Connect with us

বলিউড

রেশন দুর্নীতি: ইডির দপ্তরে ঋতুপর্ণা, বেরোলেন পাঁচ ঘণ্টা পর

Published

on

ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা। ফাইল ছবি

‘রেশন দুর্নীতি’ মামলায় তদন্তের জন্য টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছিলো এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি), কলকাতা দপ্তর। ইডি দপ্তরের ডাকে সাড়া দিয়ে বুধবার কলকাতার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দপ্তরে এসে হাজির হন। দুপুর ১টা নাগাদ সিজিওর সামনে এসে পৌঁছায় তাঁর গাড়ি। টানা পাঁচ ঘণ্টা পর কলকাতায় ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন ওপার বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী দাবি করেন, ‘রেশন দুর্নীতি’র সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তবে তাঁর কাছে যা নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল, তা তিনি তদন্তকারীদের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যম  আনন্দবাজার এর প্রতিবেদনে বলা হয়, রেশন দুর্নীতি মামলায় ঋতুপর্ণাকে তলব করায় বুধবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে তদন্তকারী সংস্থার দফতরে নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে যান অভিনেত্রী। এর প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিটে তিনি সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে আসেন। গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘আমার সহযোগিতায় তদন্তকারীরা খুশি। এই দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁরাও (তদন্তকারীরা) সহযোগিতা করেছেন, আমিও সহযোগিতা করেছি।’’

ঋতুপর্ণার আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে কিছু হয়নি। তলবের নথিতেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম ছিল না। সিনেমা প্রযোজনার জন্য কিছু লেনদেন হয়েছিল। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়ে গিয়েছে।’

ইডি’র এক কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক অভিযুক্তের সঙ্গে ঋতুপর্ণার আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারীরা হাতে পেয়েছেন।  যদিও ইডি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। ইডির ওই সূত্র  আরও জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে প্রায় কোটি রুপির আর্থিক লেনদেন হয়েছে একটি সংস্থার। আর ওই সংস্থাটির  প্রোপ্রাইটর হিসাবে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাম রয়েছে।  ওই লেনদেন সম্পর্কে জানতেই ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিলো ইডি।

বুধবার ইডি দপ্তরে আসার অনেক আগেই তাঁর হিসাবরক্ষক কাগজপত্র নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিজিওতে। তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি, অর্থাৎ হিসাবরক্ষকই দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন। তার পরেই ইডি দফতরে যান ঋতুপর্ণা।

Advertisement

এর আগে গত ৫ জুন রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডির দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়েছিল। তবে ওইদিন  সিজিওতে হাজিরা দেননি ঋতুপর্ণা।  বিদেশে অবস্থান করার কারণে ওই সময় ইডি দফতরে যেতে পারেননি অভিনেত্রী। এ কথা তিনি ইডি আধিকারিকদের ইমেল করে জানিয়েও ছিলেন। ইডির তলব নিয়ে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, ‘রেশন দুর্নীতি কী, সে সম্পর্কে আমার কোনও সম্যক ধারণা নেই। আচমকাই এই খবর পেলাম।’

এমআর//

বলিউড

সাইফের যে বিষয়টি সবচেয়ে আকর্ষণ করেছিল কারিনাকে

Published

on

বলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপল কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলি খানের বিয়ের ১২ বছর পার হয়ে গেছে। তবে বিয়ের বেশ কিছুটা আগেই শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেমকাহিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কারিনা জানিয়েছেন, সাইফের কোন বিষয় তাঁকে প্রথম আকর্ষণ করেছিল।

২০০৪-এ অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় সাইফের। তারপরের বছর অর্থাৎ ২০০৫-এ কারিনার সঙ্গে প্রথম ফটোশুট করেন সাইফ। সাক্ষাৎকারে কারিনা বলেন, ‘ওঁর (সাইফ) সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার পরেই মনে হয়েছিল, এত সুদর্শন পুরুষ আমি আগে দেখিনি। ওঁর চোখের মধ্যে অদ্ভুত এক ঝলক ছিল। খুব হাসিখুশি লেগেছিল দেখে। সবচেয়ে বড় কথা, ওর চোখ দুটো দেখে ওকে খুব দয়ালু মনে হয়েছিল। মহিলারা এই বিষয়টিই সবচেয়ে পছন্দ করেন। ওর মধ্যে কোনও ভণিতা দেখিনি। এটাই আমার প্রথম সাক্ষাতে খুব ভাল লেগেছিল।’

‘তাশান’, ‘ওমকারা’, ‘কুরবান’-এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেন কারিনা ও সাইফ। ২০১২ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারকা জুটি। তবে এখনও প্রতিনিয়ত সাইফকে নাকি নতুনভাবে আবিষ্কার করেন কারিনা।

কারিনা অন্য একটি সাক্ষাৎকারে সাইফ সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘মানুষ তখনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, যখন তারা সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবে। না হলে তো একসঙ্গে থাকলেই হয়! বিয়ের আগে আমি আর সাইফ পাঁচ বছর একত্রে ছিলাম। এরপর আমরা যখন সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ভাবি, তখন বিয়ে করি।’

এই দম্পতির দুই পুত্র সন্তান তৈমুর ও জেহ্‌। প্রায়ই সুখী সংসারের নানা মুহূর্ত সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন কারিনা।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

