Connect with us

বলিউড

কঠিন রোগে আক্রান্ত আলকা ইয়াগনিক, সবার কাছে প্রার্থনার অনুরোধ

Published

on

হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা আলকা ইয়াগনিক। সংগৃহীত ছবি

ভারতের কিংবদন্তী প্লেব্যাক গায়িকা আলকা ইয়াগনিক বিরল এক রোগে আক্রন্ত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় এই প্লেব্যাক সিংগার। একারণে বিগত কয়েকদিন ধরে তিনি নিজেকে আড়ালে রেখেছেন।

সোমবার (১৭ জুন) অলকা নিজের একটি ছবি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে জানিয়েছেন,একটি বিরল স্নায়ুর সমস্যায় তিনি ভুগছেন। যার ফলে হ্রাস পেয়েছে তাঁর শ্রবণ ক্ষমতা। তিনি দ্রুত সেরে ওঠার জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।

ইনস্টাগ্রামের ওই পোস্টে অলকা ইয়াগনিক লিখেছেন,  ‘আমার সমস্ত ভক্ত, বন্ধু, অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। অনেকদিন ধরেই আমি মিডিয়া থেকে আড়ালে আছি। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে আমার ভক্ত, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আমি জানাচ্ছি। কিছুদিন আগে, আমি একটি ফ্লাইট থেকে নামছিলাম, হঠাৎ অনুভব করলাম, আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। এরপর কয়েক সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। তাই সবাইকে জানাতে চাই কেন মিডিয়া থেকে দূরে আছি আমি।এর কারণ হচ্ছে আমি বিরল এক রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করছি। এটি একটি বিরল সংবেদনশীল স্নায়ুর সমস্যা। যার কারণে শ্রবণশক্তি কমছে। এই আকস্মিক, বড় ধাক্কা আমার অজান্তেই শরীরে গ্রাস করেছে। সবাই আমার জন্য প্রার্থনা করবেন। আমি যেন আবারও সুস্থ হয়ে উঠি।’

অলকা তাঁর এই পোস্টে জোরে মিউজিক শোনা ও হেডফোনে খুব উচ্চ আওয়াজ রাখা থেকেও বিরত করেন নিজের অনুরাগীদের। লিখেছেন ‘আমার অনুরাগী এবং তরুণ সহকর্মীদের জন্য, আমি খুব জোরে মিউজিক এবং হেডফোনের সংস্পর্শে আসার বিষয়ে সতর্কতামূলক শব্দ যোগ করব। আমি আমার পেশাগত জীবনের স্বাস্থ্যগত বিপদগুলি শেয়ার করতে চাই। আপনাদের সকলের ভালোবাসা এবং সমর্থন দিয়ে আমি পুনরুদ্ধার করার আশা করছি। আমার বিশ্বাস, শীঘ্রই আপনাদের কাছে ফিরে আসব।’

অলকা ইয়াগনিকের এই পোস্ট হতবাক করেছে তাঁর অনুগামীদের। ইলা অরুণ নামে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘এটা শুনে খুব কষ্ট পেলাম। প্রিয়তম অলকা আমি তোমার ছবি দেখেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। তারপর আমি যা পড়লাম, এটি হৃদয়বিদারক। তবে আজকের সেরা ডাক্তারদের উপর ভরসা রাখো। তুমি ভালো থাকবে এবং শীঘ্রই আমরা তোমার মিষ্টি কন্ঠ শুনতে পাব। ভালোবাসা। সবসময় নিজের যত্ন নিও।

Advertisement

জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সোনু নিগম লিখেছেন, ‘আমার মনেই হয়েছিল সব ঠিক নেই। ফিরেই তোমার সঙ্গে দেখা করব। দ্রুত সেরে ওঠো।’

প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সে তিনি আকাশবাণী (অল ইন্ডিয়া রেডিও) কলকাতাতে গানের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পায়েল  কিং ঝংকার’ হিন্দি চলচ্চিত্র প্রথম প্লেবাক করেন।  পরের বছর লাওয়ারিস সিনেমায় “মেরে আঙ্গনে মেঁ” গানে কণ্ঠ দেন। তিনি এই গানের জন্য তার প্রথম শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

তার প্রথম আলোচিত সাফল্য আসে ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া হিন্দি চলচ্চিত্র তেজাবে ‘এক দু তিন’ গানের মধ্য দিয়ে। এই গানের জন্য তিনি তার প্রথম শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

