে। সিনেমা মানে অবশ্যই একটি বড় ব্যাপার। সামনে বড় সুখবর অপেক্ষা করছে।’

বন্ধু হিসেবে মেহজাবীন কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে রাজীব বলেন, ‘সে আমার জীবনে বেস্ট পার্ট। ওকে আমি যত জানতে থাকি আমার মনে হয় ওর থেকে ভালো পরিচয় আর কারও সাথে হতে পারতো না। সে খুবই সাপোর্টিভ একজন মানুষ।’

মেহজাবীনকে জীবন সঙ্গী হিসেবে পেলে কেমন হবে? এর উত্তরে মুচকি হেসে রাজীব জানালেন, ‘জীবনে এলে আরতো কিছু বলারই নেই। তবে না আসলে মনে হবে আসলেওতো পারতো!’

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেহজাবীনের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, সে একজন ভালো আর্টিস্ট তার প্রতি সবারই কৌতুহল রয়েছে। আর পরিবারের সবাই খুব পছন্দ করে। সে কারও আগেপিছে নাই। খুবই সোজাসাপ্টা কথা বলে।’

Advertisement

প্রেমের বিষয়ে রাজীব বলেন, তিনি প্রেম করছেন। কিন্তু বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে সবাইকে জানিয়েই সবকিছু করবেন। তবে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে সবার সামনে কথা বলতে তিনি একেবারেই কমফোর্ট নয় বলেও জানিয়েছেন।

আদনান আল রাজীব একজন পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি বেশিরভাগ টেলিভিশন বিজ্ঞাপন পরিচালনার জন্য পরিচিত। কিছু আলোচিত টেলিভিশন নাটকও করেছেন। করেছেন ওটিটিসহ সিনেমার কাজ। অন্যদিকে মেহজাবীন চৌধুরী একজন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে আসেন। বর্তমানে তিনি বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন ও নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন। তাছাড়া বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version