‘জাতীয় ক্রাশ’র তকমা নিয়ে যা বললেন তৃপ্তি দিমরি

Published

on

‘বুলবুল’, ‘অ্যানিম্যাল’র মতো সিনেমায় অভিনয় করার সুবাদে ভারতের ‘জাতীয় ক্রাশ’ এর তকমা পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী তৃপ্তি দিমরি। অভিনয়ের পাশাপাশি তার সৌন্দর্যেও মুগ্ধ নেটিজেনরা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘জাতীয় ক্রাশ’ তকমা পাওয়ার বিষয়ে কথা বলেন এই অভিনেত্রী। তৃপ্তি জানান, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তিনি বেশ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। আবার গেল কয়েক বছরেও তার ঝুলিতে রয়েছে মনে রাখার মতো কিছু চরিত্র।

অভিনেত্রী বলেন, ‘যে সিনেমাই হোক, আমি মানুষের থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষ আমার কাজ ভালোবেসেছে এবং তা নিয়ে কথাও বলেছেন।’

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তৃপ্তি চাইতেন তার কাজ নিয়ে দর্শক আলোচনা করুক। তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে, যখনই আমার কোনও সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, মানুষ সেটি নিয়ে কথা বলেছেন। অভিনেতা হিসাবে এই বিষয়টি আমাদের উৎসাহ দেয়। এর জন্য আমাদের মধ্যে আরও ভালো কাজ করার তাগিদ তৈরি হয়।’ জানান, ‘জাতীয় ক্রাশ’ তকমা পেয়েও নিজেকে সৌভাগ্যবতী মনে করেন তিনি।

‘লায়লা মজনু’, ‘কালা’ সিনেমায় অভিনয় করেও প্রশংসা পেয়েছিলেন তৃপ্তি। তবে ‘অ্যানিম্যাল’-এ অভিনয় করার পর থেকে তিনি নতুন করে চর্চায় উঠে আসেন। যদিও তৃপ্তি মনে করেন, ‘অ্যানিম্যাল’-এ রণবীরের সঙ্গে শয্যাদৃশ্যে অভিনয় করার থেকে তার কাছে ‘বুলবুল’ সিনেমায় অভিনয় করা তুলনামূলক কঠিন ছিল।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বলিউড

মাঠে বসেই ভিডিও কলে হার্দিক পান্ডিয়া, ফোনের ওপারে নাতাশা!

Published

on

মাসখানেক ধরেই ভারতীয় ক্রিকেটার হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং তাঁর স্ত্রী নাতাসা স্ট্যানকোভিচের বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা তুঙ্গে। আইপিএলের সময় সেই জল্পনায় আরও ঘৃতাহূতি দেয় মডেল-অভিনেত্রীর স্ত্রীর নিস্তব্ধতা! ঐ সময়ে সোশাল মিডিয়া থেকে হার্দিকের সব ছবি মুছে দিয়েছিলেন নাতাশা। এমন কী পাণ্ডিয়া পদবীও সরিয়ে নেন নামের পাশ থেকে! গ্যালারিতেও তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে কানাঘুষো হয়েছে। তখন থেকেই দুই তারকার বিয়ে ভাঙার খবর একাধিকবার সংবাদের শিরোনামে এসেছে। গত ৬ মাসে বহু ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টের সাক্ষী থেকেছে নাতাশার ইনস্টাগ্রাম। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে অনেকেই জল্পনায় সিলমোহর বসিয়ে দেন। সত্যিই হয়তো হার্দিক-নাতাশার বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। তবে শনিবার টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে ক্যামেরাবন্দি এক মুহূর্তই যেন সব হিসেব বদলে দিল।

জয়ের আবেগঘন মুহূর্তে সতীর্থদের জড়িয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলতে দেখা যায় হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও তাঁকে বুকে টেনে নেন। বিগত কয়েক মাস ধরে কম কথা শুনতে হয়নি পাণ্ডিয়াকে। একদিকে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেছে নিরন্তর, অন্যদিকে ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে নানা জল্পনা। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো কাজ করেছে নাতাশার সঙ্গে ডিভোর্সের নানা খবর। তখনও কিচ্ছুটি বলেননি হার্দিক। তবে শনিবার তাঁর চোখের জলই চুপ করিয়ে দিল নিন্দুকদের। সেই অশ্রুসজল চোখে মাঠে বসেই ভিডিও কল করতে দেখা যায় ক্রিকেট তারকাকে। সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত বর্তমানে নেটপাড়ায় চর্চার শিরোনামে। একটাই প্রশ্ন সকলের- ফোনের ওপারে কি নাতাশা? মনোমালিন্য তাহলে মিটল?

ফোনের ওপারে সত্যিই নাতাশা স্ট্যানকোভিচ ছিলেন কিনা, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে জানা গেছে, এই জয়ের মুহূর্ত হার্দিক তাঁর পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন। তাই ফোনের অপরপ্রান্তে মা না স্ত্রী, কার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি? সেটা জানা যায়নি। তবে হার্দিক পাণ্ডিয়ার এমন সাফল্যের পরও মডেল-অভিনেত্রী স্ত্রীয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। নাতাশা এখনও নিশ্চুপ! বরং জিমে নাচ করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনও ইঙ্গিতপূর্ণ, ‘তুমি আমার সূর্য।’ যদিও সেখানে পাণ্ডিয়ার কোনও উল্লেখ নেই। পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে যে, স্বামীকে ফর্মে ফেরাতেই নাকি নাতাশা এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। নিজেকে খানিকটা সরিয়ে নিয়েছিলেন। তবে কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা, সেটা এখনও দ্বন্দ্ব রয়েছে।

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version