১৯৯১ সালে তিনি নাদিম-শ্রাবণের সুরে সাজন চলচ্চিত্রে “তু শায়র হ্যায়”, এস. পি. বালসুব্রহ্মণ্যমের সাথে “দেখা হ্যায় পহেলি বার” ও কুমার সানুর সাথে “মেরা দিল ভি কিতনা” গানগুলো সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার সব গানই সুপার ডুপার সাফল্য এনে দেয়।

অলকা ইয়াগনিক চার দশকের কর্মজীবনে এক হাজারের বেশি ভারতীয় চলচ্চিত্রে এবং হিন্দি ছাড়াও অসমীয়া, বাংলা, গুজরাতি, মালয়ালম, মারাঠি, মণিপুরি, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, ভোজপুরি, তামিল ও তেলুগু, কন্নড়সহ বিভিন্ন ভাষায় প্রায় বিশ হাজারের  বেশি গান রেকর্ড করেছেন।

Advertisement

তার গাওয়া ২০টি গান বিবিসির সর্বকালের শীর্ষ ৪০ বলিউড সাউন্ডট্র্যাক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি অবধি তিনি ইউটিউবের মিউজিক চার্টস অ্যান্ড ইনসাইটসের শীর্ষ বৈশ্বিক শিল্পী তালিকায় শীর্ষ স্থানে অবস্থান করেন। তিনি ৩৭ কোটি ১০ লাখ ভিউ নিয়ে এই চার্টে ৩৩১ সপ্তাহ শীর্ষে ছিলেন।

এছাড়া, অলকা ইয়াগনিক ২০২২ সালে ১৫.৩ বিলিয়ন বা এক হাজার ৫৩০ কোটি ইউটিউব ভিউ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্ট্রিম হওয়া শিল্পী হিসেবে গিনেস বুক অব রেকর্ডে স্থান পান। ওইসময়  গিনেজ বুক অব রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানায়, কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী অলকা ইয়াগনিক ২০২১ সালে ১৭ বিলিয়ন বা ১৭০০ কোটি এবং ২০২০ সালে ১৬.৬ বিলিয়ন বা ১৬৬০ কোটি স্ট্রিমিং নিয়ে গত তিন বছর ধরে এই প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী হিসেবে স্থান ধরে রেখেছেন।

এমআর//

বলিউড

সাইফের যে বিষয়টি সবচেয়ে আকর্ষণ করেছিল কারিনাকে

Published

on

বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলি খানের বিয়ের ১২ বছর পার হয়ে গেছে। তবে বিয়ের বেশ কিছুটা আগেই শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেমকাহিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কারিনা জানিয়েছেন, সাইফের কোন বিষয় তাঁকে প্রথম আকর্ষণ করেছিল।

২০০৪-এ অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সাইফের। তারপরের বছর অর্থাৎ ২০০৫-এ কারিনার সঙ্গে প্রথম ফটোশুট করেন সাইফ। সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেন, ‘ওঁর (সাইফ) সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার পরেই মনে হয়েছিল, এত সুদর্শন পুরুষ আমি আগে দেখিনি। ওঁর চোখের মধ্যে অদ্ভুত এক ঝলক ছিল। খুব হাসিখুশি লেগেছিল দেখে। সবচেয়ে বড় কথা, ওর চোখ দুটো দেখে ওকে খুব দয়ালু মনে হয়েছিল। মহিলারা এই বিষয়টিই সবচেয়ে পছন্দ করেন। ওর মধ্যে কোনও ভণিতা দেখিনি। এটাই আমার প্রথম সাক্ষাতে খুব ভাল লেগেছিল।’

‘তাশান’, ‘ওমকারা’, ‘কুরবান’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন কারিনা ও সাইফ। ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারকা জুটি। তবে এখনও প্রতিনিয়ত সাইফকে নাকি নতুনভাবে আবিষ্কার করেন কারিনা।

কারিনা অন্য একটি সাক্ষাৎকারে সাইফ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘মানুষ তখনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, যখন তারা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবে। না হলে তো একসঙ্গে থাকলেই হয়! বিয়ের আগে আমি আর সাইফ পাঁচ বছর একত্রে ছিলাম। এরপর আমরা যখন সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবি, তখন বিয়ে করি।’

এই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান তৈমুর ও জেহ্‌। প্রায়ই সুখী সংসারের নানা মুহূর্ত সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন কারিনা।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

‘জাতীয় ক্রাশ’র তকমা নিয়ে যা বললেন তৃপ্তি দিমরি

Published

on

‘বুলবুল’, ‘অ্যানিম্যাল’র মতো সিনেমায় অভিনয় করার সুবাদে ভারতের ‘জাতীয় ক্রাশ’ এর তকমা পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। অভিনয়ের পাশাপাশি তার সৌন্দর্যেও মুগ্ধ নেটিজেনরা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘জাতীয় ক্রাশ’ তকমা পাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। তৃপ্তি জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। আবার গেল কয়েক বছরেও তার ঝুলিতে রয়েছে মনে রাখার মতো কিছু চরিত্র।

