ক্রিকেট
ক্যারিবীয়দের উড়িয়ে দিয়ে সুপার এইটে দুর্দান্ত শুরু ইংল্যান্ডের
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই গুঁড়িয়ে সুপার এইটে দুর্দান্ত শুরু করল ইংল্যান্ড। সেই সঙ্গে বাকিদেরও যেন বার্তা দিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে ফিল সল্টের ৪৭ বলে ৮৭ রানের সঙ্গে জনি বেয়ারস্টোর ২৬ বলে ৪৮ রানের জুটিতে ১৫ বল বাকি রেখেই ম্যাচটি জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
শেষ পাঁচ ওভারে জয় পেতে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৪১ রান। অর্থাৎ জয় তখনই নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন ফিল সল্ট ও জনি বেয়ারস্টো। রোমারিও শেফার্ডের করা ১৬তম ওভারে তিনটি করে চার-ছক্কায় সল্ট নিলেন ৩২ রান। ফলে আর কোনো সন্দেহ রইল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৮০ রান সহজেই টপকে গেল গ্রুপ পর্ব পেরোনো নিয়ে শঙ্কায় থাকা ইংল্যান্ড। সবাইকে বার্তা দিয়ে জস বাটলারের দল জয় পেল ১৫ বল এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই।
উড়তে থাকা আফগানিস্তানকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রীতিমতো গুড়িয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একই মাঠে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফেবারিট তাদেরই ধরা হচ্ছিল। ধুকতে ধুকতে কোনোমতে সুপার এইটে পা রাখা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে মোটামুটি ভালো স্কোর সংগ্রহ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ফিল সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর ঝড়ের সামনে ক্যারিবীয়রা উড়ে গেছে খড়কুটোর মতো।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সেন্ট লুসিয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান সংগ্রহ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ফিল সল্ট-জনি বেয়ারস্টোর ৯৭ রানের জুটিতে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
ক্রিকেট
এগারো বছরের ট্রফি খরা ঘুচলো ভারতের
ভারত সবশেষ আইসিসি ট্রফি জেতে ২০১৩ সালে। একবার মাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে, সেটা ২০০৭ সালে। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো উপমহাদেশের এই দেশটি।
পুরো ম্যাচটি অনেকরকম পরিস্থিতির জন্ম দিল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে তা ফসকে যায়। ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের মারমুখী জুটি বলে দিচ্ছিল প্রোটিয়াদের ক্ষুধা। তবে মিলারকে একা করে ২৭ বলে ৫২ রানে যখন ক্লাসেন ফিরলেন, সেসময় আশার পালে যেন বিপরীত হাওয়া এসে লাগল।
সেই হাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি প্রথমবারের মতো আইসিসি ফাইনাল খেলা দলটির। তবুও মিলার ছিলেন। ম্যাচের শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার, তখন হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হলেন মিলার, ১৭ বলে ২১ রানে তার এই বিদায়েই উদযাপনের উপলক্ষ পেয়ে যায় ভারত। পুরো ওভারে একটি মাত্র বাউন্ডারি আসে, এছাড়াও আরও একটি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। এছাড়াও অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে ৩১ বলে ৪৬ রান, শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস ভারতকে অনেকটুকু এগিয়ে দেয়। প্রোটিয়াদের পক্ষে বল হাতে কেশব মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৭ রানের। দলটি দলীয় ১২ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের উইকেট হারায়। কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসের জুটিতে সেই ঝাপটা কাটিয়ে ওঠে তারা। স্টাবস ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে অক্ষরের শিকার হয়ে। আর ডি ককের ইনিংস থেমেছে ৩১ বলে ৩৯ রানে আর্শদ্বীপের ডেলিভারিতে। ডি কক যখন ফেরেন, প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।
এরপর মিলার ও ক্লাসেন মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। আর সেই জুটিতে বল আর রানের সমীকরণ সমান করে ফেলেন দুই ব্যাটার। তাদের ২২ বলে ৪৫ রানের জুটিতে ভাঙ্গন ধরে ক্লাসেনের উইকেট পতনে। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন এই ব্যাটার। এতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফানুস একেবারেই মিইয়ে যায়। পরের ব্যাটাররা আর কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় ডেথ বোলারদের সামনে। পরাজয়কেই সঙ্গী করতে হয় মার্করামের দলকে।
