Connect with us

জাতীয়

পুলিশকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশে ‘অধিকতর সতর্কতার’ অনুরোধ

Published

on

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া) ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ও বর্তমান সদস্যদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আংশিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঢালাও প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে দাবি করে। পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও সাংবাদিকতার নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)।

শুক্রবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

জাতির জনকের আহ্বানে সারা দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে দমনে পুলিশের ভূমিকা এবং  করোনাকালে তাঁদের ভূমিকা উল্ল্যেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী চক্র কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, বোমাবাজি ও পেট্রোল বোমাবাজদের প্রতিহত করার ক্ষেত্রে পুলিশের সফলতার কারণে উক্ত গোষ্ঠী বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে প্রতিপক্ষ বিবেচনায় প্রতিনিয়তই পুলিশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক সমালোচনায় লিপ্ত।

স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্র তাদের দোসর বিদেশে পলাতক সাইবার সন্ত্রাসী কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা ও অতিরঞ্জিত তথ্য প্রকাশ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের চরিত্র হননে ব্যস্ত। তাদেরই অনুকরণে ইদানিং কোন কোন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য সম্পর্কে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মানহানিকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করছে, যা বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্য বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ ধরনের রিপোর্টের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই। তথ্যসূত্রবিহীন বাস্তবতা বিবর্জিত অতি কথিত এ ধরনের রিপোর্টে বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার সদস্যদের মনোবল ক্ষুন্নের পাশাপাশি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। পলাতক সাইবার সন্ত্রাসীদের অনুপ্রেরণায় বাংলাদেশ পুলিশের পেশাদার ভূমিকাকে জনসমক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ করে পুলিশকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য কতিপয় মিডিয়া অত্যন্ত সচেতনভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এক ধরনের কুৎসিত প্রচার যজ্ঞে শামিল হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

Advertisement

সংগঠনটি বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করে, এছাড়াও কোনো কোনো মিডিয়া হাউজ ব্যক্তিগত আক্রোশ ও নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় কোনো কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবমাননাকর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করছেন, যা সাংবাদিকতার নীতিমালা বিরোধী।

বিজ্ঞপ্তিতে বিপিএসএ আরও জানায়, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। গণমাধ্যম কর্তৃক গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা বরাবরই স্বাগত জানাই। কিন্তু গণমাধ্যমে কোন খন্ডিত বা আংশিক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ করতে চাই। গণমাধ্যমে কোনো ঘটনার সামগ্রিক চিত্র উঠে আসুক, সত্য উন্মোচিত হোক। গণমাধ্যমের রিপোর্ট হোক সত্যাশ্রয়ী ও বস্তুনিষ্ঠ। নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশে পাঠকের কাছে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। অথচ কোনো এক রহস্যময় কারণে এক শ্রেণির মিডিয়া অতি সুকৌশলে বাংলাদেশ পুলিশকে বিতর্কিত করে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর অপচেষ্টায় মেতেছে, যা সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধকারী অপসাংবাদিকতারই নামান্তর বলে পরিগণিত।

আই/এ

জাতীয়

রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

Published

on

বর্ষায় প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে হ্রদ পাহাড়ের জনপদ রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই সকাল পর্যন্ত তিনি রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (১ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ শফি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমাসহ জেলার সব দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্র থেকে জানা গেছে, ৮ জুলাই সকালে হেলিকপ্টার যোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাঙ্গামাটি যাবেন। পরে আরণ্যক রিসোর্টে রাত্রী যাপন করবেন। এরপর ৯ জুলাই হাউজবোটে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করে কাপ্তাই উপজেলায় যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি নয়নাভিরাম আসামবস্তি সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটিতে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ১০ জুলাই সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটি ত্যাগ করবেন। রাঙ্গামাটি অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি পাহাড়িদের কোমর তাঁতে বোনা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মার্কেট পরিদর্শন করবেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

হাতিরঝিল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পেল যে বাহিনী

Published

on

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আওতাধীন হাতিরঝিল এলাকায় এখন থেকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা। রাজউকের চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার আনসার বাহিনীর কাছে হাতিরঝিল এলাকার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর হাতিরঝিল ব্যাবস্থাপনা ভবনে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়।

এ সময় রাজউকের চেয়ারম্যান বলেন, হাতিরঝিলের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরেকটি রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে দেয়া হলো। নিরাপত্তার স্বার্থে রাত ১১টার পর দর্শনার্থীদের হাতিরঝিল ত্যাগের অনুরোধও জানান রাজউক চেয়ারম্যান। দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, আনসার বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি হাতিরঝিলকে পরিচ্ছন্ন রাখবে।

হাতিরঝিলকে ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ করা হবে জানিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, হাতিরঝিল থেকে বনানী এবং কালাচাঁদপুর পর্যন্ত ওয়াটার ট্যাক্সির রুট বাড়ানো হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, হাতিরঝিলের অবৈধ পকেট গেট তদারকিসহ মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে আনসার বাহিনী।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পদ্মা সেতু পরিচালনায় গঠিত হচ্ছে সরকারি কোম্পানি

Published

on

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য  আলাদা একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানির মাধ্যমে পদ্মা সেতুর টোল আদায়সহ যাবতীয় কাজ পরিচালনা করা হবে।

সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি, পিএলসি’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা।

এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

পদ্মা সেতু এখন সরকারের সেতু বিভাগের সম্পদ। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল থেকে যে আয় হচ্ছে, তা জমা হচ্ছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে। নতুন কোম্পানি গঠিত হলে এই সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চলে যাবে কোম্পানির অধীন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে। এই বোর্ডে থাকবেন ১৪ জন। তারা জনবল কাঠামো ঠিক করবে। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

Advertisement

বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে কোম্পানির অধীন যাবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

২০২২ সালের ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা ও দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

এদিকে ২০০৯ সালে শুরু হওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্পটির মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছে ৩০ জুন। প্রায় ১৫ বছর ধরে চলার পর প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলো।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version