অভিনেত্রী বলেন, ‘যে সিনেমাই হোক, আমি মানুষের থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষ আমার কাজ ভালোবেসেছে এবং তা নিয়ে কথাও বলেছেন।’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তৃপ্তি চাইতেন তার কাজ নিয়ে দর্শক আলোচনা করুক। তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে, যখনই আমার কোনও সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, মানুষ সেটি নিয়ে কথা বলেছেন। অভিনেতা হিসাবে এই বিষয়টি আমাদের উৎসাহ দেয়। এর জন্য আমাদের মধ্যে আরও ভালো কাজ করার তাগিদ তৈরি হয়।’ জানান, ‘জাতীয় ক্রাশ’ তকমা পেয়েও নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করেন তিনি।

‘লায়লা মজনু’, ‘কালা’ সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছিলেন তৃপ্তি। তবে ‘অ্যানিম্যাল’-এ অভিনয় করার পর থেকে তিনি নতুন করে চর্চায় উঠে আসেন। যদিও তৃপ্তি মনে করেন, ‘অ্যানিম্যাল’-এ রণবীরের সঙ্গে শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করার থেকে তার কাছে ‘বুলবুল’ সিনেমায় অভিনয় করা তুলনামূলক কঠিন ছিল।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

মাঠে বসেই ভিডিও কলে হার্দিক পান্ডিয়া, ফোনের ওপারে নাতাশা!

Published

on

মাসখানেক ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং তাঁর স্ত্রী নাতাসা স্ট্যানকোভিচের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে। আইপিএলের সময় সেই জল্পনায় আরও ঘৃতাহূতি দেয় মডেল-অভিনেত্রীর স্ত্রীর নিস্তব্ধতা! ঐ সময়ে সোশাল মিডিয়া থেকে হার্দিকের সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন নাতাশা। এমন কী পাণ্ডিয়া পদবীও সরিয়ে নেন নামের পাশ থেকে! গ্যালারিতেও তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে কানাঘুষো হয়েছে। তখন থেকেই দুই তারকার বিয়ে ভাঙার খবর একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে। গত ৬ মাসে বহু ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টের সাক্ষী থেকেছে নাতাশার ইনস্টাগ্রাম। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে অনেকেই জল্পনায় সিলমোহর বসিয়ে দেন। সত্যিই হয়তো হার্দিক-নাতাশার বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। তবে শনিবার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ক্যামেরাবন্দি এক মুহূর্তই যেন সব হিসেব বদলে দিল।

জয়ের আবেগঘন মুহূর্তে সতীর্থদের জড়িয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও তাঁকে বুকে টেনে নেন। বিগত কয়েক মাস ধরে কম কথা শুনতে হয়নি পাণ্ডিয়াকে। একদিকে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেছে নিরন্তর, অন্যদিকে ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে নানা জল্পনা। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো কাজ করেছে নাতাশার সঙ্গে ডিভোর্সের নানা খবর। তখনও কিচ্ছুটি বলেননি হার্দিক। তবে শনিবার তাঁর চোখের জলই চুপ করিয়ে দিল নিন্দুকদের। সেই অশ্রুসজল চোখে মাঠে বসেই ভিডিও কল করতে দেখা যায় ক্রিকেট তারকাকে। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত বর্তমানে নেটপাড়ায় চর্চার শিরোনামে। একটাই প্রশ্ন সকলের- ফোনের ওপারে কি নাতাশা? মনোমালিন্য তাহলে মিটল?

ফোনের ওপারে সত্যিই নাতাশা স্ট্যানকোভিচ ছিলেন কিনা, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে জানা গেছে, এই জয়ের মুহূর্ত হার্দিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন। তাই ফোনের অপরপ্রান্তে মা না স্ত্রী, কার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি? সেটা জানা যায়নি। তবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার এমন সাফল্যের পরও মডেল-অভিনেত্রী স্ত্রীয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। নাতাশা এখনও নিশ্চুপ! বরং জিমে নাচ করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনও ইঙ্গিতপূর্ণ, ‘তুমি আমার সূর্য।’ যদিও সেখানে পাণ্ডিয়ার কোনও উল্লেখ নেই। পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে যে, স্বামীকে ফর্মে ফেরাতেই নাকি নাতাশা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নিজেকে খানিকটা সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা, সেটা এখনও দ্বন্দ্ব রয়েছে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version