ভারতের পক্ষে বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিং নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।
ক্রিকেট
কোহলির পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসে ১৭৬ রানে থামলো ভারত
শেষ হলো বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। ভালো শুরুর পর কিছুটা চাপে পড়েও তা কাটিয়ে ওঠে দলটি। ভিরাট কোহলি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের একপ্রান্ত ধরে ছিলেন। মূলত তার ব্যাটে চড়েই পুরো ২০ ওভার খেলে ভারত থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে।
রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি ব্যাট হাতে নেমেই উড়ন্ত শুরু করেন। মার্কো জানসেনের প্রথম ওভারেই আসে ১৫ টি রান। যা যেকোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ওভারের জন্য সর্বোচ্চ রান। পরের ওভারে এসেই অবশ্য কেশব মহারাজ পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত দুইটি উইকেট।
ভারত রোহিত, রিশাব পান্ট ও সূর্যকুমার যাদবের উইকেট হারায় পাওয়ারপ্লেতে। কিছুটা চাপ তখন ছিল। তবে এই সময় অক্ষর প্যাটেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতের ‘গিয়ার’ চেপে ধরেন। ওভার বাউন্ডারি নিয়ে আসেন, রান বের করার চেষ্টা করেন নিশ্চিত সব শটে।
কোহলির সাথে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন অক্ষর। সেই জুটি ভাঙে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের মাধ্যমে। যেখানে অক্ষরকে ফিরতে হয় ৩১ বলে ৪৭ রানে। পরের ব্যাটার দুবের সাথে আবারও জুটি গড়েন কোহলি।
এরমধ্যে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি পেয়ে যান কোহলি। একটি রেকর্ডও গড়েন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে একাধিক ফিফটি করার রেকর্ড এই ভারতীয় ব্যাটারের হয়ে থাকলো। যেখানে তিনি কুমার সাঙ্গাকারা ও মারলন স্যামুয়েলসের সাথে যোগ দিয়েছেন।
১৯তম ওভারে বল করতে আসেন জানসেন। সেই ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি, চতুর্থ বলে ওভার বাউন্ডারি হাঁকান কোহলি। তবে পঞ্চম বলটিতে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। যার ইনিংসে ছিল ২ টি ছক্কা এবং ৬ টি চার। ব্যাটে আসে ৫৯ বলে ৭৬ রান।
শেষ ওভারে আনরিখ নরকিয়ার শিকার হয়ে একটি বাউন্ডারির পর ১৬ বলে ২৭ রান করে ফেরেন দুবে। নতুন ব্যাটার জাদেজার উইকেটও পড়ে যায় শেষ বলে। পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ২ বলে ৫ রান করে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কেশব মহারাজ ও আনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
ক্রিকেট
উড়ন্ত শুরুর পর, উইকেট হারিয়ে বিপাকে ভারত
বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি ব্যাট হাতে নেমেই উড়ন্ত শুরু করেন। মার্কো জানসেনের প্রথম ওভারেই আসে ১৫ টি রান। যা যেকোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রথম ওভারের জন্য সর্বোচ্চ রান। পরের ওভারে এসেই অবশ্য কেশব মহারাজ পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত দুইটি উইকেট। পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে ভারতের সংগ্রহ আসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫।
দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি আসে রোহিতের ব্যাট থেকে। এরপর চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। সুইপ করতে গিয়ে হেনরেইখ ক্লাসেনের হাতে আটকে যান রোহিত। ফিরতে হয় ৫ বলে ৯ রান করে।
এরপর এক বল বিরতি দিয়ে সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে পড়েন রিশাব পান্ট। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদা করতে আসেন নিজের দ্বিতীয় ওভার। সেই ওভারের তৃতীয় বলে আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব।
পাওয়ারপ্লেতে দারুণ শুরুর পরেও উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে হয়তো ভারত।
-
পর্যটন2 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
-
ইসলাম2 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
-
অপরাধ2 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
-
আবহাওয়া4 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
-
টুকিটাকি3 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
-
রংপুর3 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
-
জাতীয়3 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
-
ক্রিকেট2 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা